লন্ডনে আইসিসির সভা শেষে বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতি ক্রমে টেস্ট খেলুড়ে দেশ জিম্বাবুয়ের সদস্য পদ স্থগিত করে আইসিসি। এই সময়ে দেশটিতে বন্ধ থাকবে আইসিসির অনুদান। আইসিসির কোনো ইভেন্টেও অংশ নিতে পারবে না জিম্বাবুয়ের কোনো দল।
অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলার কথা জিম্বাবুয়ের। অগাস্টে মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব। নিষেধাজ্ঞার জন্য দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলার পথ বন্ধ হয়ে গেল দেশটির।
আইসিসি তিন মাসের মধ্যে নির্বাচিত জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে দায়িত্বে দেখতে চায়। এই ব্যাপারে তাদের অগ্রগতি নিয়ে আগামী অক্টোবরের বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করবে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আইসিসির ঘোষণার পর থেকে ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে রাজা জানান, নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে ভেবে তারা শঙ্কিত।
“এটা কেবল একজন খেলোয়াড়ের নয়, পুরো দেশের ব্যাপার। আমি এটা সহজভাবে নিতে পারিনি, আমি নিশ্চিত আমার সতীর্থরাও একই রকম অনুভব করেছে। আমরা এখান থেকে কোথায় যাব? এখান থেকে উত্তরণের কোনো উপায় কি আছে?...দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা অনেক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টেনে দিতে পারে।”
“আমরা যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলতে না পারি তাহলে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও খেলতে পারবো না।”
রাজার শঙ্কা এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটাররা বিকল্প ক্যারিয়ারের কথা ভাবতে পারে।
“আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে আমরা কোথায় যাব আমি জানি না। শুধু ক্লাব ক্রিকেট থাকবে নাকি আমাদের জন্য ক্রিকেটই থাকবে না? আমরা কি আমাদের খেলার সামগ্রী পুড়িয়ে চাকরির জন্য আবেদন করবো? এই মুহূর্তে আমি জানি না, আমাদের কি করা উচিত।”