দ. আফ্রিকা সফরে মেয়েদের ইমার্জিং দল

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েদের ইমার্জিং দল। প্রোটিয়াদের ইমার্জিং দলের বিপক্ষে খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2019, 01:44 PM
Updated : 18 July 2019, 01:44 PM

নিগার সুলতানাকে অধিনায়ক করে বৃহস্পতিবার ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দিতে যাওয়া দলটির সঙ্গে যাবেন জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, শামীমা সুলতানা, লতা মণ্ডল ও আয়েশা আক্তার। তারা দলের সঙ্গে অনুশীলন করবেন তবে খেলবেন না কোনো ম্যাচে।

প্রিটোরিয়ায় ২৩, ২৫ ও ২৮ জুলাই হবে তিনটি ওয়ানডে। হ্যামান্সক্রালে ৩১ জুলাই, ১ ও ৪ অগাস্ট হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি। 

ইমার্জিং দলের তত্ত্ববধানে থাকবেন জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরা। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রধান কোচ আঞ্জু জৈন জানান, বেঞ্চের শক্তি বাড়াতে এমন একটা সিরিজের জন্য অনেক দিন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন তারা।

“সামনে মেয়েদের ‘এ’ দলের অনেক খেলা আছে। মেয়েদের এশিয়া কাপও হবে কিছু দিন পর। আমাদের মেয়েদের এই টুর্নামেন্টের জন্য তৈরি করার এটা একটা ভালো সুযোগ। বিকল্প তৈরি এবং বেঞ্চের শক্তি বাড়ানোর দিকে আমরা তাকিয়ে আছি।”

“দলের চার-পাঁচজন মেয়ে আছে যারা হয়তো এর আগে কেবল একটি সফর করেছে। মেয়েদের অনেকেই তুলনামূলক নতুন। এটা ওদের সবার জন্য খুব ভালো সুযোগ।”     

ইমার্জিং দল বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানান ভারতের সাবেক ক্রিকেটার আঞ্জু।

“কিছু দিন আগে রাজশাহীতে আমরা তিন সপ্তাহের একটি ক্যাম্প করেছি। প্রিমিয়ার লিগে আমরা ওদের খেলা দেখেছি। অনেক প্রতিভাই উঠে আসছে। আমরা এর মধ্য থেকে ২৮ জনকে বেছে নিয়েছিলাম। যাদের সঙ্গে রাজশাহীতে তিন সপ্তাহ কাজ করেছি। সেখান থেকে এই দল বেছে নেওয়া হয়েছে।“

গত নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ কোনো ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে রুমানা-সালমারা। তাদের জন্য বেশি ম্যাচের দাবি জানালেন প্রধান কোচ। একই সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলা বাড়ানোর তাগিদ দিলেন।

“অবশ্যই আমরা বেশি খেলা চাই। গত এশিয়া কাপের পর অনেকেই বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটের খবর রাখে। নিজেদের উন্নতির জন্য আমরা আরও বেশি ম্যাচ চাই।”

“ঘরোয়া ক্রিকেটে কেবল একটা ফরম্যাট থাকা উচিত নয়। ওয়ানডের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ও বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট থাকা উচিত। একই সঙ্গে সব ফরম্যাটেই বয়সভিত্তিক দলের টুর্নামেন্ট থাকা জরুরি। তাহলেই উঠে আসবে নতুন প্রতিভা, শক্তিশালী হবে বেঞ্চ।”

বাংলাদেশের মেয়েদের ইমার্জিং দল: নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), শারমিন সুলতানা, মুর্শিদা খাতুন, শোভানা মুস্তারি, খাদিজা তুল কুবরা, ফাহিমা খাতুন, সুরাইয়া আজমিন, শায়লা শারমিন, নাহিদা আক্তার, ফারিহা ইসলাম, রিতু মণি, সানজিদা ইসলাম, নুজহাত তাসনিয়া, শারমিন আক্তার।