সৌম্য-মোসাদ্দেক ঝড়ে স্বপ্নের শিরোপা

লক্ষ্যটা ছিল কঠিন। তবে ঝড় তুলে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। দুইবার কাছাকাছি সময়ে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সমীকরণ হয়ে গিয়েছিল কঠিন। বিধ্বংসী ইনিংসে সেই সমীকরণ মেলালেন মোসাদ্দেক হোসেন। কাটালেন ফাইনালের গেরো। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জিতল বাংলাদেশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2019, 09:24 AM
Updated : 19 May 2019, 01:57 PM

কাটল ফাইনালের গেরো

সপ্তম চেষ্টায় কাটল ফাইনালের গেরো। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মোসাদ্দেক হোসেনের বিস্ফোরক এক জুটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতে নিল বাংলাদেশ।

এক সময়ে ৩ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের এক ওভার থেকে ২৫ রান নিয়ে মোসাদ্দেক দলকে নিয়ে যান জয়ের প্রান্তে। বাকিটা সারেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং করা মাহমুদউল্লাহ। বাউন্ডারিতে শেষ করে আসেন ম্যাচ।

ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৫ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ২১০ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে ৭ বল বাকি থাকতে।

২৭ বলে পাঁচ ছক্কা ও দুই চারে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক, ১৮ বলে ১৯ রানে মাহমুদউল্লাহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪ ওভারে ১৫২/১ (হোপ ৭৪, আমব্রিস ৬৯*, ব্রাভো ৩*; মাশরাফি ০/২৮, সাইফ ০/২৯, মুস্তাফিজ ০/৫০, মোসাদ্দেক ০/৯, মিরাজ ১/২২, সাব্বির ০/১২)

বাংলাদেশ: (লক্ষ্য ২৪ ওভারে ২১০) ২২.৫ ওভারে ২১৩/৫ (তামিম ১৮, সৌম্য ৬৬, সাব্বির ০, মুশফিক ৩৬, মিঠুন ১৭, মাহমুদউল্লাহ ১৯*, মোসাদ্দেক ৫২*; নার্স ০/৩৫, হোল্ডার ০/৩১, রোচ ০/৫৭, গ্যাব্রিয়েল ২/৩০, রিফার ২/২৩, অ্যালেন ১/৩৭)

ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী

মোসাদ্দেকের ব্যাটে ঝড়

চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে টানছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে উপহার দিয়েছেন পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।

ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের এক ওভার থেকে তিন ছক্কা ও এক চারে ২৫ রান তুলে নিয়ে সমীকরণ একদম সহজ করে ফেলেন মোসাদ্দেক। ২৩ বলে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় ফিফটি।

২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০৮/৫। মোসাদ্দেক ৫১ ও মাহমুদউল্লাহ ১৫ রানে ব্যাট করছেন।

এসেই মিঠুনকে ফেরালেন অ্যালেন

তামিম ইকবাল-সাব্বির রহমানকে দ্রুত হারানোর ধাক্কা সামাল দিয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনকে দ্রুত হারিয়ে আবার চাপে পড়ে গেল তারা।

বোলিংয়ে এসেই মিঠুনকে ফেরালেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। বাঁহাতি স্পিনারের বল রিভার্স প্যাডেল করতে চেয়েছিলেন মিঠুন। ব্যাটে খেলতে পারেননি, ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে।

১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৫/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন।  জয়ের জন্য শেষ ৮ ওভারে ৬৫ রান চাই তাদের।

মুশফিককে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

আবার উইকেট পেলেন রেমন রিফার। পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফিরিয়ে দিলেন মুশফিকুর রহিমকে।

রিফারের ইনসুইঙ্গার ব্যাটে খেলতে পারেননি মুশফিক। বেশ সময় নিয়ে এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। হতাশা নিয়ে ফিরে যান ২২ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৩৬ রান করা কিপার-ব্যাটসম্যান।

১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৪/৪। ক্রিজে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের শেষ ১০ ওভারে চাই আরও ৭৬ রান।

সৌম্য ঝড় থামালেন রিফার

আগের ওভারে আঁটসাঁট বোলিং করা রেমন রিফার এবার ফিরিয়ে দিলেন ঝড় তোলা সৌম্য সরকারকে। বাঁহাতি ওপেনারকে বিদায় করে ম্যাচ ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল লং অফ দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন সৌম্য। টাইমিং করতে পারেননি। লং অফ থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে ক্যাচ মুঠোয় নেন শেলডন কটরেল।

৪১ বলে নয় চার ও তিন ছক্কায় ৬৬ রান করে ফিরেন সৌম্য। ভাঙে ৪৯ রানের জুটি।

১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১২/৩। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন। জয়ের জন্য শেষ ১২ ওভারে ৯৮ রান চাই তাদের।

বাংলাদেশের একশ

পঞ্চাশ ছুঁয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সৌম্য সরকার। গতিময় পেসার কেমার রোচের বল হেলমেটে লাগলেও টলে যাননি মুশফিকুর রহিম। রানের গতিতে দম দিচ্ছেন তিনিও। তাতে একাদশ ওভারে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহ।

সৌম্য ঝড়ে ২৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল বাংলাদেশের সংগ্রহ।

১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০২/২। সৌম্য ৬৬ ও মুশফিক ১৬ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ১৩ ওভারে ১০৮ রান চাই তাদের।

ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড

ঝড় তুলে সৌম্যর ফিফটি

ছন্দে থাকা সৌম্য সরকার তুলে নিলেন ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজের টানা তৃতীয় ফিফটি। এবার পঞ্চাশ ছুলেন ২৭ বলে।

শুরু থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া সৌম্যর ব্যাট থেকে এর মধ্যে এসেছে আটটি চার ও দুটি ছক্কা। শট খেলেছেন উইকেটের চারপাশে। তার হাত থেকে নিস্তার পাননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলারই।

৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৮/২। সৌম্য ৫৫ ও মুশফিকুর রহিম ৩ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ১৬ ওভারে তাদের চাই ১৩২ রান।

শূন্য রানে ফিরলেন সাব্বির

দলে সাব্বির রহমানের মূল ভূমিকা ফিনিশারের। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে প্রমোশন পেয়ে খেললেন তিনে। সিরিজে এর আগে খুব একটা ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পাওয়া ডানহাতি ব্যাটসম্যান কাজে লাগাতে লাগাতে পারলেন না সুযোগ। টিকলেন মোটে দুই বল।

চার বলের মধ্যে দুই উইকেট নিলেন গ্যাব্রিয়েল। তামিম ইকবালের পর ফিরিয়ে দিলেন সাব্বিরকে। গতিময় পেসারের বল ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে প্যাডে লাগলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলে শূন্য রানে ফিরে যান সাব্বির।

৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬০/২। ঝড় তোলা সৌম্য সরকারের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তামিম

শুরুতে জীবন পাওয়া তামিম ইকবাল পারলেন না সুযোগ কাজে লাগাতে। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে উড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন ক্যাচ দিয়ে।

ষষ্ঠ ওভারে গ্যাব্রিয়েলকে প্রথম দুই বলে চার হাঁকিয়েছিলেন তামিম। ঝুঁকি নেওয়ার কোনো দরকার ছিল না। তবুও গতিময় পেসারকে এগিয়ে এসে উড়াতে চাইলেন। বুক উচ্চাতার বলে টাইমিং করতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার, মিড অফে ক্যাচ মুঠোয় নেন জেসন হোল্ডার।

৪ রানে অ্যাশলি নার্সের হাতে জীবন পাওয়া তামিম ১৩ বলে দুই চারে ফিরেন ১৮ রান করে।

৫ ওভারে পঞ্চাশ বাংলাদেশের

পরিস্থিতির দাবি শট খেলার। সেই দাবি মিটয়ে চলেছেন সৌম্য সরকার। শট খেলছেন উইকেটের চারপাশে। তরুণ সতীর্থকে স্ট্রাইক দিয়ে চলেছেন তামিম ইকবাল।

২৯ বলে পঞ্চাশ ছুয়েছে দুই বাঁহাতি ওপেনারের জুটি।

৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫১/০। তামিম ১০ বলে ১০ ও সৌম্য ২০ বলে ৩৯ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ১৯ ওভারে আরও ১৫৯ রান চাই তাদের।

জীবন পেলেন তামিম

বেঁচে গেলেন তামিম ইকবাল। বাঁহাতি এই ওপেনারের সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন অ্যাশলি নার্স।

বোলিংয়ে এসে নিজের দ্বিতীয় বলে উইকেট পেতে পারতেন কেমার রোচ। বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন তামিম। শর্ট থার্ড ম্যানে যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন নার্স, কিন্তু ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি তিনি। সে সময় চার রানে ছিলেন তামিম।

স্ট্রাইক পেয়ে রোচকে ছক্কায় উড়ান সৌম্য সরকার। পরের তিন বলে তুলে নেন দুটি বাউন্ডারি।

৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৩/০। জয়ের জন্য শেষ ২১ ওভারে আরও ১৭৭ রান চাই তাদের।

২৪ ওভারে ২১০ রানের লক্ষ্য

আবার খেলা শুরু হওয়ার পর শেষ ২৩ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেই হোপের উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ২১ রান। সব মিলিয়ে ২৪ ওভারে ক্যারিবিয়ানরা ১ উইকেটে করেছে ১৫২। শিরোপা জিততে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২১০ রানের বড় লক্ষ্য। 

হোপ ও সুনিল আমব্রিস ঝড়ের বড় অংশ গেছে মুস্তাফিজুর রহমানের উপর দিয়ে। বাঁহাতি এই পেসার ৫ ওভারে ৫০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ২২ রানে নেন একমাত্র উইকেটটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪ ওভারে ১৫২/১ (হোপ ৭৪, আমব্রিস ৬৯*, ব্রাভো ৩*; মাশরাফি ০/২৮, সাইফ ০/২৯, মুস্তাফিজ ০/৫০, মোসাদ্দেক ০/৯, মিরাজ ১/২২, সাব্বির ০/১২)

ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড

অবশেষে উইকেট

অবশেষে উইকেটের দেখা পেলো বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজকে উড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন শেই হোপ।

স্লগ করে মিডউইকেট দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন হোপ। ঠিক মতো টাইমিং করতে পারেননি। ক্যাচ মুঠোয় নেন মোসাদ্দেক হোসেন। সীমানা দড়িয়ে পেরিয়ে যাওয়ার আগে বল ছুড়েন ভেতরের দিকে, তবে মাঠে ফিরে তালুবন্দি করেন ক্যাচ।

৬৪ বলে ছয় চার ও তিন ছক্কায় ৭৪ রান করেন হোপ। ১৪৪ রানের জুটি। ক্রিজে সুনিল আমব্রিসের সঙ্গী ড্যারেন ব্রাভো।

এই ওভারে মাত্র দুই রান দেন মিরাজ। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন এক উইকেট।

খেলা শুরু, সাবধানী হোপ-আমব্রিস

লম্বা সময় অপেক্ষা করার পর খেলা শুরু হলো। ইনিংসের বাকি আর ২৩ বল। তবুও তেড়েফুড়ে মারতে যাননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার। সিঙ্গেলস নিয়ে খেলছেন দুই ওপেনার শেই হোপ ও সুনিল আমিব্রস। মেহেদী হাসান মিরাজের অসমাপ্ত ওভারের শেষ পাঁচ বল থেকে এসেছে চারটি সিঙ্গেল ও লেগ বাই থেকে এক রান।

২১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৩৬/০। হোপ ৭০ ও আমব্রিস ৬১ রানে ব্যাট করছেন।

২৪ ওভারের ম্যাচ

বৃষ্টিতে লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে নেমে এসেছে ২৪ ওভারে। স্থানীয় সময় বিকালে সাড়ে পাঁচটায় শুরু হবে খেলা। বাংলাদেশ সময় তখন রাত সাড়ে দশটা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস বাকি আছে ৩ ওভার ৫ বল। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ক্যারিবিয়ানরা খেলেছিল ২০ ওভার ১ বল।    

মাঠ ভেজা থাকায় খেলা শুরু হতে দেরি

বৃষ্টি থেমেছে তবে মাঠ ভেজা থাকায় খেলা শুরু হতে দেরি হচ্ছে। স্থানীয় সময় বিকাল চারটা ৪০ মিনিটে আবার মাঠ পরিদর্শন করবেন আম্পায়াররা। বিশ্বকাপের আগে পিচ্ছিল মাঠে ফিল্ডিং করে চোটে পড়ার ঝুঁকি হয়তো নেবেন না কেউই। তাই অপেক্ষা মাঠ শুকানোর।  

থেমেছে বৃষ্টি, সরানো হচ্ছে কাভার

বৃষ্টি থেমেছে মালাহাইডে। আকাশে নেই কালো মেঘ। হালকা রোদের দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার পর স্থানীয় সময় বিকাল চারটার দিকে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে কাভার সরানোর কাজ।

মাঠ পরিদর্শনের মধ্যে ফিরে এলো বৃষ্টি

কিছুক্ষণের জন্য থেমেছিল বৃষ্টি। মাঠ পরিদর্শনে নেমেছিলেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। তিনি মাঠে থাকার সময় আবার ফিরে এলো বৃষ্টি। সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে খেলা। বৃষ্টি থামলে স্থানীয় সময় বিকাল চারটা ১০ মিনিটে হবে আবার পরিদর্শন। 

মালাহাইডে আবার বৃষ্টি

আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে মালাহাইডে। স্থানীয় সময় তিনটায় মাঠ পরিদর্শনের কথা ছিল আম্পায়ারদের। এর কিছুক্ষণ আগে আবার শুরু হয় বর্ষণ।

বৃষ্টি থেমেছে, তিনটায় পরিদর্শন

বৃষ্টি থেমেছে মালাহাইডে। স্থানীয় সময় বেলা তিনটার সময় মাঠ পরিদর্শন করবেন দুই আম্পায়ার।

স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ১২ থেকে বন্ধ রয়েছে খেলা। এর ঘণ্টা পর থেকে শুরু হয়েছে ওভার কমা। প্রতি সাড়ে চার মিনিটের জন্য কমছে এক ওভার করে।

বৃষ্টিতে ফল না হলে শিরোপা বাংলাদেশের

বৃষ্টির বাধায় ফাইনালে ফল না হলে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি উঠবে মাশরাফি বিন মুর্তজার হাতে। প্রাথমিক পর্বে সবচেয়ে ভালো করায় চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ।

প্রাথমিক পর্বে কোনো ম্যাচে হারেনি বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে দুইবার, আইরিশদের একবার। স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাশরাফিদের অন্য ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। অন্য দিকে আয়ারল্যান্ডকে দুইবার হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রাথমিক পর্বের সেরা দল ছিল বাংলাদেশ। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পেছনে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

মালাহাইডে এখনও বৃষ্টি পড়ছে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বন্ধ রয়েছে খেলা।   

উইন্ডিজের দারুণ শুরুর পর বৃষ্টির বাধা

আক্রমণে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজকে লং অন দিয়ে ছক্কায় উড়ালেন শেই হোপ। এর পরই বৃষ্টির বাধায় বন্ধ হয়ে গেল খেলা।      

২০.১ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৩১/০। হোপ ৫৬ বলে ৬৮ ও সুনিল আমব্রিস ৬৫ বলে ৫৯ রানে ব্যাট করছেন।

ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড

হোপের পর আমব্রিসের ফিফটি

শেই হোপের পর ফিফটি তুলে নিলেন সুনিল আমব্রিস। ছয় ম্যাচের ছোট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে থেমেছিলেন ১৪৮ রান করে।

৬০ বলে ফিফটিতে পৌঁছান আমব্রিস। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে চারটি চার, এর তিনটিই আসে মুস্তাফিজুর রহমানের এক ওভার থেকে।

১৯ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১১৪/০। হোপ ৫৭ ও আমব্রিস ৫৪ রানে ব্যাট করছেন।  

ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড

হোপের ফিফটি, দলের সেঞ্চুরি

নিজের প্রথম ওভারে সুনিল আমব্রিসের হাতে তিন চার হজম করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। একটু বিরতিতে দিয়ে বোলিংয়ে ফেরার পর করলেন আরেকটি খরুচে ওভার। এবার শেই হোপ তাকে হাঁকালেন ছক্কা ও চার।

বোলারের মাথার উপর দিয়ে হাঁকানো ছক্কায় ৫০ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করলেন হোপ। বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা পাঁচ ম্যাচে খেললেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। সেই ছক্কায় তিন অঙ্কে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান।

১৮ ওভার শেষে ক্যারিবিয়ানদের স্কোর ১০৫/০। হোপ ৫৬ ও আমব্রিস ৪৭ রানে ব্যাট করছেন।  

শুরুর জুটিতে পঞ্চাশ

সাবধানী শুরুর পর শট খেলতে শুরু করেছেন শেই হোপ। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের এক ওভারে হাঁকিয়েছেন তিন চার। পরে উড়িয়েছেন ছক্কায়। ছন্দে থাকা ওপেনারের ব্যাটে বেড়েছে রানের গতি। একটু সময় নিচ্ছেন সুনিল আমব্রিস। শট খেলছেন কেবল নিজের জোনে বল পেলে।

দশম ওভারের শেষ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে দলের রান।

১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৫০/০। হোপ ২৬ বলে ২৬ ও আমব্রিস ৩৪ বলে ২৩ রানে ব্যাট করছেন।

মাশরাফি ৫ ওভারে দিয়েছেন ২১ রান। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ২ রান দেওয়া সাইফ পরের তিন ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান।   

আঁটসাঁট বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরু

কন্ডিশন পেস বোলিংয়ের জন্য বেশ সহায়ক। সেই সুবিধা পুরোপুরি নিতে না পারলেও খারাপ করেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। দুই পেসার বেঁধে রেখেছেন ব্যাটসম্যানদের।

৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১৫/০। সুনিল আমব্রিস ১২ ও শেই হোপ ৩ রানে ব্যাট করছেন।

মাশরাফি ৩ ওভারে দিয়েছেন ১৩ রান। সাইফের দুই ওভার থেকে এসেছে কেবল দুটি সিঙ্গেল। 

সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশ

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় চোট পাওয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান খেলছেন না ফাইনালে।

আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় আইরিশদের বিপক্ষে প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ফাইনালে তাদের সবাই ফিরেছেন একাদশে।

জায়গা হারিয়েছেন সেই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া লিটন দাস ও রুবেল হোসেন। মূল খেলোয়াড়রা ফেরায় আগের ম্যাচে ৫ উইকেট পেলেও বাদ পড়েছেন আবু জায়েদ চৌধুরী। 

সাকিব না খেলায় টিকে গেছেন আগের ম্যাচে সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন।      

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে কটরেলের জায়গায় গ্যাব্রিয়েল

চোটের জন্য ছিটকে গেছেন শেলডন কটরেল। তার জায়গায় ফিরেছেন আরেক পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন তিনি। তার জায়গায় সেই ম্যাচে অভিষেক হওয়া অলরাউন্ডার রেমন রিফার টিকে গেছেন একাদশে। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ:  শেই হোপ, সুনিল আমব্রিস, ড্যারনে ব্রাভো, রোস্টন চেইস, জোনাথন কার্টার, জেসন হোল্ডার, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, রেমন রিফার, অ্যাশলি নার্স, কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।

ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

সকাল থেকে আকাশ মেঘে ঢাকা। বয়ে যাচ্ছে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবারের মতো টস জিতে ফিল্ডিং নিতে খুব একটা ভাবতে হলো না বাংলাদেশ মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান, মেঘলা আকাশ ও আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ভূমিকা আছে বোলিং বেছে নেওয়ার পেছনে।

সিরিজে তিন ম্যাচে পরে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ, জেতে তিন ম্যাচেই। মাশরাফি জানান, তিন ম্যাচে দেখেছেন পরের দিকে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হয়ে যায়। সেটাও ফাইনালে পরে ব্যাটিং করার একটা কারণ।

কাটবে ফাইনালের গেরো?

টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে এশিয়া কাপ ও ত্রিদেশীয় সিরিজ মিলিয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ছয়টি ফাইনালে হেরেছে বাংলাদেশ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের গেরো কাটানোর আরেকটি সুযোগ এসেছে তাদের সামনে। বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দেশকে প্রথম শিরোপা এনে দেওয়ার হাতছানি মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সামনে।

ডাবলিনের মালাহাইডে শুক্রবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে চারটায়।

উপমহাদেশের বাইরের কোনো দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ। আগের ছয় ফাইনালের তিনটিতে প্রতিপক্ষ ছিল ভারত, দুটিতে শ্রীলঙ্কা ও একটিতে পাকিস্তান।

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সময়টা দারুণ কাটছে বাংলাদেশের। সবশেষ ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জিতেছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দেশের মাটিতে জিতেছে সবশেষ দুটি ওয়ানডে সিরিজ। সেই দাপট ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে মাশরাফির দল।

ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রাথমিক পর্বের দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ ও ৫ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের প্রথম ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। পরেরটিতে সফরকারীরা জেতে ৬ উইকেটে। 

নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইরিশদের ১৯৬ রানে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে পরের দেখায় নিজেদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জেতে ৫ উইকেটে।