পিঠের যা অবস্থা, তাতে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানাতে পারছেন না সাকিব। শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাইনালের দিন সকালে নিজের অবস্থা বুঝে নেবেন সিদ্ধান্ত।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে বুধবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটি করার পর পিঠের ব্যথায় মাঠ ছাড়েন সাকিব। শঙ্কার মেঘও ছড়িয়ে পড়ে তখন থেকে। ম্যাচের পর টিম ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদীন জানিয়েছিলেন, এক দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সাকিবের অবস্থা বিবেচনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টিম মিটিং ছিল বাংলাদেশ দলের। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানান, সহ-অধিনায়ককে নিয়ে শঙ্কার মেঘ কাটেনি এখনও।
“সাকিবকে নিয়ে পরিস্থিতি একটু ক্রিটিক্যাল। এখনই বলা যাচ্ছে। ওর ওপরই নির্ভর করছে। এটা আসলে পৃথিবীর কোনো ডাক্তার-ফিজিওর পক্ষে সম্ভব নয় যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো ব্যথা নামিয়ে ফেলবে। ওই ক্রিকেটার কেমন অনুভব করছে, সেটির ওপরই নির্ভর করছে। সাকিব আসলে কালকে মাঠে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেবে যে পারবে কি পারবে না।”
এমনিতে চোট গুরুতর কিছু নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। ফাইনালের আগে আরও দু-একটি বাকি থাকলে হয়তো সংশয় থাকত না। সেরে ওঠার সময় পর্যাপ্ত নেই বলেই শঙ্কা। অফিসিয়ালি ম্যাচের দিন সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হলেও, সতীর্থদের সাকিব যা বলেছেন, তাতে খেলতে না পারার সম্ভাবনা যথেষ্টই।
বুধবার ম্যাচ শেষে হোটেলে ফিরে সাকিব স্বাভাবিকভাবেই চলা ফেরা করতে পেরেছেন। তবে ব্যথা ছিল। বৃহস্পতিবারও তা থেকে মুক্তি মেলেনি। খেলার সম্ভাবনা তিনি নিজে খুব বেশি দেখছেন না বলেই জানা গেছে। তবে ম্যাচের আগে যেহেতু সময় আছে আরও কয়েক ঘণ্টা, ঘুম থেকে ওঠার পর বা মাঠে গিয়ে গা গরমে যদি ভালো অনুভব করেন, তাহলে খেলতে পারেন। সেই আশাতেই আপাতত তার নিজের ও দলের অপেক্ষা।