তৃতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে জিতে ইংল্যান্ড। ৩৫৯ রানের লক্ষ্য ৩১ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা! প্রথম ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। পরের দুটিতে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
ওয়ানডেতে এর চেয়ে বড় রান তাড়া করে জয় আছে ইংল্যান্ডের কেবল একটি। চলতি বছরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতেছিল ৩৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে।
ব্রিস্টলে মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ক্রিস ওকসের ছোবলে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ফখর জামানকে বিদায় করার পর বাবর আজমের উইকেট তুলে নেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।
একটু মন্থর শুরু করা ইমাম শেষের দিকে তোলেন ঝড়। ২৭ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পাওয়া বাঁহাতি এই ওপেনার ফিরেন ১৩১ বলে ১৬ চার ও এক ছক্কায় ১৫১ রান করে। ওয়ানডেতে তার আগের সেরা ছিল ১২৮।
শেষের দিকে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের টুকটাক অবদানে সাড়ে তিনশ ছাড়ায় পাকিস্তানের সংগ্রহ।
রান উৎসবের ম্যাচে ৬৭ রানে চার উইকেট নেন ওকস। হারিসকে রান আউট করা টম কারান ২ উইকেট নেন ৭৪ রানে।
বড় রান তাড়ায় ইংল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জেসন রয় ও বেয়ারস্টো। শুরু থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই ব্যাটসম্যান। দ্রুত জমে যায় জুটি। রান আসতে থাকে বানের স্রোতের মতো। ১০৫ বলে ১৫৯ রানের শুরুর জুটি ভাঙে রয়ের বিদায়ে। ছন্দে থাকা এই ওপেনার ৫৫ বলে আট চার ও এক ছক্কায় করেন ৭৬ রান।
৩৬ বলে ৪৩ রান করা রুটকে থামান ইমাদ ওয়াসিম। ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিতে প্রমোশন দিয়ে চার নম্বরে পাঠানো হয় বেন স্টোকসকে, পাঁচে মইন আলিকে। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ৪৬ রানের জুটি ভাঙে স্টোকসের রান আউটে। মর্গ্যানকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন মইন। ৩৬ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
আগামী শুক্রবার নটিংহ্যামে হবে চতুর্থ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৫৮/৯ (ইমাম ১৫১, ফখর ২, বাবর ১৫, হারিস ৪১, সরফরাজ ২৭, আসিফ ৫২, ওয়াসিম ২২, আশরাফি ১৩, হাসান ১৮*, আফ্রিদি ৭, জুনাইদ ০*; ওকস ৪/৬৭, উইলি ১/৮৬, মইন ০/৩২, প্লানকেট ১/৫৫, কারান ২/৭৪, স্টোকস ০/৩৪, ডেনলি ০/৯)
ইংল্যান্ড: ৪৪.৫ ওভারে ৩৫৯/৪ (রয় ৭৬, বেয়ারস্টো ১২৮, রুট ৪৩, স্টোকস ৩৭, মইন ৪৮*, মর্গ্যান ১৭*; জুনাইদ ১/৫৭, আফ্রিদি ০/৮৩, হাসান ০/৫৫, ওয়াসিম ১/৫৮, আশরাফ ১/৭৫, হারিস ০/১৯, আসিফ ০/৯)
ফল: ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: জনি বেয়ারস্টো