মুস্তাফিজকে নিয়ে হতাশা ও আশার বিপরীতমুখী চিত্র ফুটে উঠেছে খানিকটা এই ত্রিদেশীয় সিরিজেই। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট নিয়েছিলেন ৮৪ রান দিয়ে। এই টুর্নামেন্টের আগে সবশেষ ওয়ানডেতেও ১০ ওভারে দিয়েছিলেন ৯৩ রান। তাকে নিয়ে আবার শুরু হলো শঙ্কা। সোমবার সেই তিনিই ম্যাচ সেরা ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে।
২০১৬ সালে তার কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর থেকে এটিই মুম্তাফিজের ক্যারিয়ারের নিয়মিত চিত্র। কখনও হতাশায় জড়ান, কখনও সাফল্যের সুবাস ছড়ান। যদিও দলের সেরা বোলার তিনি বরাবরই। এই বছর এখনও পর্যন্ত ওয়ানডেতে দলের সফলতম বোলার তিনি, গত বছরও ছিলেন সফলতম। অনেক ম্যাচেই আছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কিন্তু আবির্ভাবেই যে বিধ্বংসী চেহারা ছিল, সেটি নেই আগের মতো।
তবে বোলিংয়ের সেই রূপ যে সবসময় ধরে রাখা সম্ভব নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ সেরা হওয়ার পর সেটিই বোঝাতে চাইলেন মুস্তাফিজ।
“নতুন একজন বোলার এলে তার সম্পর্কে অনেকে জানে না। এখন আমার সম্পর্কে অনেকে জানে যে আমি এটা করি বা ওটা। আগে বেশিরভাগ সময় আমার বোলিংয়ে ক্যাচ হয়ে যেত। এখনও হয়, মারতে গেলে। আগে মারতে না গেলেও উইকেট পেতাম।”
“আর শুরুতে আমি দেশে খেলেছি। ইনজুরির পর বিদেশে বেশি খেলেছি। দেশের উইকেট হলে আগের মুস্তাফিজই বেশিরভাগ সময় পাওয়া যেত। ওখানে বল-টল ধরে, ঘুরে।”
মুস্তাফিজের এই কথার সত্যতাও ফুটে ওঠে পরিসংখ্যানে। কাঁধের অস্ত্রোপচারের আগে ক্যারিয়ারের প্রথম ৯ ওয়ানডেতে তিনবার পেয়েছিলেন ৫ উইকেটের স্বাদ। সবগুলি ম্যাচই ছিল দেশের মাটিতে। যেখানে তার স্লোয়ার ও কাটারগুলো ধরে বেশ, কার্যকরও বেশি। নিখাদ ব্যাটিং উইকেটে সেই কার্যকারিতা থাকে না অনেক সময়।
ক্যারিয়ারের পরের সময়টায় আর ৫ উইকেট পাননি। তবে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সোমবার ব্যাটিং উইকেটেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, সব উইকেট ও কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি প্রস্তুত হয়ে উঠছেন।