শেষটায় তালগোল পাকিয়ে ইংল্যান্ডের কাছে হারল পাকিস্তান

তাণ্ডব চালিয়ে সেঞ্চুরি করলেন জস বাটলার। দারুণ সঙ্গ দিলেন ওয়েন মর্গ্যান। ইংলিশদের গড়া রানের পাহাড় ফখর জামানের সেঞ্চুরিতে টপকানোর আশা জাগিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু শেষটায় তালগোল পাকিয়ে একটুর জন্য নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়া হলো না তাদের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2019, 06:59 PM
Updated : 11 May 2019, 07:18 PM

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১২ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল প্রথম ম্যাচ। ৩৭৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় ৩৬১ রানে থামে পাকিস্তান।

জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে ৩২ রান প্রয়োজন ছিল সফরকারীদের, হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। ডেভিড উইলি, লিয়াম প্লানকেট ও ক্রিস ওকসের দারুণ তিনটি ওভারে সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি তারা।

সাউথ্যাম্পটনের রোজ বৌলে শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়ের ব্যাটে শুরুটা ভালো করে ইংল্যান্ড। ১৯ ওভারে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তুলে নেন ১১৫ রান। ৪৫ বলে ৬ চারে ৫১ রান করে বেয়ারস্টো ফিরে গেলে ভাঙে শুরুর জুটি।

জো রুটের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান রয়। ছন্দে থাকা এই ওপেনার ৯৮ বলে ছয় চার ও তিন ছক্কায় করেন ৮৭। এদিন ব্যাটিংয়ে নামা ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি কেবল রুট। টেস্ট অধিনায়ক করেন ৫৪ বলে ৪০।

দৃঢ় ভিত দারুণভাবে কাজে লাগান মর্গ্যান-বাটলার। বড় শট খেলেন শুরু থেকেই। দ্রুত জমে যায় জুটি। রান উঠতে থাকে তরতর করে। ৩৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন অধিনায়ক, কিপার-ব্যাটসম্যান বাটলারের লাগে ৩২ বল।

ফিফটির পর খুনে মেজাজের ব্যাটিংয়ে ৫০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাটলার। ওয়ানডেতে এটি তার অষ্টম। ৫৫ বলে ৯ ছক্কা ও ৬ চারে অপরাজিত থাকেন ১১০ রানে। মর্গ্যান ৪৮ বলে অপরাজিত থাকেন ৭১ রানে। ১৪.৫ ওভারে তারা যোগ করেন ১৬২ রান!

রান তাড়ায় ইমাম-উল-হক ও জামান পাকিস্তানকে এনে দেন ভালো শুরু। ইমাম ফিরে যাওয়ার পর বাবর আজমকে নিয়ে দলকে টানেন ফখর। ৩৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করা এই ওপেনার চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৮৪ বলে। ১০৬ বলে ১২ চার ও চার ছক্কায় ১৩৮ রান করে তার বিদায়ে ভাঙে ১৩৫ রানের জুটি।

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকেননি বাবর। ৫২ বলে মাত্র একটি চারে এই ব্যাটিং ভরসা করেন ৫১ রান। রানের গতিতে দম দেওয়ার কাজটা করেন আসিফ আলী। এসেই বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৩৬ বলে করেন ৫১ রান।

আসিফের বিদায়ের পরও ম্যাচ হেলেছিল পাকিস্তানের দিকে। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বাকি কাজটুকু সারতে পারেননি সরফরাজ আহমেদ। পাকিস্তান অধিনায়ক ৩২ বলে অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। শেষে যে ঝড় তার কাছ থেকে প্রত্যাশিত ছিল সেটি এদিন উঠেনি। তাই খুব কাছে গিয়েও পারেনি পাকিস্তান।

রান উৎসবের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি দ্যুতি ছড়ানো বাটলার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

আগামী বুধবার ব্রিস্টলে হবে তৃতীয় ওয়ানডে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৭৩/৩ (রয় ৮৭, বেয়ারস্টো ৫১, রুট ৪০, মর্গ্যান ৭১*, বাটলার ১১০*; আফ্রিদি ১/৮০, আশরাফ ০/৬৯, ওয়াসিম ০/৬৩, হাসান ১/৮১, ইয়াসির ১/৬০, সোহেল ০/১৬)

পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৬১/৭ (ইমাম ৩৫, ফখর ১৩৮, বাবর ৫১, আসিফ ৫১, হারিস ১৪, সরফরাজ ৪১*, ওয়াসিম ৮, আশরাফ ৩, হাসান ৪*; ওকস ১/৭২, উইলি ২/৫৭, মইন ১/৬৬, প্লানটে ২/৬৪, রশিদ ১/৮১, স্টোকস ০/১৫)

ফল: ইংল্যান্ড ১২ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: জস বাটলার