দুর্দান্ত মাশরাফি, খরুচে মুস্তাফিজ
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ডাবলিন থেকে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 07 May 2019 10:14 PM BdST Updated: 08 May 2019 05:00 AM BdST
প্রথম স্পেলে বোলিং আঁটসাঁট হলেও উইকেট শূন্য। দ্বিতীয় স্পেলও একই রকম। শেষ স্পেলে দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচের মোড়। অধিনায়কের দুর্দান্ত বোলিংয়ের দিনে হতাশ করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসার প্রতিটি স্পেলেই ছিলেন ভীষণ খরুচে।
নিজের সবশেষ ওয়ানডেতে গত ফেব্রুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৯৩ রান দিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। মঙ্গলবার ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ ওভারে গুনেছেন ৮৪ রান। অথচ এই দুই ম্যাচের আগে ওয়ানডেতে কখনোই ৬৩ রানের বেশি দেওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল না তার। দুই ম্যাচেই অবশ্য শেষ দিকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন, তবে খুব প্রভাব তা ফেলতে পারেনি।
তিনশ রানের দিকে ছুটতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ পথ হারায় মাশরাফির দারুণ বোলিংয়েই। বাংলাদেশ অধিনায়কের স্পেল শেষে ক্যারিবিয়ানদের আড়াইশ নিয়ে ছিল টানাটানি। তবে মুস্তাফিজ শেষটা ভালো করতে পারেননি বলেই তারা শেষ পর্যন্ত যেতে পারে ২৬১ পর্যন্ত।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচও হয়েছিল এই উইকেটেই। ব্যবহৃত উইকেট ছিল খানিকটা মন্থর। অনেকবারই বল এসেছে একটু থেমে। এই ধরনের উইকেটে মুস্তাফিজের কার্যকারিতা বেড়ে যায় সাধারণত। তবে চোট থেকে ফিরেছেন বলেই হয়তো এ দিন ছন্দে ছিলেন না বাঁহাতি পেসার। গত ৮ এপ্রিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে খেলার পর অনুশীলনে চোট পেয়েছিলেন। এরপর বেশ কিছু দিন বোলিং করেননি। আয়ারল্যান্ডে আসার পর বোলিং শুরু করলেও খেলেননি প্রস্তুতি ম্যাচ। নিজেকে ফিরে পেতে হয়তো লাগতে পারে সময়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই ম্যাচেও অধিনায়ক ছিলেন দলের সেরা বোলার। উইকেট পেতে পারতেন নিজের প্রথম ওভারেই। সুনিল আমব্রিসের বিরুদ্ধে নিশ্চিত এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। খানিক পর তার বোলিংয়েই আমব্রিসের ক্যাচ অল্পের জন্য যায়নি ফিল্ডারের হাতে।
আমব্রিস ও শেই হোপ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ শুরু এনে দেন। তবে নতুন বলে ৬ ওভারে মাশরাফি দেন মাত্র ১২ রান। পরে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে থিতু হয়ে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যান হোপ ও রোস্টন চেইসকে বোলিং করে ২ ওভারে দেন ১২।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল উইকেট। হোপ ও চেইসের ব্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছুটছিল তিনশ রানের পথে। শেষ স্পেলে ফিরে দলের সেই প্রয়োজনও মেটান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫১ রান করা চেইসকে ফিরিয়ে ভাঙেন ১১৫ রানের জুটি।
কাজ বাকি ছিল তখনও। মাশরাফি সেটিও পূরণ করেছেন দারুণভাবে। নিজের শেষ ওভারে সেঞ্চুরিয়ান হোপকে ফেরানোর পর বিদায় করে দেন বিপজ্জনক জেসন হোল্ডারকেও। সেই ধাক্কা শেষ দিকেও আর সেভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। ২ উইকেটে ২০৫ থেকে তারা থেমে যায় ৯ উইকেটে ২৬১ রানে।
গত ডিসেম্বরে এই দুই দলের সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন মাশরাফি। এবার ১০ ওভারে ৪৯ রানে ৩ উইকেট, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের জন্য লক্ষ্যটা নাগালে রাখায় বড় অবদান অধিনায়কেরই।
সর্বাধিক পঠিত
- শেবাগ ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশের সাবেকরা
- বার্সা কোচ কুমানের চাওয়া রিয়ালের জয়!
- ঘরে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ, পাশে ‘সুইসাইড নোট’
- পান্তের দিকে ‘তাকিয়ে’ গিলক্রিস্ট
- ফাইনালে বার্সার প্রতিপক্ষ বিলবাও
- ১ হাজার হবে অ্যান্ডারসনের?
- ভারতে ‘প্রেম করায়’ বাবার হাতে মেয়ের শিরশ্ছেদ
- কোর্তোয়া বনাম ওবলাক: লড়াইটা তাদেরও
- দলের ওপর চাপ কমাতে বললেন মাশরাফি
- টিভি সূচি (শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১)