‘পরিণত হয়ে’ ফিরেছেন ফরহাদ রেজা

সাত বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডে দলে ফেরা ফরহাদ রেজা ভাসছেন খুশির জোয়ারে। টানা ভালো খেলে যাওয়ার পুরস্কার পাওয়া অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার মনে করেন, পরিণত হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2019, 02:13 PM
Updated : 28 April 2019, 02:13 PM

২০১১ সালের ডিসেম্বরে তার ৩৪ ওয়ানডের সবশেষটি খেলেছিলেন ফরহাদ। আয়ারল্যান্ডে হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে ডাক পাওয়ার পর রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শোনালেন তার লড়াইয়ের গল্প।

“প্রথমে শুনেছিলাম ৩০ সদস্যের দলে আছি। খুব ভালো লেগেছিল যে অনেক দিন পর...একজন খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে এখানে আসার জন্য। এরপর যখন বাদ পড়লাম একটু তো কষ্ট লেগেছেই যে, পারফর্ম করেছি এরপরেও সুযোগ পেলাম না।”

“তবে অনেকে বিশ্বাস করেছিল যে সুযোগ আসবে। তাদের মধ্যে দুজন সবসময় আমাকে বলেছে যে, ‘তুমি হতাশ হয়ো না, যেকোনো সময় সুযোগ আসবে।’ তার মধ্যে একজন হলেন আমার আম্মা আর আরেকজনের নাম বলবো না। তবে তারা আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছেন।”

একজন ক্রিকেটারের জন্য প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে জেতার আত্মবিশ্বাস ছিল বলে জাতীয় দলে ফেরার আশা কখনও হারাননি ফরহাদ।

“আমাদের জন্য প্রতিদিনই চ্যালেঞ্জের। আমি যেখানেই খেলি সেখানেই প্রতিদিন চ্যালেঞ্জ থাকে এবং পরীক্ষা দিতে হয়। তবে কখনও আশা ছাড়িনি। আশা না থাকলে তো মানুষ বাঁচবে না। আমরা যারাই খেলি, যতক্ষণ না অবসর নিচ্ছি এই জার্সির জন্য আমরা লড়াই করবোই।”

২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না ফরহাদ। এই সময়ে নিজেকে অনুপ্রাণিত করাটাই ছিল সবচেয়ে কঠিন।

“ব্যক্তিগতভাবে প্রতিদিন ওয়ার্ক আউট করে ফিট থাকা, এটা খুব কঠিন ছিল। তবে খেলার মধ্যেই ছিলাম। এনসিএল, বিসিএলে ভালো করেছিলাম। বিপিএলে এবার এবি ডি ভিলিয়ার্সসহ আরও বড় বড় খেলোয়াড় এসেছিলেন। এখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি।”

লম্বা বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে শুরুতে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের দারুণ পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা ৩২ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের বিশ্বাস, পরিণত হয়ে ফেরায় দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারবেন তিনি। 

“আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে যারা আছে তাদের তো ঘরোয়া ক্রিকেটেই খেলতে হবে। সেখানে খেলে তবেই না এই জায়গায় আসতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলে তো আসতে পারবে না।”

“গত মৌসুমে ৬৭ উইকেট পেয়েছিলাম। এই মৌসুমে পেয়েছি ১০০টি উইকেট। অবশ্যই উন্নতি হচ্ছে। আমি অনেক কিছু বুঝতে পারছি এখন যা আগে বুঝতাম না। এর আগে আমি ফিল্ডিং সাজাতাম এক দিকে, বল পড়তো আরেক দিকে। তবে এখন অনেক কিছু বুঝতে পারি।”