ইংল্যান্ডে বোলারদের চ্যালেঞ্জ নিতে বললেন মুশফিক

ইংল্যান্ডের ব্যাটিং সহায়ক উইকেট যেন বাংলাদেশের বোলারদের জন্য বধ্যভূমি। পাঁচ উইকেট তো দূরের ব্যাপার, চার উইকেটও নেই কারোর। মুশফিকুর রহিম মনে করেন, ইংল্যান্ডে বিবর্ণ রেকর্ড উজ্জ্বল করার চ্যালেঞ্জ বোলারদের নেওয়া উচিত। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে তাদের এক ধাপ এগিয়ে আসা উচিত।   

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2019, 01:24 PM
Updated : 28 April 2019, 01:24 PM

বিশ্বকাপ দলে থাকা মূল সাত বোলারের কারোর রেকর্ড ইংল্যান্ডে আশা জাগানিয়া নয়। সবচেয়ে বেশি ১৩ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার গড় ৫২.৪০, সেরা ৩/৩১।

৬ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন। তার গড় ৫০.৬৬, সেরা ২/৫২। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার গড় ৭৯.৫০। মুস্তাফিজুর রহমান চার ম্যাচে ১৮৩ রান দিয়ে নিয়েছেন কেবল এক উইকেট।

মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ইংল্যান্ডে কোনো ম্যাচ খেলেননি। আবু জায়েদ চৌধুরীর এখনও ওয়ানডে অভিষেকই হয়নি। মেহেদী হাসান মিরাজ মাত্র ১ ওভার বোলিং করে উইকেটশূন্য।

ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড মোসাদ্দেক হোসেনের অধিকারে। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ১৩ রানে।   

ইংল্যান্ডে তিনশ রান নিয়মিতই হয়। গত বিশ্বকাপের পর থেকে চারশ রান হয়েছে তিনবার। মুশফিক জানেন ব্যাটিং স্বর্গে কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বাংলাদেশের বোলারদের। তাই নিতে বললেন প্রস্তুতি।

“যারা নতুন যাচ্ছে তাদেরকে বলব, এটা তাদের জন্য ভিন্ন একটা চ্যালেঞ্জ। তবে আমার মনে হয়, ওদের সেই সামর্থ্য আছে। গত দুই-তিনটা সিরিজে সেটা দেখিয়েছে তারা। সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজ তো অনেক ভালো করছিল।”

“এটা একটা বড় টুর্নামেন্ট, তারা নিজেদের আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে পারে। তাদের নিজেদের ব্যক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জ নেয়া উচিত। ম্যাচ উইনার এইসব টুর্নামেন্ট থেকেই বের হয়ে আসে। আমাদের নতুন দুই একজন ম্যাচ উইনার যদি বের হয়ে আসে, তাহলে বাংলাদেশ দল ধারাবাহিকভাবে আরও ভালো পারফর্মেন্স করতে পারবে, ঘরের বাইরেও।”

ইংল্যান্ডে সব মিলিয়ে ১৮ ওয়ানডে খেলে চারটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। জয়ের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নিতে বোলারদের দিকে তাকিয়ে আছেন মুশফিক।

“আমাদের দুই-তিনজন বোলার আছে যারা ইংলিশ কন্ডিশন একটু হলেও জানে। আমাদের কি করতে হবে ওই জায়গায় সেটা ওরা জানে। আশা করি, এটা নিয়ে ওরা কাজ করছে। তবে বোলিং ইউনিট হিসেবে ইংল্যান্ড ওদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হবে।”