ইংল্যান্ডে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তামিম ছিলেন টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা পারফরমার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন সেঞ্চুরি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সেঞ্চুরি প্রায় করেই ফেলেছিলেন। ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ৭০। তার আগে ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরও ছিল তার জন্য স্মরণীয়। সেবার লর্ডস ও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে করেছিলেন আগ্রাসী দুটি সেঞ্চুরি। যা তাকে এনে দিয়েছিল উইজডেন বর্ষসেরার স্বীকৃতি।
সেই ইংল্যান্ডে এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যাবেন তামিম। ব্যাটিংয়ে দলের সবচেয়ে বড় ভরসা তিনি। দারুণ সাফল্যপ্রসবা ভূমিতে খেলা বলে তাকে নিয়ে দলের আশাও আকাশ ছোঁয়া। তবে ক্রিকেটের বাস্তবতা জানেন তামিম। বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে বললেন, কষ্ট করেই সাফল্য পেতে হবে।
“এগুলো নিয়ে আমি এক ফোটাও ভাবি না যে ইংল্যান্ডে ভালো করেছি। আমার কাছে মনে হয়, এসব ভাবলে তা আমার একটুও কাজে লাগবে না। বরং আরও কঠিন হবে, যদি বিশ্বকাপে সফল হতে চাই। আমাকে শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে।”
বিশ্বকাপের সঙ্গে অবশ্য বোঝাপড়ার বেশ বাকি আছে তামিমের। সব সংস্করণে বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসম্যান তিনি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপে রেকর্ড ভীষণ বিবর্ণ। তিনটি বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচ খেলে ফিফটি কেবল ৩টি, ব্যাটিং গড় ২৩।
এবার নিশ্চিতভাবেই সেই রেকর্ড উজ্জ্বল করতে চাইবেন তামিম। যদিও অভিজ্ঞতা তাকে শিখিয়েছে, কোনো কিছু নিয়ে অতি বড় আশা না করতে।
“কোনো লক্ষ্য নেই, কোনা কিছুই নেই। কারণ আমার মনে হয়, যখনই আমি কোনো কিছু নিয়ে বেশি ভাবি, কোনোভাবে তা অর্জন করতে পারি না। এবার তাই বেশি ভাবছি না। বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি নেই, এই নেই, সেই নেই-সবই জানি। এখন অতীত তো আমি বদলাতে পারব না!”
“আবার এই বিশ্বকাপে যদি টার্গেট করে যাই যে সেঞ্চুরি করব বা অনেক রান করব, তাহলে অপ্রয়োজনীয় চাপ নেওয়া হবে। আমি এটা চাই না। ভাবার আরও অনেক কিছু আছে। দল আমাকে যে ভূমিকা দেবে, সেটি যদি ভালোভাবে পালন করতে পারি, তাহলেই সুযোগ আসবে বড় ইনিংস খেলার। দলকে ভালো শুরু এনে দেওয়াই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”