‘খুব স্বাভাবিক ক্রিকেট’ খেলে সৌম্যর ইতিহাস
ক্রীড়া প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 23 Apr 2019 07:00 PM BdST Updated: 23 Apr 2019 09:06 PM BdST
-
ফাইল ছবি
তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সৌম্য সরকার। ১৯০-এ যাওয়ার আগ পর্যন্ত নাকি স্নায়ু চাপ অনুভব করেননি খুব একটা। ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে টের পান চাপ। তবে শেষ ১০ রান যেভাবেই হোক তুলে নেওয়ার পরিকল্পনায় অটল ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ার পর সৌম্য জানালেন, কেবল স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলে যাওয়ার কথাই ভাবছিলেন তিনি।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মঙ্গলবার শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে অপরাজিত ২০৮ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন সৌম্য। ৯ উইকেটে জিতে শিরোপা ধরে রাখে আবাহনী। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সৌম্য জানান, তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য দেখে শুরুতে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
“তিনশ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করা সব সময়ই কঠিন। ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আগে ভাবছিলাম আগের ম্যাচে আমরা ৩০০ করেছিলাম….। রূপগঞ্জ একটু তাড়াহুড়ো করেছিল। পাওয়ার প্লেতে উইকেট যাওয়াতে সেভাবে চড়াও হতে পারেনি। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিল।”
“আমরা পরিকল্পনা করছিলাম খুব স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলব। প্রথম ১০ ওভারে যদি ৪০ রানও হয় কোনো সমস্যা নয়। এই উইকেটে যখন–তখন মারা যায়। সব ব্যাটসম্যানের এই সামর্থ্য আছে। আর উইকেটটা খুব ভালো ছিল। বল ব্যাটে আসছিল। চেষ্টা করেছি বড় জুটি করতে, যেন ২০ ওভারের মধ্যে এমন কিছু করি যাতে পরের ৩০ ওভারে কাজটা সহজ হয়।”
যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি, রান তাড়ায় লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম তিনশ ছোঁয়া জুটিতে দলকে সহজ জয়ই এনে দেন সৌম্য। বাঁহাতি এই ওপেনার জানান, দুই জনের মাইলফলকের কথা চিন্তা করেই শেষের দিকে একটু মন্থর ব্যাটিং করেন তিনি ও জহুরুল ইসলাম।
“১৯০ পর্যন্ত কোনো চাপ ছিল না। তখন মনে হচ্ছিল, না, সুযোগটা ছাড়া যাবে না। যেকোনো উপায়ে করতেই হবে। একটু নার্ভাসনেস কাজ করছিল, কোনো কারণে যদি ‘বাই’ রান হয়ে যায় (জহুরুল) অমি ভাইয়ের (সেঞ্চুরি) হবে না, আমারও (ডাবল সেঞ্চুরি) হবে না। তখন দুজনই এক–এক করে খেলছিলাম। একই সঙ্গে যাচ্ছিলাম।”
লিগের শুরুতে আশা জাগিয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারছিলেন না সৌম্য। পরে ভোগাচ্ছিল ভালো শুরুও না পাওয়াটা। শেষ দুই ম্যাচে ফিরে পেলেন নিজেকে। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে করলেন সেঞ্চুরি।
“ব্যাটিংয়ে পার্থক্য নেই। আমার ব্যাটিং আমার কাছেই আছে। আগের ম্যাচগুলোয় রান করিনি। এখন করছি। আক্ষেপ হচ্ছিল, শুরুতে ৩০–৪০ করে আউট হচ্ছিলাম। মাঝে কিছু ম্যাচে ১, ২, শূন্য রানে আউট হয়েছি। পরে মনে হলো ১, ২, শূন্য রানের চেয়ে ৩০–৪০ ভালো, ওটাতে আগে ফিরতে হবে।”
“যখন ৩০–৪০ রান করেছি, তখন মনে হয়েছে আজ এই রানে ফেরা যাবে না। আজ ৫০ করতেই হবে। মাঠেই পরিকল্পনা করেছি। আগ থেকেই পরিকল্পনা করে গেলে হচ্ছিল না। চিন্তা করছিলাম উইকেট ভালো ছিল। সুযোগ ছিল রানটা বড় করার।”
ঠিক সময়ে রানে ফিরলেন সৌম্য। টানা দুই ম্যাচে খেললেন তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস। বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিজেকে মেলে ধরে একাদশে জায়গার দাবিটা জানিয়ে রাখলেন এই তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
-
বিশ্বকে নিয়ে ম্যাথিউসের প্রতিরোধ
-
সাকিব যা পারলেন, নাঈমদের যা পারতে হবে
-
‘এই উইকেটে প্রথম ইনিংসে বড় রান খুব গুরুত্বপূর্ণ’
-
‘শতভাগ বিশ্বাস ছিল, অনুশীলন ছাড়াই পারবে সাকিব’
-
প্রথম দিনে দুই দলকে সমতায় দেখছেন হেরাথ
-
চারশর নিচে থামাতে চায় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য ৫০০
-
বাংলাদেশকে হতাশ করে ম্যাথিউসের সেঞ্চুরি
-
‘অসাধারণ খেলোয়াড় সাইমন্ডস মানুষ হিসেবে ছিল চমৎকার’
সর্বাধিক পঠিত
- সিটির হোঁচটে লিভারপুলের আশার পালে দোলা
- 'ভয়ঙ্কর' কাদিসে পারল না রিয়াল
- ‘অস্ট্রেলিয়া হারাল আরেক নায়ককে’
- শ্রীলংকায় ফের সংগঠিত হচ্ছে তামিল টাইগাররা, গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা
- মেসি-এমবাপের নৈপুণ্যে পিএসজির বড় জয়
- সাকিব যা পারলেন, নাঈমদের যা পারতে হবে
- পি কে হালদারের জের টানছে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো
- সড়ক দুর্ঘটনায় অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মৃত্যু
- তাজমহলের সেই বন্ধ কক্ষগুলোর রহস্য কী?
- পাওয়ারকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, বিজেপি নেতাকে চড় মারলেন এনসিপি কর্মী