রেলিগেশন লিগের শেষ ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে ব্রাদার্স। ২৩৬ রানের লক্ষ্য ২২ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় তারা।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে রোববার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বিকেএসপির। ১৭ ওভারে ৫৪ রান তুলতে তারা হারিয়ে ফেলে প্রথম তিন ব্যাটনম্যানকে।
দুই ছক্কায় ১৭ বলে ২১ রান করে ফিরে যান শামীম হোসেন। কিপার-ব্যাটসম্যান আকবের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটিতে দলকে পথ দেখান আমিনুল। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা অধিনায়ক আকবর ৬২ বলে ৫৬ রান করে ফিরলে ভাঙে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটিটি।
শেষ পর্যন্ত ৯০ রানে অপরাজিত থেকে যান আমিনুল। তার ১০৫ বলের ইনিংসটি গড়া তিনটি চার ও দুটি ছক্কায়।
রান তাড়ায় শুরুতেই জুনায়েদ সিদ্দিক ও মিজানুর রহমানকে হারায় ব্রাদার্স। তৃতীয় উইকেটে শরিফুল ইসলামের সঙ্গে ১২৯ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান মাহমুদ। ৯৭ বলে ৬ চারে ৬৫ রান করেন শরিফুল।
বেশিক্ষণ টিকেননি ইয়াসির আলী চৌধুরী। সাউদ শাকিলকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন মাহমুদ। চলতি আসরে তৃতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যনের ১১৭ বলে খেলা ১২৭ রানের ইনিংসটি সাজানো পাঁচ ছক্কা ও সাত চারে। দলকে প্রিমিয়ার লিগে টিকিয়ে রাখা ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মাহমুদ।
রান রেটে উত্তরাকে (-০.৪৮) পেছনে ফেলে দশ নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে ব্রাদার্স (-০.৩৮৫)।
বিকেএসপির সঙ্গে প্রথম বিভাগে নেমে গেছে উত্তরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বিকেএসপি: ৫০ ওভারে ২৩৫/৭ (ফাহাদ ১৩, রাতুল ২৭, নওরোজ ২, আমিনুল ৯০*, শামিম ২১, আকবর ৫৬, সাদমান ১৬, মুজিবুল ১; শাহজাদা ২/৪৭, হাবিবুর ১/৩৬, শাকিল ১/৪৬, শরিফউল্লাহ ১/৫১, নাঈম জুনিয়র ২/৫২)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৭.২ ওভারে ২৪১/৪ (মিজানুর ৮, জুনায়েদ ০, শরিফুল ৬৫, মাহমুদ ১২৭*, ইয়াসির ১৬, শাকিল ১২*; সুমন ১/৩৭, মুজিবুল ১/৩৮, শামিম ১/৪৪, মুরাদ ০/৪৯, ইকবাল ০/৪৯, সাদমান ১/২১)
ফল: ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ফজলে মাহমুদ