ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ পর্বে ৭ উইকেটে জিতেছে ফরহাদ রেজার দল। ২৪৪ রানের লক্ষ্য ৬৯ বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে রোববার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইলিয়াস সানিকে হারায় শেখ জামাল। টপ অর্ডারের অন্য দুই ব্যাটসম্যান ইমতিয়াজ হোসেন ও রাকিন আহমেদ পারেননি ভালো শুরুটা বড় করতে।
নাসির হোসেন, নুরুল হাসান সোহানও ব্যর্থ নিজেদের ইনিংস বড় করতে। প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্য পাঁচ জন যান দুই অঙ্কে। তাদের মধ্যে পঞ্চাশ ছাড়ান তানবীর হায়দার। এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার ৬৩ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় করেন ৬৯ রান।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা ৩ উইকেট নেন ৪৪ রানে। তাইবুর রহমান ৫০ রানে নেন ৩ উইকেট।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি দোলেশ্বরের। আসলাম হোসেনকে ফিরিয়ে দেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। সৈকত আলীকে শূন্য রানে ফেরান তাইজুল ইসলাম।
ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে ১৭০ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন সাইফ। দুই ব্যাটসম্যান এগিয়ে যান একই ছন্দে। ৬০ বলে ফিফটি ছোঁয়া ফরহাদকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাইজুল। দোলেশ্বরের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৮০ বলে সাত চার ও তিন ছক্কায় ফিরেন ৭৮ রান করে।
মার্শাল আইয়ুবকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন সাইফ। এই আসরেই খেলাঘরের বিপক্ষে করা আগের সেরা অপরাজিত ১৩২ ছাড়িয়ে করেন ১৪৮ রান। তার ১১৬ বলের ইনিংসটি গড়া ১১ ছক্কা ও ১০ চারে।
এই ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় রকিবুল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে উঠে এলেন সাইফ। দুই জনেরই রান ৭৫৯ করে।
১৫ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে দোলেশ্বর। রান রেটে এগিয়ে তিন নম্বরে আছে শেখ জামাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ৪৯.৩ ওভারে ২৪৩ (ইমতিয়াজ ৩৩, সানি ২, রাকিন ৩৮, নাসির ২৩, সোহান ৩৬, তানবীর ৬৯, জিয়া ১, এনামুল ৫, তাইজুল ২২, শাহবাজ ৩*, খালেদ ০; মানিক ১/৫৪, রেজা ৩/৪৪, রাজিউর ১/৩৬, এনামুল জুনিয়র ১/৩৮, তাইবুর ৩/৫০, মাহমুদুল ০/২১)
প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব: ৩৮.৩ ওভারে ২৪৪/৩ (সাইফ ১৪৮*, আসলাম ৬, সৈকত ০, ফরহাদ ৭৮, মার্শাল ৫*; তাইজুল ২/৪৪, খালেদ ১/৪৫, নাসির ০/২৭, সানি ০/৫৪, শাহবাজ ০/৩৫, তানবীর ০/২৬, এনামুল হক ০/১৩)
ফল: প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: সাইফ হাসান