আবাহনীর হয়ে আগের ১১ ম্যাচে সৌম্য করেছিলেন মোটে ১৯৭ রান। বিকেএসপির ব্যাটিং স্বর্গে খেললেন ৭৯ বলে ১০৬ রানের ঝড়ো ইনিংস। এর মধ্যে ৭২ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে। ১৫টি চারের পাশে আছে দুটি ছক্কা।
শেষের দিকে রানের জন্য সংগ্রাম করছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় থাকা সৌম্য। শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ১, প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ২ রানে ফিরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। মোহামেডানের বিপক্ষে বিদায় নেন ১৭ রান করে।
প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে মিরপুরে অফ স্পিনার নাঈম হাসানকে বেরিয়ে গিয়ে খেলার চেষ্টায় দ্বিতীয় বলে ফিরেন স্টাম্পড হয়ে। সেই ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি।
ছন্দে ফিরতে, একাদশে নিজের দাবি জানিয়ে রাখতে খুব বেশি ম্যাচ নেই সৌম্যর হাতে। ঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন এই তরুণ। রূপগঞ্জের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে স্ট্রোকের পসরা সাজিয়ে ছুঁলেন তিন অঙ্ক, লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে তার পঞ্চম সেঞ্চুরি।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হন সৌম্য। ৩৯ বলে পৌঁছান পঞ্চাশে, এবারের আসরে তার প্রথম ফিফটি। পরের পঞ্চশ ছুঁতে লাগে কেবল ৩২ বল। নাবিল সামাদের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৭১ বলে সৌম্য পৌঁছান শতরানে।
সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যেতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। তবে ছন্দে ফেরার আভাস দিলেন সৌম্য। এগিয়ে আসছে বিশ্বকাপ, তিনিও ফিরছেন স্বরূপে।