শ্রীলঙ্কার টেস্ট দলের অধিনায়ক হলেও ওয়ানডে দলে অনেক দিন ধরেই সুযোগ পাচ্ছিলেন না করুনারত্নে। বাঁহাতি ওপেনার সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন সেই গত বিশ্বকাপে। সেদিক থেকে এটি বড় চমকই। তবে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে সাম্প্রতিক নানা বিতর্ক ও দুযোর্গের মধ্যে গত কিছুদিনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, করুনারত্নেকে করা হতে পারে বিশ্বকাপের অধিনায়ক। সেদিক থেকে এই খবর প্রত্যাশিতই।
টেস্ট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান করুনারত্নের ওয়ানডে রেকর্ড বেশ বাজে। ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ১৭ ওয়ানডে খেলে গড় ১৫.৮৩। লিস্ট ‘এ’ রেকর্ডও খুব সমৃদ্ধ নয়। সম্প্রতি ঘরোয়া একদিনের ম্যাচের প্রতিযোগিতায় অবশ্য বেশ ভালোই পারফর্ম করেছেন।
মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকেই করুনারত্নেকে বিশ্বকাপে অধিনায়ক করার ভাবনা শুরু। সেই ভাবনা আরও জোরালো হয় মালিঙ্গার নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর।
মালিঙ্গার নেতৃত্বে এ পর্যন্ত ৯ ওয়ানডের সবকটি হেরেছে শ্রীলঙ্কা। দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে তার শীতল সম্পর্কের কথা নিয়েও খবর হয়েছে বেশ। কিছুদিন আগে থিসারা পেরেরার সঙ্গে দ্বন্দ্বের ব্যাপারটি প্রকাশ্যে এসেছিল।
মালিঙ্গা ও করুনারত্নে ছাড়া নেতৃত্বের লড়াইয়ের ছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তবে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর খবর, নির্বাচকেরা চাইলেও তিনি নিজে থেকে রাজি হননি। এর আগে কয়েক দফায় অধিনায়কত্ব করেছেন ম্যাথিউস। সবশেষ চন্দিকা হাথুরুসিংহে কোচ হওয়ার পর তার অনুরোধে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু গত এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর হাথুরুসিংহের সুপারিশেই তাকে অধিনায়ক থেকে বাদ দেওয়া হয়। কোচের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের খবরটিও তখন প্রকাশ্যে আসে। পরে লঙ্কান বোর্ড হাথুরুসিংহের ক্ষমতা অনেক কমালেও এখনও তিনিই কোচ আছেন।
ম্যাথিউস ও মালিঙ্গা, দুজনই অবশ্য বিশ্বকাপ দলে থাকবেন বলে আভাস মিলেছে। বৃহস্পতি বা শুক্রবার ঘোষণা করা হতে পারে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের এবারের দল।