নাসিরের অলরাউন্ড দ্যুতিতে ম্লান মোসাদ্দেকের সেঞ্চুরি

চার বলের মধ্যে তিন উইকেট নিয়ে আবাহনীকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন নাসির হোসেন। তবে লড়াকু এক সেঞ্চুরিতে শিরোপাধীদের লড়াই করার মতো রান এনে দিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। রান তাড়ায় ব্যাটিংয়েও ভালো করলেন নাসির হোসেন। এগিয়ে এলেন অন্যরাও। আবাহনীকে হারিয়ে পঞ্চম দল হিসেবে সুপার সিক্সে জায়গা করে নিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2019, 11:06 AM
Updated : 10 April 2019, 04:10 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একাদশ রাউন্ডে ৩ উইকেটে জিতেছে শেখ জামাল। ২১২ রানের লক্ষ্য ৭ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় তারা।

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে বুধবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নাসিরে ছোবলে শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীর। ১৪ রানের মধ্যে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারায় দলটি। ষষ্ঠ ওভারে চার বলের মধ্য তিন উইকেট নেন নাসির।

মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন মোসাদ্দেক। তিন চারে ৩৩ রান করা মিঠুনকে বোল্ড করে ৬০ রানের জুটি ভাঙেন ইলিয়াস সানি। বাঁহাতি এই স্পিনার দ্রুত ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে।

মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে ৫০ রানের আরেকটি জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মোসাদ্দেক। দ্রুত রান তোলায় চেষ্টা থাকা মাশরাফিকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন জিয়াউর রহমান। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৯০ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া মোসাদ্দেক মনোযোগ দেন রানের গতি বাড়ানো দিকে। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।

পাঁচ চারে ২৬ রান করে আল মামুন রান আউট হয়ে গেলে ভাঙে ৫৭ রানের জুটি। ইনিংসের শেষ ওভারে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিতে পৌঁছান মোসাদ্দেক। আবাহনী অধিনায়ক ১৩৯ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে।

অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নাসির ৩ উইকেট নেন ২৪ রানে। বাঁহাতি স্পিনার সানি ৪২ রানে নেন ২ উইকেট।

রান তাড়ায় শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শেখ জামাল। ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে ৬৯ ও নাসিরের সঙ্গে ৬০ রানের দুটি দারুণ জুটিতে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান অনুষ্টুপ মজুমদার। চারটি চারে ৮২ বলে ৫৬ রান করা ভারতীয় এই ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে থামান সাইফ।

ক্রিজে গিয়েই স্পিনারদের ওপর চড়াও হন নাসির। ৫৬ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৫ রান করা এই অলরান্ডারকে এলবিডব্লিউ করে বিদায় করেন সৌম্য। তিনি পরে ফিরিয়ে দেন জিয়াকে। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার এনামুল হককে নিয়ে বাকিটা সারেন তানবীর হায়দার। ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন নাসির।

১১ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এলো শেখ জামাল। সমান ম্যাচে টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে তৃতীয় হারের স্বাদ পেল আবাহনী। ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে প্রাথমিক পর্ব শেষ করা লেজেন্ডন্স অব রূপগঞ্জের চেয়ে ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়লো তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আবাহনী: ৫০ ওভারে ২১১/৯ (জহুরুল ৯, সৌম্য ১, জাভেদ ৩, শান্ত ০, মিঠুন ৩৩, মোসাদ্দেক ১০১*, সাইফ ৮, মাশরাফি ২০, আল মামুন ২৬, সানজামুল ১, নাজমুল ১*; শাকিল ১/৪৩, নাসির ৩/২৪, জিয়া ১/৫৯, তাইজুল ০/৩৯, সানি ২/৪২, এনামুল ০/৪)

শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ৪৮.৫ ওভারে ২১৫/৭ (ইমতিয়াজ ৩০, হাসান ৩, সানি ০, অনুষ্টুপ ৫৬, সোহান ০, নাসির ৪৫, তানবীর ৩৮*, জিয়া ১৬, এনামুল ১৫*; অপু ১/৩৩, সাইফ ২/৩৯, সানজামুল ২/৪১, মাশরাফি ০/৪০, আল মামুন ০/১৩, সৌম্য ২/২৯, মোসাদ্দেক ০/১৫)

ফল: শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ৩ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: নাসির হোসেন