শাইনপুকুর-বিকেএসপির নাটকীয় টাই

বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচে জিততে পারেনি কেউই। কম রানের রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় টাই হয়েছে বিকেএসপি ও শাইনপুকুরের লড়াই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2019, 12:20 PM
Updated : 30 March 2019, 12:20 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে ২২২ রান তাড়ায় ৯ উইকেটে ২২২ রানে থামে আফিফ হোসেনের দল। লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগে এটি তৃতীয় টাই। ২০১৬ সালে টাই হয়েছিল রূপগঞ্জ ও ভিক্টোরিয়ার লড়াই। ২০১৮ সালে একই ফল হয় প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচে।  

এবারের আসরের আগে হয়ে যাওয়া প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে দোলেশ্বরের বিপক্ষে টাই করেছিল বিকেএসপি।

ফতুল্লায় শনিবার জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন ছিল শাইনপুকুরের। থিতু ব্যাটসম্যান উন্মুক্ত চাঁদ তানজিম হাসানের প্রথম তিন বল থেকে নিতে পারেন কেবল তিন রান।

চতুর্থ বলে চার হাঁকিয়ে শাইনপুকুরের আশা বাঁচিয়ে রাখেন দেলোয়ার হোসেন। পরের বলে দুই রানের চেষ্টায় রান আউট হয়ে ফিরেন তিনি। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ রান। এবার দুই রানের চেষ্টায় রান আউট হয়ে যান চাঁদ। ম্যাচ রয়ে যায় অমিমাংসিত। 

খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পারভেজ হোসেনকে হারায় বিকেএসপি। মন্থর ব্যাটিংয়ে দলকে টানেন আমিনুল ইসলাম ও প্রান্তিক নওরোজ। ২০.৪ ওভারে দুই তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান গড়েন ৭৪ রানের জুটি।

৫৩ বলে ৩৫ রান করে আমিনুলের বিদায়ে ভাঙে জুটি। গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান শামিম হোসেন। বেশিক্ষণ টিকেননি আকবর আলী।

বিকেএসপির রানের গতিতে দম দেন আব্দুল কাইয়ুম। দ্রুত তার সঙ্গে জমে যায় নওরোজের জুটি। ১৩৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৮১ রান করা ওপেনারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থ শরিফুল ইসলাম।

এরপর প্রায় একার চেষ্টায় দলকে ২২২ রানে নিয়ে যান কাইয়ুম। ৬৬ বলে খেলা তার ৭০ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস গড়া পাঁচ চার ও এক ছক্কায়।

শাইনপুকুরের পেসার দেলোয়ার ৩ উইকেট নেন ৩৩ রানে। শরিফুল ৪২ রানে নেন ২ উইকেট।

রান তাড়ায় সাব্বির হোসেনের সঙ্গে ৮৪ রানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন সাদমান ইসলাম। ৫৩ বলে ৩৬ রান করা সাব্বিরকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন কাইয়ুম। পরে ফিরিয়ে দেন ৭৮ বলে ৪৫ রান করা সাদমানকে।

আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটিতে দলকে টানেন ভারতীয় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান চাঁদ। একটি করে ছক্কা-চারে অধিনায়ক ২৭ রান করে ফিরে গেলে ভাঙে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি।

মিডল অর্ডারে ছোবল দেন হাসান মুরাদ। দ্রুত ফিরিয়ে দেন শুভাগত হোম, ধীমান ঘোষ ও সোহরাওয়ার্দী শুভকে। তবুও চাঁদ ছিলেন বলে ম্যাচে এগিয়ে ছিল শাইনপুকুরই।

৮৭ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ৭৪ রানের চমৎকার ইনিংসেও দলকে জেতাতে পারেননি চাঁদ। শেষ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে বিকেএসপির হার এড়ান তানজিম হাসান।     

মুরাদ ৩ উইকেট নেন ৪১ রানে। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন কাইয়ুম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বিকেএসপি: ৫০ ওভারে ২২২/৮ (নওরোজ ৮১, পারভেজ ৪, আমিনুল ৩৫, শামিম ০, আকবর ১১, কাইয়ুম ৭০, তানজিম ৫, সাদমান ৭, মুকিদুল ১*; দেলোয়ার ৩/৩৩, শরিফুল ২/৪২, শুভাগত ০/৪২, টিপু ০/১৫, আফিফ ১/৫০, শুভ ১/৩৯)

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২২২/৯ (সাদমান ৪৫, সাব্বির ৩৬, চাঁদ ৭৪, হৃদয় ১, আফিফ ২৭, শুভাগত ৩, ধীমান ১৪, শুভ ২, দেলোয়ার ৬, শরিফুল ০*; মুকিদুল ০/৪৮, শামিম ১/৩০, তানজিম ০/৩৪, মুরাদ ৩/৪১, ইকবাল ০/৩৭, কাইয়ুম ২/৩১) 

ফল: টাই

ম্যান অব দা ম্যাচ: আব্দুল কাইয়ুম