মূলত অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া বিকেএসপি লড়াই করল যথেষ্ট। কিন্তু পেরে উঠল না শেষ পর্যন্ত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব জিতল ৩ উইকেটে।
ফতুল্লায় বুধবার বিকেএসপি গুটিয়ে গিয়েছিল ১৬০ রানেই। স্বল্প পুঁজিতে হাল না ছেড়ে বিকেএসপির বোলাররা কঠিন করে তুলেছে প্রতিপক্ষের কাজ। পরে তাইবুরের দুর্দান্ত ইনিংসে দোলেশ্বর জিতেছে ৪৫ ওভার খেলে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বিকেএসপি ভুগেছে ব্যাটসম্যানদের অভিজ্ঞতাহীনতায়। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের সবাই ১৫ পেরিয়েছেন, কিন্তু ৩০ ছাড়াতে পারেননি একজনও। পরেও সেভাবে ভরসা হতে পারেননি কেউ।
ওপেনার প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের ৩০ রান দলের সর্বোচ্চ। ছোট ছোট জুটি গড়ে উঠেছে বেশ কটি, কিন্তু ফিফটি জুটি নেই একটিও।
বিকেএসপি বেশি ভুগেছে মাঝের ওভারগুলোয়। দুই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আরফাত সানি ও এনামুল হক জুনিয়র নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। সৈকত আলির মিডিয়াম পেসেও এসেছে দুই উইকেট।
রান তাড়ায় প্রাইম দোলেশ্বর ধুঁকেছে শুরু থেকে। টপ অর্ডারে দাঁড়াতে পারেননি কেউ। লোয়ার মিডল অর্ডারেও আসেনি রান। দু অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল মিডল অর্ডারে দুজন। সেই দুজনই দলকে এগিয়ে নিয়েছেন জয়ের কাছে।
দোলেশ্বরের প্রথম চার ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন মোটে ২৪ রান। আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাইফ হাসান ফিরেছেন শূন্যতে।
তবে পাঁচে নেমে সৈকত ৪৩ রান করেন একটি করে চার ও ছক্কায়। তাইবুরের সঙ্গে জুটিতে আসে ৫৭ রান।
সৈকত যখন ফিরলেন, পথের বাকি তখনও বেশ অনেকটা। আরেক পাশে উইকেট পড়লেও ঘরোয়া ক্রিকেটের পরীক্ষিত ক্রিকেটার তাইবুরকে দমাতে পারেনি বিকেএসপির তরুণরা। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরেছেন বাঁহাতি তাইবুর।
ছয় ম্যাচে দোলেশ্বরের এটি পঞ্চম জয়। বিকেএসপি হারল চারটিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বিকেএসপি: ৪৪.৪ ওভারে ১৬০ (প্রান্তিক ৩০, মাহমুদুল ২০, আমিনুল ১৮, শামিম ২০, আকবর ২৮, পারভেজ ১, তানজিম ১৭, নওশাদ ৯, মুরাদ ৬, আবু নাসের ১, মুকিদুল ৩*; ফরহাদ ০/২৮, আবু জায়েদ ১/১৮, সানি ২/২৯, সৈকত ২/৩৮, এনামুল জুনিয়র ২/৩৯, সাদ ১/৩)।
প্রাইম দোলেশ্বর: ৪৫ ওভারে ১৬৫/৭ (ইমরান ৭, সাইফ ০, মাহমুদুল ৯, মার্শাল ৮, সৈকত ৪৩, তাইবুর ৬১*, সাদ ৫, ফরহাদ ৮, এনামুল জুনি. ৩*; মুকিদুল ১/২৭, শামিম ০/২১, তানজিম ৩/৩৫, আবু নাসের ০/১৫, মুরাদ ১/৩১, নওশাদ ২/২৭, আমিনুল ০/২)।
ফল: প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ৩ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: তাইবুর রহমান