গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১১৭ বলে ১২১ রানের দুর্দান্ত যে ইনিংসটি খেলেছিলেন লিটন, সেটি মনে গেঁথে আছে মাশরাফির। দুবাইয়ে সেদিন ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিত বুমরাহর মতো পেসারদের দুর্দান্ত দক্ষতায় খেলেছিলেন লিটন। ভারতের দুই রিস্ট স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেল, কুলদীপ যাদবের স্পিনেও ছিলেন দারুণ সাবলীল।
ওই মানের বোলারদের অনায়াসে খেলে নিজের সামর্থ্যের যে ঝলক দেখিয়েছিলেন, তার আলো এখনও চোখে লেগে আছে মাশরাফির। সেই ইনিংসের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮৩ রানের একটি ইনিংস ছাড়া আর বলার মতো কিছু করতে পারেননি লিটন। সবশেষ ৭ ওয়ানডে ইনিংসে নেই ফিফটি। সবশেষ নিউ জিল্যান্ড সিরিজে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় তিন ওয়ানডেতে করেছেন ১, ১ ও ১।
নিউ জিল্যান্ডে ব্যর্থ হয়েছেন টেস্ট সিরিজেও। দেশে ফিরে কয়েকদিনের বিশ্রাম শেষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলেছেন সোমবার। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি এখানেও।
বিশ্বকাপের সম্ভাব্য দলের ভাবনায় আছেন বলেই লিটনকে নিয়ে শঙ্কার জায়গা বাড়ছে। অধিনায়কও সেটি অস্বীকার করছেন না। তবে মঙ্গলবার মিরপুরে একটি অনুষ্ঠানে লিটনকে নিয়ে জানালেন, এখনই আশা হারাচ্ছেন না।
“ঢাকা লিগে কে কেমন করছে, সেটি নিয়ে আমি এতটা চিন্তিত নই। এখান থেকে কেউ রান করে গেলে ওখানে সে ওই ফর্মটাই ধরে রাখবে, এই ভাবনার সঙ্গে একমত নই।। লিটন কোন কোয়ালিটির ক্রিকেটার, সম্প্রতি এক-দুটি ম্যাচে আমরা দেখতে পেরেছি। এশিয়া কাপ ফাইনালের কথা বলছি আমি।”
“আমার কাছে মনে হয়, সে ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এই সম্ভাবনা তার ব্যাটিংয়ে আছে। ব্যাটিং কোচও ওকে নিয়ে কাজ করছেন। ধারাবাহিকতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি লিটন পারবে। ওর সহজাত ব্যাটিং যেটি, সেটি যদি খেলতে পারে, তাহলে তা আমাদের দলের জন্য অনেক বড় সুবিধা হবে।”