বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের সম্ভাব্য ছবি অনেকটাই পরিষ্কার। খুব বেশি পরিবর্তেনের সুযোগ নেই। তবে দুই-তিনটি জায়গা নিয়ে দোলাচল আছে এখনও। সেখানেই সুযোগ অনেকের। এবার ঢাকা লিগে প্রথম পাঁচ ম্যাচেই দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে চারশর বেশি রান করেছেন ওপেনার সাইফ হাসান। গত বছর জাতীয় দলে ফিরেও ভালো না করায় বাদ পড়া এনামুল হক লিগে সেঞ্চুরি করেছেন টানা তিন ম্যাচে।
অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে থাকা ফরহাদ রেজার পারফরম্যান্স ব্যাটে-বলে চোখধাঁধানো। বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ইয়াসির আলি রাব্বি ভালো করছেন এবারের লিগেও। আবার, দলে ঢোকার সম্ভাব্য লড়াইয়ে থাকা ইমরুল কায়েস ৬ ম্যাচে করেছেন মোটে ৯২ রান।
মঙ্গলবার মিরপুরে এক অনুষ্ঠানে এই ক্রিকেটারদের সম্ভাবনা-শঙ্কা নিয়েই জানতে চাওয়া হলো মাশরাফির কাছে। অধিনায়ক জানালেন তার ভাবনা।
“আসলে ঢাকা লিগ নিয়ে তেমন একটা ভাবনা নেই। কারণ অনেকবার আমি দেখেছি যে এখানে কেউ দিনের পর দিন সেঞ্চুরি করেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গিয়ে ধুঁকেছে। এখানে উইকেট বলেন, ক্রিকেটের ইন্টেন্ট বলেন, এগুলো তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কাছাকাছি নয়। এখানে অনেকে রান করে বা উইকেট পেয়ে ওখানে ভালো করতে পারে না।”
নির্বাচক কমিটির অংশ নন বলে দল নির্বাচন নিয়ে সরাসরি কথা বলতে চাইলেন না অধিনায়ক। তবে বিশ্বকাপ দলের সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের নিজের খেলা নিয়ে কাজ করায় জোর দিতে বললেন আবার।
“দল নির্বাচন আমার হাতে নেই। আগেও স্পষ্ট করেছি এখনও করছি। কিন্তু যে ১৫ জনই আসুক না কেন, তারা পারফর্ম করে আসছে কিনা, সেটি বিষয় নয়। আমাদের মূল ফোকাস থাকবে আয়ারল্যান্ড সিরিজ এবং বিশ্বকাপে দল হিসেবে কেমন করছি, সেটি। আগেই বলেছি লিগে অনেক উইকেট পেয়েও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা ধুঁকেছি আগে এবং আমার মতো সিনিয়র ক্রিকেটার বা অন্য যারা আছে তারাও। আবার এখানে খারাপ করেও ওখানে গিয়ে ভালো করেছি। আকাশ-পাতাল ব্যবধান দুটি জায়গার মধ্যে।”
“এই কারণে আমি বলছি যে মানসিক দিক থেকে কে তৈরি থাকবে, তার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করবে। হয়তো দেখা গেল যে এখানে কেউ লিগ খেলছে ঠিকই, তবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ে কাজ করছে, যেটি বিশ্বকাপে তার প্রয়োজন হতে পারে। আমি মনে করি, তার ঐদিকেই নজর থাকা উচিত, যেটি সে চিন্তা করছে। মানসিকভাবে প্রস্তুত মানে আসলেই প্রস্তুত। যারা রান করছে বা ভালো করছে, সেটি নির্বাচক প্যানেল ঠিক করবে যে কাকে নেবে, কাকে নেবে না।”