এনামুলের সেঞ্চুরিতে আবাহনীকে হারাল প্রাইম ব্যাংক

টানা তৃতীয় সেঞ্চুরিতে ভিত গড়ে দিলেন এনামুল হক। সঙ্গ পেলেন ছন্দে থাকা ভারতীয় ব্যাটসম্যান অভিমান্যু ঈশ্বরণের। শেষটায় ঝড় তুলে দলকে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দিলেন আরিফুল হক। ওয়াসিম জাফর, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে দারুণ লড়াই করলেও শেষরক্ষা করতে পারল না আবাহনী। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2019, 12:53 PM
Updated : 22 March 2019, 12:53 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম রাউন্ডে ১৬ রানে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক। ৩০২ রান তাড়ায় ৭ বল বাকি থাকতে ২৮৬ রানে থেমে যায় আবাহনী। এবারের আসরে শিরোপাধারীদের এটা প্রথম হার। অন্য দিকে চতুর্থ জয় পেল প্রাইম ব্যাংক। 

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জাকির হাসানের সঙ্গে ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন এনামুল। দ্বিতীয় উইকেটে ঈশ্বরণের সঙ্গে ১৫৪ রানের জুটিতে দলকে দাঁড় করান দৃঢ় ভিতের ওপর।

আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ঈশ্বরণকে এলবিডব্লিউ করে বিদায় করেন সানজামুল ইসলাম। ভারতীয় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ৯৬ বলে খেলা ৮৫ রানের ইনিংস গড়া চারটি চার ও দুই ছক্কায়।

মোহাম্মদ আশরাফুলের পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন এনামুল। নাজমুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরা এই কিপার-ব্যাটসম্যানের ১২৮ বলে খেলা ১০২ রানের ইনিংস গড়া পাঁচ চার ও দুই ছক্কায়।

শেষের দিকে ঝড় তোলেন আরিফুল। ২৭ বলে ৭ চারে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংসে দলকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শূন্য রানে ফিরেন জহুরুল ইসলাম। ভারতীয় ওপেনার জাফরের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়া সৌম্য সরকার ফিরেন ৩৩ বলে ৩৬ রান করে।

তৃতীয় উইকেটে শান্তর সঙ্গে ১৩২ রানের জুটিতে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান জাফর। অফ স্পিনার আল আমিন জুনিয়রকে ছক্কায় উড়ানোর পরের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই ওপেনার। ভাঙে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি। জাফরের ৯১ বলে ৯৪ রানের ইনিংস গড়া নয়টি চার ও একটি ছক্কায়।

আল আমিন জুনিয়রকে ছক্কা হাঁকানোর এক বল পর ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শান্তও। দুই থিতু ব্যাটসম্যানের মাঝে এই অফ স্পিনারের বলে ফিরেন মোহাম্মদ মিঠুনও।

দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া আবাহনীকে এরপর প্রায় একাই টানেন মোসাদ্দেক। অধিনায়ককে সহায়তা দিতে পারেননি কেউই। সাব্বির রহমান ১৮ বলে ফিরেন ১০ রান করে। পরের চার ব্যাটসম্যানের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫২ রান করেন মোসাদ্দেক। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের ৪৭ বলে খেলা ৫২ রানের ইনিংস গড়া তিনটি চার ও একটি ছক্কায়।

তিন স্পিনার আল আমিন জুনিয়র, আব্দুর রাজ্জাক ও নাহিদুল ইসলাম নেন তিনটি করে উইকেট।

দারুণ ছন্দে থাকা এনামুল হক দায়িত্বশীল সেঞ্চুরির জন্য জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ৩০২/৫ (এনামুল ১০২, জাকির ১৮, ঈশ্বরণ ৮৫, আল আমিন জুনিয়র ১৯, আরিফুল ৫১*, নাজমুল ২, কাপালী ১৫*; মাশরাফি ০/৫৬, রুবেল ১/৫৬, মোসাদ্দেক ১/৯, অপু ১/৫০, সৌম্য ১/৪১, সানজামুল ১/৫৮, সাব্বির ০/২৭)

আবাহনী: ৪৮.৫ ওভারে ২৮৬ (জহুরুল ০, সৌম্য ৩৬, জাফর ৯৪, শান্ত ৭৩, মিঠুন ২, মোসাদ্দেক ৫২, সাব্বির ১০, মাশরাফি ০, সানজামুল ৭, অপু ২, রুবেল ০*; মনির ০/৪১, মোহর ১/২৩, নাহিদুল ৩/৫৬, রাজ্জাক ৩/৫৭, কাপালী ০/৩২, আল আমিন জুনিয়র ৩/৪৫)

ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১৬ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: এনামুল হক