ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ রাউন্ডে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ২৯ রানে জিতেছে এনামুলের দল। এটি তাদের তৃতীয় জয়। অন্য দিকে তৃতীয় ম্যাচে হারল প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল।
শেখ জামালের ইনিংসের ৩৭ ওভার ১ বল পর বৃষ্টি নামলে আর খেলা সম্ভব হয়নি। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে সে সময় জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ২৩৬ রান। নুরুল হাসান সোহানের দল করেছিল ৪ উইকেটে ২০৬ রান।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রুবেল মিয়াকে হারায় প্রাইম ব্যাংক। ঈশ্বরণের সঙ্গে ১৯৪ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান এনামুল।
দুই ব্যাটসম্যান খেলে যান প্রায় এক ছন্দে। ৫২ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন এনামুল। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে একাদশ সেঞ্চুরি ছুঁতে খেলেন ১১৮ বল। ঈশ্বরণ পঞ্চাশে যান ৫৫ বলে, রান তিন অঙ্কে নিতে খেলেন ১০৫ বল।
আগে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান এনামুল। বিদায়ও নেন আগে। লেগ স্পিনার তানবীর হায়দারের বলে শহিদুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে থামেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। ১২০ বলে খেলা তার ১০১ রানের ইনিংসটি গড়া ৮ চারে।
শেষ দিকে দ্রুত রান তোলা ভারতীয় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ঈশ্বরণ ১২৬ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় ফিরেন ১৩৩ রান করে। ডেথ ওভারে ঝড় তুলেন আরিফুল হক। ৩২ বলে তিন ছক্কা ও চারটি চারে এই অলরাউন্ডার অপরাজিত থাকেন ৬৭ রানে। তার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে শেষ ৯ ওভারে ১১৫ রান যোগ করে প্রাইম ব্যাংক।
বড় রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি শেখ জামালের। ৫৯ রানের মধ্যে ফিরে যান টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। নাসির হোসেনের সঙ্গে ১১৬ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন সোহান। ৭৬ বলে ১০ চার আর দুই ছক্কায় ৭৬ রান করা নাসিরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুর রাজ্জাক।
ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন কিপার-ব্যাটসম্যান সোহান। ব্যাটিংয়ের অপেক্ষায় ছিলেন জিয়াউর রহমান। সমীকরণ কঠিন হয়ে গেলেও আশা বেঁচে ছিল শেখ জামালের। তবে শেষ চেষ্টা করতে দিল না বৃষ্টি।
৬৫ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান।
১৩৩ রানের দারুণ ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ঈশ্বরণ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ৩৪৪/৬ (এনামুল ১০১, রুবেল ০, ঈশ্বরণ ১৩৩, জাকির ০, আল আমিন ৮, আরিফুল ৬৭*, কাপালী ১৬, নাহিদুল ৮*; শহিদুল ১/৬৯, তাইজুল ১/৫৭, শাকিল ০/৭৬, জিয়া ১/৭১, শাহবাজ ০/৩১, নাসির ০/১১, তানবীর ২/২৭)
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: (৩৭.১ ওভারে লক্ষ্য ২৩৬) ৩৭.১ ওভারে ২০৬/৪ (ইমতিয়াজ ২৬, ফারদিন ১৭, বিশত ৯, নাসির ৭৬, সোহান ৫৪*, তানবীর ১৬*; মোহর ০/২৩, মনির ১/২৩, নাহিদুল ২/৫১, রাজ্জাক ১/৫২, আরিফুল ০/২৮, কাপালী ০/২৪)
ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ২৯ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: অভিমান্যু ঈশ্বরণ