পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাও, ক্রিকেটারদের বোর্ড প্রধান

ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামালার পর থেকে ক্রিকেটাররা কি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছেন খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছেন নাজমুল হাসান। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকুর রহিমদের মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে আপাতত তাদের ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে মানা করে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিসিবি প্রধান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2019, 08:25 PM
Updated : 17 March 2019, 09:01 AM

নিউ জিল্যান্ড থেকে শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সব কিছু স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের নিজের মতো করে সময় কাটানোর কথা বলেন নাজমুল হাসান।

“ওরা যে ভয়াবহ একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এসেছে তা আমি যখন ওদের সাথে কথা বলে বুঝেছি। ঘটনার পর প্রথম থেকেই আমরা সকলে বুঝতে পারছিলাম ওদের ওপর দিয়ে মানসিকভাবে কি যাচ্ছে।”

“যাই হোক, তখন থেকেই ওরা আসলে বসে ছিল যে, কখন দেশে ফিরতে পারবে, কতো তাড়াতাড়ি। আর সেজন্য, ওরা সারারাত ঘুমাতেও পারেনি। তারপর ২২ ঘণ্টার লম্বা একটা জার্নি (করে এসেছে)...ওরা সকলেই ক্লান্ত। মানসিকভাবে ওদের অনেকেই ভেঙে পড়েছে। এখনও ওদের সবার সাথে কথা বলার সুযোগও হয়নি।”

“আমি শুধু বলেছি, ‘যাও, বাসায় যাও। এখন সবকিছু বাদ দিয়ে কিছুদিন ঠাণ্ডা মাথায় নিজেদের মতো করে যেটা ভালো লাগে সেভাবে কয়েকটা দিন কাটাও। সবকিছু ঠাণ্ডা হলে আমাদের সাথে এসে যোগাযোগ করো। খেলাধুলা নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তাভাবনা করতে বলছি না। পরিবারের সাথে সময় কাটাও। আর আমরা আছি। যদি কারো কোনো সহযোগিতা লাগে আমরা আছি।’ এটাই ওদের বললাম।”

ক্রাইস্টচার্চেই শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল নিউ জিল্যান্ড-বাংলাদেশে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। আগের দিন শুক্রবার জুমার নামাজের আগে ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয় ৪৯ জন।

ওই দুই মসজিদের একটি, আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ দল যেখানে অনুশীলন করছিল, সেই হ্যাগলি ওভালের কাছেই আল নূর মসজিদ। অল্পের জন্য দল রক্ষা পায় হামলার শিকার হওয়া থেকে।

মসজিদে হামলার পর হোটেলে ফিরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ বলেছিলেন, টিম বাসে করে মসজিদের ৫০ গজ কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন তারা। পরে মসজিদ থেকে রক্তাক্ত মানুষদের বেরিয়ে আসতে দেখে তারা থমকে যান।

পরে বাস থেকে নেমে হ্যাগলি পার্কের মাঝ দিয়ে ফিরে আসেন মাঠে। পরে ফেরেন হোটেলে। আর ৩-৪ মিনিট আগে পৌঁছে গেলেও তারা মসজিদের ভেতরে থাকতেন।

ভয়াবহ ওই হামলার পর টেস্ট বাতিল হয়। পরদিনই ঢাকার পথ ধরেন ক্রিকেটাররা।