শুক্রবার এক টুইটে ক্রিকেট নিউ জিল্যান্ড জানিয়েছে, দুই বোর্ডের যৌথ আলোচনায় নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।
শনিবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের নিউ জিল্যান্ড সফরের শেষ ম্যাচটি।
দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডই জানিয়েছে, খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও স্টাফদের সবাই নিরাপদে আছেন।
বিসিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব সদস্য নিরাপদে হোটেলে ফিরেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের আগে ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহতের খবর জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ক্রিকেট নিউ জিল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট টিভিএনজেডকে বলেছেন, বিসিবির প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলে তারা টেস্ট বাতিল করেন।
“আমরা একমত যে বর্তমান অবস্থা ক্রিকেট খেলার অনুপযোগী। সত্যি বলতে এটি অবিশ্বাস্য, আমরা স্তম্ভিত।”
হোয়াইট জানান, বাংলাদেশ দলের লিঁয়াজো কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে তার, ক্রিকেটাররা ছিলেন ‘হতভম্ব’।
হামলায় হতাহতদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, টেস্ট বাতিলের সিদ্ধান্তে আইসিসির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, গোলাগুলি থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ দল। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট ও বিসিবির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি জানায়, গোলাগুলি শুরুর সময় টিম বাসে করে হ্যাগলি ওভালের কাছেই জুমার নামাজে যাচ্ছিল বাংলাদেশ দল। কেউ মসজিদের ভেতর ছিল না এবং সবাই নিরাপদে আছে।
দলের ফিটনেস ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন রয়টার্সকে বলেন, “গোলাগুলির শুরুর সময় ছেলেরা বাসে করে মসজিদে যাচ্ছিল। ওরা মাঠে ফিরেছে, বেশ আতঙ্কিত, তবে ভালো আছে।”
ঘটনার পরে আতঙ্কিত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা ফুটে উঠছে তাদের টুইটে। তামিম ইকবাল টুইটারে লিখেন, “গোটা দল সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে। ভীতিকর অভিজ্ঞতা। দয়া করে সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।”
বিবিসির এক মুখপাত্র পরে রয়টার্সকে জানায়, বাংলাদেশ দল এখন তাদের টিম হোটেলে আছে।
“আমাদের সব খেলোয়াড় এখন তাদের হোটেলে নিরাপদে আছে। … খেলোয়াড়দের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।”