ওয়েলিংটন টেস্টে নিউ জিল্যান্ডর কাছে ইনিংস ও ১২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে হ্যামিল্টনে কিউইদের জয় ছিল ইনিংস ও ৫২ রানে।
পরাজয়ের ব্যবধান দ্বিতীয় টেস্টে একটু কম হলেও এই হার অনেক বেশি বিব্রতকর। বৃষ্টিতে প্রথম দুই দিনে টসই হতে পারেনি। এরপরও ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে শেষ দিনের প্রথম সেশনে। ফল হয়েছে ২০১.৫ ওভারে। কার্যত বাংলাদেশ হেরে গেছে আড়াই দিনের কম সময়ে।
শেষ দিনে মাহমুদউল্লাহ নিজে করেছেন ৬৭ রান। সতীর্থদের আরও লড়াই করা উচিত ছিল, সেটিও বলছেন অকপটে। তবে হতাশাটা না লুকালেও দাবি করছেন, এই পারফরম্যান্স বাংলাদেশের সামর্থ্যের প্রতিফলন নয়।
“অবশ্যই আমরা খুবই হতাশ। আরও অনেক ভালো করা উচিত ছিল। আমরা এর চেয়ে ভালো দল। জানা ছিল, এই উইকেটে বোলারদের জন্য সহায়তা থাকবে। আমাদের উচিত ছিল আরও বেশি নিবেদন দেখানো। সামনের ম্যাচে এসবের সঙ্গে যতটা বেশি সম্ভব মানিয়ে নিতে হবে আমাদের।”
ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি এই টেস্টে ক্যাচিংও ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ২০ রানে দুই বার জীবন পেয়ে রস টেইলর করেন খেলেছেন ২০০ রানের ইনিংস। প্রথম ক্যাচটি ছেড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহই। অধিনায়কের ধারণা, ক্যাচ দুটির একটি নিতে পারলে বদলাতে পারত ম্যাচের চিত্র।
“আমি ক্যাচ ছাড়লাম, এক বল পরই আরেকটা ক্যাচ পড়ল। ক্যাচগুলো নিতে পারলে হয়তো অন্যরকম কিছু হতে পারত। বোলাররা আরও আত্মবিশ্বাসী থাকত। ওই ভুলগুলি শোধরাতে হবে আমাদের।”
শোধরানোর শেষ সুযোগ ক্রাইস্টচার্চে, সিরিজের শেষ টেস্ট আগামী শনিবার থেকে।