চতুর্থ ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-২ সমতা টানলো অ্যারন ফিঞ্চের দল। ৩৫৯ রানের লক্ষ্য ১৩ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডেতে এটা পঞ্চম সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়া করে জয়।
অস্ট্রেলিয়ার আগের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয় ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১১ সালে সিডনিতে তারা জিতেছিল ৩৩৩ রান তাড়া করে।
ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল যৌথভাবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের। ২০০৭ সালে মোহালিতে ৩২১ রান তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তান। ১০ বছর পর দ্য ওভালে সেই রান তাড়া করে জেতে শ্রীলঙ্কা।
কে আগে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাবেন-যেন সেই প্রতিযোগিতায় মেতে ছিলেন দুই ওপেনার। ছক্কা হাঁকিয়ে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার চেষ্টায় ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন রোহিত। ভাঙে ৩১ ওভার স্থায়ী ১৯৩ রানের জুটি। রোহিত ৯২ বলে ৭ চার ও দু্ই ছক্কায় করেন ৯৫ রান।
খানিক পর ৯৭ বলে ক্যারিয়ারে ষোড়শ সেঞ্চুরি তুলে নেন ধাওয়ান। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রানের গতি বাড়ান বাঁহাতি এই ওপেনার। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করে থামান গতিময় পেসার প্যাট কামিন্স।
১১৫ বলে খেলা ধাওয়ানের ১৪৩ বলের ইনিংসটি গড়া তিন ছক্কা ও ১৮ চারে।
আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া বিরাট কোহলিকে এবার দ্রুত বিদায় করেন জাই রিচার্ডসন। কামিন্সের ছোবল সামলে ভারতকে সাড়ে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দেন রিশাব পান্ত ও বিজয় শঙ্কর।
রান উৎসবের ম্যাচে ৭০ রানে ৫ উইকেট নেন কামিন্স। রিচার্ডসন ৩ উইকেট নেন ৮৫ রানে।
বড় রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফিঞ্চকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে বিদায় নেন শন মার্শও। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া খাওয়াজাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন হ্যান্ডসকম। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন দুজন।
বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড়। তবে নিস্তার মেলেনি স্বাগতিক বোলারদের, খুনে ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকদের গুঁড়িয়ে দেন টার্নার।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১০৫ বলে আট চার ও তিন ছক্কায় ১১৭ রান করে ফিরে যান হ্যান্ডসকম। বাকিটা সারেন টার্নার। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৪৩ বলে ছয় ছক্কা ও পাঁচ চারে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ব্যবধান গড়ে দেওয়া এই ইনিংসের জন্য তিনি জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
আগামী বুধবার দিল্লিতে হবে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৫০ ওভারে ৩৫৮/৯ (রোহিত ৯৫, ধাওয়ান ১৪৩, রাহুল ২৬, কোহলি ৭, পান্ত ৩৬, কেদার ১০, শঙ্কর ২৬, ভুবনেশ্বর ১, কুলদীপ ১*, চেহেল ০, বুমরাহ ৬*; কামিন্স ৫/৭০, বেহরেনডর্ফ ০/৬১, রিচার্ডসন ৩/৮৫, ম্যাক্সওয়েল ০/৬১, জ্যাম্পা ১/৫৭, ফিঞ্চ ০/২২)
অস্ট্রেলিয়া: ৪৭.৫ ওভারে ৩৫৯/৬ (ফিঞ্চ ০, খাওয়াজা ৯১, মার্শ ৬, হ্যান্ডসকম ১১৭, ম্যাক্সওয়েল ২৩, টার্নার ৮৪*, কেয়ারি ২১, রিচার্ডসন ০*; ভুবনেশ্বর ১/৬৭, বুমরাহ ৩/৬৩, শঙ্কর ০/২৯, কুলদীপ ১/৬৪, কেদার ০/৪৪, চেহেল ১/৮০)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: অ্যাশটন টার্নার