শর্ট বলে অসহায়ত্বের কথা জানালেন লিটন

সহায়ক উইকেট ও কন্ডিশনে শঙ্কা ছিল সুইং বোলিং নিয়ে। কিন্তু সুইং দারুণভাবে সামলে বাংলাদেশ ভেঙে পড়ল পুরোনো ঘাতক শর্ট বলে। মূল হন্তারক আবার সেই নিল ওয়েগনার। দিন শেষে লিটন দাসের কণ্ঠে অসহায় স্বীকারোক্তি, ওয়েগনারের শর্ট বলে কিছু করার থাকে না।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2019, 06:54 AM
Updated : 10 March 2019, 10:52 AM

বৃষ্টির কারণে দুই দিন ঢেকে রাখা সবুজ উইকেটে টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ সামলে দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। সাদমান ২৭ রানে আউট হলেও দলের ইনিংস এগিয়ে যাচ্ছিল মসৃণভাবেই।

কিন্তু ওয়েগনার আক্রমণে আসার পর বদলে যায় দৃশ্যপট। এই বাঁহাতি পেসারের মূল অস্ত্র শর্ট বল, তাই সুইং বোলিংয়ের উপযোগী উইকেটে প্রথম ৩০ ওভারে তাকে বোলিংয়েই আনেননি নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। লাঞ্চের একটু আগে ওয়েগনার বল হাতে পেয়ে শর্ট বলেই শুরু করেন শিকার ধরা।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে শর্ট বলে ফেরান মুমিনুল হককে। লাঞ্চের ঠিক আগের বলে আরেকটি শর্ট বলে আউট মোহাম্মদ মিঠুন।

লাঞ্চের পর ১০ ওভারের টানা স্পেলে শর্ট বলেই বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেন বাঁহাতি এই পেসার। অসাধারণ খেলতে থাকা তামিমকে ৭৪ রানে থামান শর্ট বলে। মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেন শর্ট বলের ভয় থেকে। শর্ট বল হবে ভেবে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ দেন লেংথ বলে।

মাঝে ম্যাট হেনরির শর্ট বল আদায় করে নেয় সৌম্য সরকারের উইকেট। তবে সব মিলিযে ২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েগনারই নিউ জিল্যান্ডের সফলতম বোলার।

ওয়েগনারের উইকেট নেওয়ার পথ মূলত এই একটিই। আগের টেস্টেও শর্ট বলের তোপেই নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। জানা থাকার পরও কেন সামলানো যাচ্ছে না ওয়েগনারের শর্ট বল? দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লিটন বললেন, ২২ গজে গিয়ে জবাব পাচ্ছেন না ব্যাটসম্যানরা।

“নতুন বলে আমরা যেমন জানি সুইং করবে, এরপরও আমরা অনেক সময় মারতে গিয়ে আউট হয়ে যাই। তেমনি আমরা জানি সে শর্ট বল করবে। কিন্তু বলটা এমন জায়গায় রাখে, কিছু করার থাকে না। এখানে মনোযোগ আরও বাড়িয়ে বল আরও বেশি ছাড়লে হয়তো কিছু করা যাবে।”

‘মনোযোগ’ শব্দটি লিটনের কথায় উঠে এলো আরও। ১ উইকেটে ১১৯ থেকে দলের ২১১ রানে গুটিয়ে যাওয়া, শেষ ৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পেছনে মনোযোগের ঘাটতিই বড় করে দেখছেন এই ব্যাটসম্যান।

“দুই দিন খেলা হয়নি। তার পর খুব ভালো একটি শুরু পেয়েছিলাম আমরা। যে রকম শুরু হয়েছিল, আরেকটু ভালো করা যেত। ব্যাটসম্যানরা আরেকটু মনোযোগ দিয়ে খেললে আরও ভালো হতো। এরপরও দিনের শেষে ওদের দুটি উইকেট নিতে পেরেছি এটি ভালো দিক।”

“উইকেট ভয়ঙ্কর বলব না। তবে কন্ডিশন তো বোলারদের পক্ষে ছিল। এ রকম কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানের ফোকাস ভালো থাকলে সফল হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। তামিম ভাই ফোকাসড ছিলেন, সফল হয়েছেন।”