৪৫ রানে গুটিয়ে উইন্ডিজের রেকর্ড

সময়ের সবচেয়ে অননুমেয় দল বুঝি এজন্যই বলা হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে! চার-ছক্কার ঝড়ে বোলারদের গুঁড়িয়ে দিতে পারে যে ব্যাটিং লাইন আপ, তারাই কিনা বিধ্বস্ত হতে পারে এভাবে! ৪৫ রানে গুটিয়ে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গড়ল বিব্রতকর রেকর্ড। রেকর্ড গড়া জয়ে ইংল্যান্ড জিতে নিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2019, 05:04 AM
Updated : 9 March 2019, 05:04 AM

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩৭ রানে উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিয়েছে প্রথম দুই ম্যাচেই।

টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয় এটিই। ২০১২ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১৬ রানের জয় ছিল আগের সেরা।

সেন্ট কিটসে শুক্রবার শুরুটা নড়বড়ে হলেও স্যাম বিলিংসের বিধ্বংসী ইনিংস ইল্যান্ডকে এনে দেয় ১৮২ রানের পুঁজি। জবাবে ক্রিস জর্ডান ও অন্য ইংলিশ বোলারদের তোপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ৪৫ রানেই।

টি-টোয়েন্টিতে এটি ক্যারিবিয়ানদের সর্বনিম্ন রান তো বটেই, আইসিসি পূর্ণ সদস্য কোনো দলের ৬০ রানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার প্রথম নজিরও। সব দল মিলিয়েও এর চেয়ে কম স্কোর আছে কেবল একটি। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস।

১১.৫ ওভারে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের চেয়ে কম ওভারে অলআউট হয়েছিল কেবল সেই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসই, ১০.৩ ওভারে।

ওয়ার্নার পার্কের উইকেট শুক্রবার ব্যাটিংয়ের জন্য খুব প্রতিকূল ছিল না। বরং ভালো ব্যাটিং উইকেট বলেই টস জিতে রান তাড়ার পথ বেছে নিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।

বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট নিয়ে নেয় তারা, ইংল্যান্ডের রান ছিল ৪ উইকেটে ৩২। সেখান থেকেই দুর্দান্ত জুটিতে দলকে উদ্ধার করেন জো রুট ও বিলিংস। পঞ্চম উইকেটে ৬৩ বলে ৮২ রানের জুটি গড়েন দুজন।

নিজের সবশেষ তিন টি-টোয়েন্টিতে দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারা রুট ফর্মে ফিরেছেন ৪০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে।

পরের জুটিতে রীতিমত তাণ্ডব চালান বিলিংস। ডেভিড উইলিকে নিয়ে গড়েন ২৫ বলে ৬৮ রানের জুটি। তাতে উইলির অবদান ছিল ৯ বলে ১৩, বিলিংসের ১৬ বলে ৫৩!

ইনিংসের শেষ বলে আউট হয়ে যখন ফিরছেন, বিলিংসের নামের পাশে তখন ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ বলে ৮৭ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপের জন্য ওই রান ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল না। কিন্তু ইংলিশ বোলারদের ছোবলে শুরু থেকেই তারা ছিল দিশেহারা।

দুই ওপেনার শেই হোপ ও ক্রিস গেইলকে ফেরান বাঁহাতি পেসার ডেভিড উইলি। মিডল অর্ডার এলোমেলো করে দেন ক্রিস জর্ডান। মাত্র ২ ওভারে ৬ রানে ৪ উইকেট নেন জর্ডান, এই পেসারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।

এরপর আদিল রশিদ ও লিয়াম প্লাঙ্কেট মুড়িয়ে দিয়েছে লেজ। একাধিক ম্যাচের সিরিজে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল ইংল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৮২/৬ (হেলস ৮, বেয়ারস্টো ১২, রুট ৫৫, মর্গ্যান ১, ডেনলি ২, বিলিংস ৮৭, উইলি ১৩*; কটরেল ১/২৮, হোল্ডার ০/২৯, অ্যালেন ২/২৯, ব্র্যাথওয়েট ১/৩৩, বিশু ০/১৭, ম্যাককয় ১/৪৪)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১১.৫ ওভারে ৪৫ (গেইল ৫, হোপ ৭, হেটমায়ার ১০, ব্রাভো ০, হোল্ডার ০, পুরান ১, অ্যালেন ১, ব্র্যাথওয়েট ১০, বিশু ৮, কটরেল ২, ম্যাককয় ১*; উইলি ২/১৮, কারান ০/১, জর্ডান ৪/৬, রশিদ ২/১২, প্লাঙ্কেট ২/৮)

ফল: ইংল্যান্ড ১৩৭ রানে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২-০তে এগিয়ে

ম্যান অব দা ম্যাচ: স্যাম বিলিংস