মাহমুদউল্লাহর চাওয়া পেসারদের ধারাবাহিকতা

আবু জায়েদের ছিল চতুর্থ টেস্ট। সৈয়দ খালেদ আহমেদের দ্বিতীয়। আর ইবাদত হোসেনের অভিষেক। হ্যামিল্টন টেস্টে এই ছিল বাংলাদেশের পেস আক্রমণ। মাঠের পারফরম্যান্সেও পড়েছিল সেই অনভিজ্ঞতার প্রতিফলন। কোনো প্রভাবই ফেলতে পারেননি তারা। মাহমুদউল্লাহ এরপরও আশার ছবি আঁকছেন। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্রেফ পেসারদের কাছে চান, আরেকটু ধারাবাহিকতা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2019, 06:08 AM
Updated : 7 March 2019, 06:08 AM

হ্যামিল্টনে বাংলাদেশের মূল তিন পেসার মিলে নিতে পেরেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের একটি উইকেট। তিন জনই ছিলে খরুচে। ৩০ ওভারে ১০৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন আবু জায়েদ; ৩০ ওভারে ১৪৯ রান গুনেছিলেন খালেদ। ২৭ ওভারে ১০৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছিলেন কেবল ইবাদত, সেটিও নাইটওয়াচম্যান নিল ওয়েগনারের।

সেই তুলনায় বেশি কার্যকর ছিলেন অনিয়মিত পেসার সৌম্য সরকার। ২১ ওভারে ৬৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে তিনি ছিলেন দলের সফলতম বোলার।

তিন পেসারের ধারহীন বোলিংয়ে চোখে পড়ার মতো ছিল অকার্যকর সব শর্ট বল। তিনজনই একের পর এক শর্ট বল করে গেছেন একটা পর্যায়ে। কিন্তু তাদের বলে যে গতি এবং যে লেংথে বল করেছেন, তাতে কিউই ব্যাটসম্যানদের কোনো সমস্যাই হয়নি সামলাতে। এছাড়াও লাইন-লেংথ বেশির ভাগ সময় ছিল এলোমেলো।

আপাতত অনভিজ্ঞতার ঢালেই পেসারদের আড়াল করলেন মাহমুদউল্লাহ। অতি আগ্রাসী বোলিংয়ের দায়টা অধিনায়ক হিসেবে নিলেন নিজেও। আর জানিয়ে দিলেন ওয়েলিংটন টেস্টের জন্য তার চাওয়া।

“পেস বোলারদের কাছে আমি খুব বেশি কিছু চাইনি। কারণ এত অনভিজ্ঞ ও নবীন পেস আক্রমণের কাছে খুব বেশি প্রত্যাশা করলে কঠিন হতো। অবশ্যই ওরা ভালো বোলার, ওদেরকে একটু সময় দিতে হবে। বেড়ে ওঠার সঙ্গে ওরা দেশের হয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারবে।”

“ওদের মধ্যে সেই আগ্রাসনটা আছে, যেটা আমার আশীর্বাদ মনে হয়েছিল। আমি স্বীকার করি যে ওরা বেশি আগ্রাসী ছিল, ব্যক্তিগতভাবে আমি যেটা চেয়েছিলাম ওদের কাছে। ওরা বিভিন্ন কিছু চেষ্টা করেছে, শর্ট বল বা বাইরে বা লেংথ বল। অনেক ওভার বোলিং করেছে। যাই হোক, এখন আরেকটু ধারাবাহিক হলে ভালো হবে।”

শুক্রবার ওয়েলিংটনে শুরু হচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। ওয়েলিংটনের বাতাসে বেশি কার্যকর হবেন ধারণা করেই হ্যামিল্টন টেস্টে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল মুস্তাফিজুর রহমানকে। এই টেস্টে বাঁহাতি পেসার ফিরছেন, সেটি নিশ্চিত করে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে কার জায়গায় ফিরবেন একাদশে, সেটি নিশ্চিত করেননি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।