নিউ জিল্যান্ডে সফরকারী দলগুলিকে সবচেয়ে বেশি লড়াই করতে হয় বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। বাংলাদেশ প্রতি সফরেই প্রচণ্ড রকম ধুঁকেছে বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। ওয়েলিংটনের পরিচিতিই বাতাসের শহর হিসেবে। সাধারণ যে কোনো দিনেও যেখানে বাতাসের তীব্রতা থাকে প্রবল।
সিরিজে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য তাই আরও বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে পরের টেস্ট। তবে ওয়েলিংটনের বাতাস আপাতত নাড়াতে পারছে না সাদমানের মনোবল।
“বাতাস তো থাকবেই। এটা প্রাকৃতিক ব্যাপার, কিছু করার নেই। এটা খুব সমস্যা করবে না মনে হয়। যদি আমরা নরম্যালি খেলি, তাহলেই হবে। বাতাস মাথায় রাখলেই সমস্যা হবে, মাথায় না নেওয়াই ভালো।”
হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে গুটিয়ে গিয়েই পরাজয়ের পানে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে নিউ জিল্যান্ডের বিশাল লিডের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দারুণ লড়াই করে তোলে ৪২৯ রান। দলের জন্য সেটিই এখন অনুপ্রেরণা আরও ভালো করার চেষ্টায়।
“দ্বিতীয় ইনিংসে এত ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা, চেষ্টা করব পরের টেস্টে প্রথম ইনিংসে সেভাবে খেলতে। আমরা সবাই চাই ভালো খেলতে। আশা করি ভালো ব্যাট করব।”
ওয়েলিংটনে ভালো ব্যাটিংয়ের স্মৃতি আছে বাংলাদেশের, যা খুব পুরোনো নয়। সবশেষ সফরেই বেসিন রিজার্ভে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকর রহিম দেড়শ। দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ে অবশ্য ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল দল। তবু সেই অভিজ্ঞতা এবার ব্যাটিংয়ে জোগাতে পারেন সাহস।
শুক্রবার শুরু বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ডের ওয়েলিংটন টেস্ট।