রেজার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ফাইনালে দোলেশ্বর

ফরহাদ রেজার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পরও জাকির হাসান ও অলক কাপালীর ফিফটিতে লড়াই করার মতো রান পেয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। সাইফ হাসান ও মার্শাল আইয়ুবের দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও কাজটা কঠিন ছিল। তবে শেষটায় ঝড়ো ইনিংসে ব্যবধান গড়ে দিলেন রেজা। প্রাইম দোলেশ্বরকে ফাইনালে নিয়ে গেলেন অধিনায়ক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2019, 04:41 PM
Updated : 1 March 2019, 05:53 PM

দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৬ উইকেটে জিতেছে দোলেশ্বর। ১৭১ রানের লক্ষ্য দুই বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা।

রেজা ক্রিজে যাওয়ার সময় শেষ ৩ ওভারে দোলেশ্বরের প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান। অধিনায়কের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ১৬ বলে সেই রান তুলে ফেলে দলটি।   

আল আমিন হোসেনের করা ১৮তম ওভার থেকে আসে ১৯ রান। কাপালীর করা পরের ওভার থেকে দুই ছক্কায় রেজা তুলে নেন ১৬ রান। শেষ ওভারে ৮ রান নিয়ে খুব একটা লড়াই করতে পারেননি মোহর শেখ। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। একটি করে ছক্কা ও চারে ১১ বলে ১২ রান করে ফিরে যান এনামুল হক। আগের ম্যাচের নায়ক রুবেল মিয়া বিদায় নেন দুই চারে ৯ রান করে।

এক প্রান্তে জাকির ঝড় তুললেও অন্য প্রান্তে মিলছিল না সহায়তা। দ্রুত ফিরেন আমিন জুনিয়র, আরিফুল হক ও নাজমুল হোসেন মিলন। কাপালী ক্রিজে আসার পর মিলে সহায়তা। ষষ্ঠ উইকেটে জাকির-কাপালীর ৬৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় প্রাইম ব্যাংক।

৩৯ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করা জাকিরকে থামান ফরহাদ রেজা। দোলেশ্বর অধিনায়ক পরের ওভারে ফিরে বিদায় করেন মনির হোসেন, কাপালী ও মোহর শেখকে। ৩১ বলে খেলা কাপালীর ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস গড়া তিন ছক্কা ও ছয় চারে।

৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দোলেশ্বরের সেরা বোলার রেজা। বাঁহাতি স্পিনার এনামুল ২ উইকেট নেন ২২ রানে।

রান তাড়ায় আরাফাত সানি জুনিয়রের সঙ্গে ৫১ রানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন সাইফ। ২৩ বলে একটি করে ১৯ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন আব্দুর রাজ্জাক। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফরহাদ হোসেনকে দ্রুত বিদায় করেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার মনির হোসেন।

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দোলেশ্বরকে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিতে টানেন সাইফ ও মার্শাল। ৬৮ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙে সাইফের রান আউটে। ডানহাতি এই ওপেনার ৪৯ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় করেন ৬১ রান।

রেজা ক্রিজে আসার সময় সমীকরণ বেশ কঠিন ছিল। ৩১ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৪৬ রান করে মার্শালের বিদায়ে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায়। তবে ঠাণ্ডা মাথায় দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন দোলেশ্বর অধিনায়ক। ৮ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে অপরাজিত থাকেন ২৪ রানে।

ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট আর ঝড়ো ২৪ রান রেজাকে এনে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। 

আগামী সোমবার মিরপুরে ফাইনালে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে খেলবে দোলেশ্বর।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ২০ ওভারে ১৭০/৯ (এনামুল ১২, রুবেল ৯, জাকির ৫২, আল আমিন জুনিয়র ৬, আরিফুল ৩, নাজমুল ৯, কাপালী ৫৫, মনির ৯, মোহর ০, রাজ্জাক ৭*, আল আমিন ১*; সানি ১/১৯, সানি জুনিয়র ১/২৫, মানিক ০/৩৮, রেজা ৫/৩২, সৈকত ০/৩২, এনামুল জুনিয়র ২/২২)

প্রাইম দোলেশ্বর: ১৯.৪ ওভারে ১৭১/৪ (সাইফ ৬১, সানি জুনিয়র ১৯, ফরহাদ ১, মার্শাল ৪৬, রেজা ২৪*, সৈকত ৮*; মোহর ০/৩০, মনির ১/৩৪, আল আমিন ০/৪০, রাজ্জাক ১/১৯, কাপালী ১/৪১)

ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ৬ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: ফরহাদ রেজা