ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কে কোন দলে

গত মৌসুমের দল থেকে তিন তারকাকে ধরে রাখা হয়েছে। প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকেও নেওয়া হলো সময়ের বেশ কজন আলোচিত তারকাকে। স্কোয়াড সমৃদ্ধ করার সুযোগ আছে পরেও। সব মিলিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার মতোই স্কোয়াড গড়ার পথে আবাহনী লিমিটেড। পরিকল্পনামতো দল সাজাচ্ছে লিগের অন্য দলগুলিও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2019, 01:02 PM
Updated : 18 Feb 2019, 01:48 PM

এবারের প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফট হয়ে গেল সোমবার দুপুরে স্থানীয় এক হোটেলে। জাতীয় ক্রিকেটারদের অনেকে খেলছেন না, অনেকেই খেলবেন অনেকটা সময় পর থেকে। পারস্পরিক সমঝোতায় দল বদলানোর সুযোগ থাকছে পরেও। গতবারের দল থেকে ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকাও আগেই জানানো হয়েছিল আগেই। প্লেয়ার্স ড্রাফটে ঘিরে তাই এবার কৌতুহল ছিল না খুব বেশি।

আগামী ৮ মার্চ থেকে শুরু হবে এবারের লিগ। টানা অষ্টমবার লিগের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন। মূল ওয়ানডে টুর্নামেন্টের আগে প্রিমিয়ারের দলগুলি নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টও হবে এবার। আগামী সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সেই টুর্নামেন্ট শেষ হবে ৩ মার্চ।

ড্রাফটের পর দলগুলির যে চেহারা পাচ্ছে, সেটিই চূড়ান্ত নয়। গতবারের মতো পারস্পরিক সমঝোতায় ক্রিকেটারদের ক্লাব বদলের সুযোগ থাকছে এবারও। গত আসরে একজন ক্রিকেটার ছেড়ে দিয়ে অন্য দল থেকে দুইজন ক্রিকেটার নিতে পেরেছে দলগুলি। এবার দুই জন ছেড়ে দিয়ে অন্য দল থেকে নেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৮ জন!

সোমবার প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে মাত্র ৭ জন ক্রিকেটার নিয়েছে আবাহনী। বলার অপেক্ষা রাখে না, অন্য ক্লাব থেকে আরও ক্রিকেটার এনে দল সমৃদ্ধ করবে তারা। প্রভাবশালী এই ক্লাবকে বাড়তি সুবিধা দিতেই পারস্পরিক সমঝোতায় ক্রিকেটার বদলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে কিনা, এই প্রশ্ন তাই উঠল প্রবলভাবে। তবে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান ও বিসিবি পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদের দাবি, দলগুলির অনুরোধে এবং সবার সম্মতিতেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

পারস্পরিক সমঝোতায় ক্রিকেটারদের দল বদলানোর এই সুযোগ থাকছে লিগে ক্লাবগুলির প্রথম ম্যাচের আগ পর্যন্ত।

এবার আরও একটি নতুন নিয়ম সংযোজন করা হয়েছে। প্রথম বিভাগে খেলা কোনো ক্রিকেটারের একই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার নিয়ম আগে ছিল না। এবার নেওয়া যাবে এমন একজন ক্রিকেটারকে। সিসিডিএম চেয়ারম্যানের দাবি, ‘পাইপলাইন’ আরও ভালো করতে ও দলগুলির অনুরোধে এই পরিবর্তন।

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজের মতো করে নিবিড়ভাবে প্রস্তুতি নিতে আগেই এবারের লিগ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। চোটের কারণে খেলার নিশ্চয়তা নেই সাকিব আল হাসানের। নিউ জিল্যান্ড সফরের বাংলাদেশ টেস্ট দলে থাকবেন যারা, শুরুর দিকে তারা এমনিতেও খেলতে পারবেন না লিগে। সফর থেকে ফিরেও জাতীয় দলের কোচ স্টিভ রোডসের পরামর্শে অনেকেই থাকবেন কিছুদিনের বিশ্রামে। মাহমুদউল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান যেমন খেলবেন ৬ এপ্রিলের পর থেকে।

কে কোন দলে:

আবাহনী লিমিটেড

ধরে রাখা: মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত

ড্রাফটে নেওয়া: রুবেল হোসেন, জহুরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, টিপু সুলতান, মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব

ধরে রাখা: জিয়াউর রহমান, নুরুল হাসান সোহান, তানবীর হায়দার

ড্রাফটে নেওয়া: মাহমুদউল্লাহ, নাসির হোসেন, ইলিয়াস সানি, শহিদুল ইসলাম, ইমতিয়াজ হোসেন, তাইজুল ইসলাম, ফারদিন হাসান অনি, এনামুল হক, সালাউদ্দিন শাকিল, রাকিন আহমেদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি, হাসানুজ্জামান, মেহরাব হোসেন যোশি।

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ

ধরে রাখা: নাঈম ইসলাম, নাঈম শেখ, আসিফ হাসান

ড্রাফটে নেওয়া: মুমিনুল হক, জাকের আলি, মোহাম্মদ শহিদ, শাহরিয়ার নাফিস, নাবিল সামাদ, আসিফ আহমেদ, আজমির আহমেদ, শুভাশিস রায় চৌধুরি, মুক্তার আলি, মিনহাজুর রহমান, সালাউদ্দিন পাপ্পু।

প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব

ধরে রাখা: ফরহাদ রেজা, মার্শাল আইয়ুব, আরাফাত সানি

ড্রাফটে নেওয়া: তাইবুর পারভেজ, সাইফ হাসান, সৈকত আলি, মাহমুদুল হাসান লিমন, আবু জায়েদ চৌধুরী, এনামুল হক জুনিয়র, জসিম উদ্দিন, ফরহাদ হোসেন, আরাফাত সানি জুনিয়র।

খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি

ধরে রাখা: রবিউল ইসলাম রবি, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, তানভির ইসলাম

ড্রাফটে নেওয়া: রবিউল হক, মইনুল ইসলাম, অমিত মজুমদার, মাসুম খান, রাফসান আল মাহমুদ, নাজিম উদ্দিন, আব্দুল হালিম।

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স

ধরে রাখা: ইমরুল কায়েস, মেহেদি হাসান, আবু হায়দার রনি

ড্রাফটে নেওয়া: রনি তালুকদার, শামসুর রহমান, মোশাররফ হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মায়শুকুর রহমান, রায়হান উদ্দিন, শামসুল ইসলাম, মেহেদি হাসান রানা, তাসামুল হক, ওয়ালিউল করিম রনি।

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব

ধরে রাখা: রকিবুল হাসান, কাজি অনিক ইসলাম, ইরফান শুক্কুর

ড্রাফটে নেওয়া: আব্দুল মজিদ, শফিউল ইসলাম, নিহাদ উজ জামান, নাদিফ চৌধুরি, সোহাগ গাজী, অভিষেক মিত্র, লিটন কুমার দাস, আলাউদ্দিন বাবু, রাহাতুল ফেরদৌস, মোহাম্মদ আশরাফুল, মোহাম্মদ আজিম, মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব

ধরে রাখা: আরিফুল হক, জাকির হাসান, মোহাম্মদ আল আমিন

ড্রাফটে নেওয়া: এনামুল হক বিজয়, আব্দুর রাজ্জাক, অলক কাপালি, মোহর শেখ, নাহিদুল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, মনির হোসেন খান, সালমান হোসেন, নাঈম হাসান, নাজমুল হোসেন মিলন, নূর আলম সাদ্দাম, ইমরান আলি।

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব

ধরে রাখা: শুভাগত হোম, আফিফ হোসেন, তৌহিদ হৃদয়

ড্রাফটে নেওয়া: সৌম্য সরকার, সোহরাওয়ার্দী শুভ, ধীমান ঘোষ, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ রাকিব, সাব্বির হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, সাদমান ইসলাম।

ব্রাদার্স ইউনিয়ন

ধরে রাখা: জুনায়েদ সিদ্দিক, মিজানুর রহমান, ইয়াসির আলি চৌধুরী

ড্রাফটে নেওয়া: ফজলে রাব্বি মাহমুদ, মোহাম্মদ শরিফউল্লাহ, নাঈম ইসলাম জুনিয়র, এবাদত হোসেন চৌধুরি, হামিদুল ইসলাম, আশিকুজ্জামান আশিক, হাবিবুর রহমান।

উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব

ড্রাফটের আগে নেওয়া: নাজমুল ইসলাম অপু, সাব্বির রহমান, সানজামুল ইসলাম

ড্রাফটে নেওয়া: তানজিদ হাসান, মিনহাজ খান রিফাত, শাকির হোসেন শুভ্র, সাজ্জাদ হোসেন, জাহাঙ্গির আলম, শেখ হুমায়ুন, মোহাইমিনুল খান।

বিকেএসপি

ড্রাফটের আগে নেওয়া: শামিম হোসেন, আকবর আলি, পারভেজ হোসেন

ড্রাফটে নেওয়া: মাহমুদুল হাসান জয়, মুকিদুল হাসান, সুমন খান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, রাতুল খান, আব্দুল কাইয়ুম, হাসান মুরাদ, নওশাদ ইকবাল।