ম্যাচের তৃতীয় দিনে শুক্রবার ৮ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ২৫৯ রানে। প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০৪। দিন শেষে লঙ্কানদের রান ৩ উইকেটে ৮৩।
ম্যাচ জিততে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন আর ২২১ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার চাই ৭ উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস এত দ্রুত শেষ করে দেওয়ার মূল নায়ক এম্বুলদেনিয়া। ২২ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার ৬৬ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া মাত্র চতুর্থ লঙ্কান বোলার তিনি, বাঁহাতি স্পিনে ৫ উইকেট তারই প্রথম। অভিষেকে উপমহাদেশের বাইরে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনিই প্রথম গড়লেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা দিন শুরু করেছিল ৪ উইকেটে ১২৬ রান নিয়ে। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান দু প্লেসি ও কুইন্টন ডি কক দলকে এগিয়ে নেন আরও অনেকটা পথ।
৯৬ রানের এই জুটি লাঞ্চের আগে ভাঙেন এম্বুলদেনিয়া। ৬২ বলে ৫৫ রান করে আউট হন ডি কক।
দু প্লেসি এরপর এগিয়ে যাচ্ছিলেন ভার্নন ফিল্যান্ডারকে সঙ্গে নিয়ে। এই জুটির রান যখন ৬০, দু প্লেসি অপেক্ষায় সেঞ্চুরির, নাটকীয় পালাবদলের শুরু তখনই।
ফিল্যান্ডারকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন সেই এম্বুলদেনিয়া। খানিক পর দু প্লেসিকে ৯০ রানে আটকে দেন বিশ্ব ফার্নান্দো। দুই প্রান্ত থেকে দুজনের দারুণ বোলিংয়ে ৮ রানেই প্রোটিয়ারা হারায় শেষ ৫ উইকেট।
এম্বুলদেনিয়ার কীর্তির পাশে উল্লেখ করতে হবে বিশ্ব ফার্নান্দোর কথাও। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও এই বাঁহাতি পেসার নিয়েছেন ৪ উইকেট।
রান তাড়ায় লঙ্কানদের শুরুটা খারাপ ছিল না। প্রথম ১৫ ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। চা বিরতির পর থিরিমান্নেকে ফিরিয়ে ২৭ রানের জুটি ভাঙেন কাগিসো রাবাদা। পরের ওভারে ফিল্যান্ডার ফিরিয়ে দেন অধিনায়ক করুনারত্নেকেও। পরে বাজে শটে আউট হন চারে নামা কুসল মেন্ডিস।
তবে তিনে নেমে অভিষিক্ত ওশাদা ফার্নান্দো খেলছিলেন দারুণ। জমে ওঠা রোমাঞ্চে জল ঢেলে দেয় প্রকৃতি। আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হয় ১৭ ওভার আগেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৩৫
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৯১
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (আগের দিন শেষে ১২৬/৪) ৭৯.১ ওভারে ২৫৯ (দু প্লেসি ৯০, ডি কক ৫৫, ফিল্যান্ডার ১৮, মহারাজ ৪, রাবাদা ০, স্টেইন ১, অলিভিয়ের ২*; লাকমল ০/৫২, বিশ্ব ফার্নান্দো ৪/৭১, রাজিথা ১/৫৪, এম্বুলদেনিয়া ৫/৬৬, ধনাঞ্জয়া ০/৮, ওশাদা ০/৬।
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস:(লক্ষ্য ৩০৪) ২৮ ওভারে ৮৩/৩ (করুনারত্নে ২০, থিরিমান্নে ২১, ওশাদা ২৮*, কুসল মেন্ডিস ০, কুশল পেরেরা ১২*; স্টেইন ১/১৯, ফিল্যান্ডার ১/১৩, মহারাজ ০/১৪, রাবাদা ১/২৮, অলিভিয়ের ১/৩, মারক্রাম ০/৪)।