বাংলাদেশের ৮ উইকেটের হার
ছোট পুঁজি নিয়ে জিততে যে বোলিং, ফিল্ডিং দরকার ছিল তার কোনোটিই করতে পারেনি বাংলাদেশ। মার্টিন গাপটিলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে প্রথম ওয়ানডেতে সহজ জয় তুলে নিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।
নেপিয়ারে স্বাগতিকরা জিতেছে ৮ উইকেটে। ২৩৩ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৩৩ বল বাকি থাকতে। ১১৬ বলে আট চার ও চার ছক্কায় ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন গাপটিল। তার সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি গড়া রস টেইলর ৪৯ বলে ছয় চারে অপরাজিত থাকেন ৪৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ (তামিম ৫, লিটন ১, সৌম্য ৩০, মুশফিক ৫, মিঠুন ৬২, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সাব্বির ১৩, মিরাজ ২৬, সাইফ ৪১, মাশরাফি ৯*, মুস্তাফিজ ০; হেনরি ৯-১-৪৮-২, বোল্ট ৯.৫-০-৪০-৩, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫-০-১৯-০, ফার্গুসন ১০-১-৪৪-২, স্যান্টনার ৮-০-৪৫-৩, নিশাম ৭-০-২৬-০)
নিউ জিল্যান্ড: ৪৪.৩ ওভারে ২৩৩/২ (গাপটিল ১১৭*, নিকোলস ৫৩, উইলিয়ামসন ১১, টেইলর ৪৫*; মাশরাফি ৮.৩-০-৩৩-০, সাইফ ৭-০-৪৩-০, মুস্তাফিজ ৮-০-৩৬-০, মিরাজ ৮-১-৪২-১, সাব্বির ৭-০-৪১-০, মাহমুদউল্লাহ ৫-০-২৭-১, সৌম্য ১-০-৮-০)
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সেঞ্চুরি করার পর মার্টিন গাপটিল ছয় ওয়ানডেতে বিশের ঘর ছাড়াতে পারেননি একবারও। নেপিয়ারে কয়েকবার আউট হতে হতে বেঁচে যাওয়া এই ওপেনার ছুঁলেন তিন অঙ্ক। বাংলাদেশের বিপক্ষে করলেন নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
১০৩ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চদশ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন গাপটিল। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কা।
৪১ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২০৬/২। গাপটিল ১০০ ও রস টেইলর ৩৭ রানে ব্যাট করছেন।
নিউ জিল্যান্ডের দুইশ
একই তালে এগিয়ে যাচ্ছে নিউ জিল্যান্ড। ২১তম ওভারে তারা ছুঁয়েছিল তিন অঙ্ক। দুইশ রানে গেল ৪১তম ওভারে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাফল্য পেলেন মাহমুদউল্লাহ। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফিরিয়ে দিলেন কেন উইলিয়ামসনকে।
ভেতরে ঢোকা বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক। ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। বল প্যাডে লাগলে জোরালো আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার সাড়া না দিলে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেয় তারা।
বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় লাগতো লেগ স্টাম্পে। তাই পাল্টায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ২২ বলে ১ চারে ১১ রান করে ফিরে যান উইলিয়ামসন। ২৮.৫ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১৩৭/২। ক্রিজে মার্টিন গাপটিলের সঙ্গী রস টেইলর।
সাব্বির রহমানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের ৩৫তম ফিফটি তুলে নিলেন মার্টিন গাপটিল। দুটি করে ছক্কা-চারে ৫৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন এই বিস্ফোরক ওপেনার।
২৪ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১১০/১। গাপটিল ৫০ ও কেন উইলিয়ামসন ৫ রানে ব্যাট করছেন।
নিকলোসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মিরাজ
শতরানের জুটি ভেঙে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন মেহেদী হাসান। বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন হেনরি নিকোলসকে।
অফ স্পিনারকে বেরিয়ে এসে পুশ করতে চেয়েছিলেন নিকোলস। বল সামনে যায়নি, তার প্যাডে লেগে গড়িয়ে পিছন দিকে গিয়ে বেলস ফেলে দেয়। ৮০ বলে পাঁচ চারে ৫৩ রান করে ফিরেন বাঁহাতি ওপেনার।
২২.৩ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১০৩/১। ক্রিজে গাপটিলের সঙ্গী অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
গাপটিলকে জীবন দিলেন মুশফিক
হাতছাড়া হয়ে গেল জুটি ভাঙার আরেকটি সুযোগ। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মার্টিন গাপটিলের ক্যাচ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহিম।
লেগ স্টাম্পের বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি গাপটিল। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি বাংলাদেশের কিপার। সে সময় ৪৮ রানে ব্যাট করছিলেন গাপটিল।
গাপটিল-নিকলোস জুটিতে একশ
ত্রয়োদশ ওভারে এসেছিল পঞ্চাশ, রান তিন অঙ্কে গেল ২১তম ওভারে। মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলসের ব্যাটে শতরানের জুটিতে দারুণ শুরু পেয়ে গেছে নিউ জিল্যান্ড।
নিকোলসের ফিফটি
এক সময় মার্টিন গাপটিলের চেয়ে বেশ পিছিয়ে থাকা হেনরি নিকলোস আগে পৌঁছালেন ফিফটিতে। মেহেদী হাসানকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৭২ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। নিকোলসের ব্যাট থেকে এই সময়ে আসে পাঁচটি বাউন্ডারি।
কঠিন সুযোগ নিতে পারলেন না মুশফিক
শুরুর জুটি ভাঙার কঠিন একটি সুযোগ এসেছিল মুশফিকুর রহিমের সামনে। সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন নিকোলস। ঠিক মতো ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। ক্যাচ যায় কিপারের কাছে। কিন্তু গ্লাভস ছোঁয়ালেও জমাতে পারেননি মুশফিক। সে সময় ৩৯ রানে ব্যাট করছিলেন নিকোলস।
১৯ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৮৯/০। মার্টিন গাপটিল ৪৫ ও নিকোলস ৪২ রানে ব্যাট করছেন।
সাইফের ব্যর্থতায় বাঁচলেন গাপটিল
শুরুর জুটি ভাঙার একটি সুযোগ নষ্ট করলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তার ব্যর্থতায় রান আউটের হাত থেকে বেঁচে গেলেন মার্টিন গাপটিল।
ডিপ স্কয়ার লেগে বল পাঠিয়ে দুই রানের জন্য ছুটেন নিকোলস। দ্বিতীয় রানের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না গাপটিল। একটু দেরিতে দৌড় শুরু করা ওপেনার অনেক পিছিয়ে ছিলেন। সৌম্য সরকারের থ্রো পাওয়ার পর খুব ধীরে স্টাম্প ভাঙার চেষ্টা করেন বোলার সাইফ, স্টাম্পে লাগাতেও পারেন। তিনি একটু দ্রুত বেলস ফেলতে পারলেই ফিরে যেতে হতো গাপটিলকে।
শুরুর জুটিতে পঞ্চাশ
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নিউ জিল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস। মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে নিকোলসের সিঙ্গেলে ১২.৫ ওভার পঞ্চাশ স্পর্শ করে স্বাগতিকদের শুরুর জুটি।
১৩ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৫০/০। গাপটিল ২৭ ও নিকোলস ২১ রানে ব্যাট করছেন।
নিউ জিল্যান্ডের সাবধানী শুরু
লক্ষ্য তাড়ায় সাবধানী শুরু করেছে নিউ জিল্যান্ড। ঝুঁকি নিয়ে শট খেলছেন না দুই ওপেনারের কেউই। প্রথম পাঁচ ওভার থেকে এসেছে একটি বাউন্ডারি।
৫ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১৭/০। মার্টিন গাপটিল ৭ ও হেনরি নিকোলস ৮ রানে ব্যাট করছেন।
মিঠুনের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি
নয় ওভারে ৪২ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারানো বাংলাদেশ লড়াই করার মতো একটা স্কোর পেল মোহাম্মদ মিঠুনের দৃঢ়তায়। দুই অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের সঙ্গে তার দুটি জুটিতে নিউ জিল্যান্ডকে ২৩৩ রানের লক্ষ্য দিল সফরকারীরা।
শুরুতে ২২ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সৌম্য সরকার। শেষটায় ৫৮ বলে ৪১ রান করেন সাইফ। নবম ওভারে ক্রিজে যাওয়া মিঠুন ৯০ বলে পাঁচ চারে ফিরেন ৬২ রান করে।
নিউ জিল্যান্ডের দুই বাঁহাতি বোলার ট্রেন্ট বোল্ট ও মিচেল স্যান্টনার নেন তিনটি করে উইকেট। গতি দিয়ে ভোগান দুই উইকেট নেওয়া লকি ফার্গুসন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ (তামিম ৫, লিটন ১, সৌম্য ৩০, মুশফিক ৫, মিঠুন ৬২, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সাব্বির ১৩, মিরাজ ২৬, সাইফ ৪১, মাশরাফি ৯*, মুস্তাফিজ ০; হেনরি ৯-১-৪৮-২, বোল্ট ৯.৫-০-৪০-৩, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫-০-১৯-০, ফার্গুসন ১০-১-৪৪-২, স্যান্টনার ৮-০-৪৫-৩, নিশাম ৭-০-২৬-০)
পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারল না বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমানকে ফিরিয়ে দিয়ে সফরকারীদের ৭ বল বাকি থাকতে ২৩২ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট।
দারুণ এক ইয়র্কারে মুস্তাফিজকে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার। এক চারে নয় রানে অপরাজিত থেকে যান মাশরাফি বিন মুর্তজা।
বোল্ড করে মিঠুনকে থামালেন ফার্গুসন
উদ্ধারপর্ব দারুণভাবে সেরেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে শেষ করে আসতে পারলেন না এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তাকে ফিরিয়ে দিলেন গতিময় পেসার লকি ফার্গুসন।
স্লগ করার চেষ্টায় গতিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে যান মিঠুন। পাঁচ চারে ৯০ বলে ৬২ রান করে ফিরেন তিনি।
৪৭.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২২৯/৯। ক্রিজে মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গী একাদশ ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমান।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি গড়ে ফিরলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। মিচেল স্যান্টনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ করার চেষ্টায় মার্টিন গাপটিলের হাতে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
৫৮ বলে তিন চারে ৪১ রান করে সাইফ ফিরলে ভাঙে তার সঙ্গে মোহাম্মদ মিঠুনের ৮৪ রানের জুটি। অষ্টম উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সেরা জুটি ছিল খালেদ মাসুদ ও মোহাম্মদ রফিকের। ২০০৩ বিশ্বকাপে কিম্বার্লিতে অপরাজিত ৭০ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।
বাংলাদেশের দুইশ
এক সময়ে দেড়শ রানই মনে হচ্ছিল দূরের পথ। মোহাম্মদ মিঠুন ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ ৪৪তম ওভারে ছুঁয়ে ফেলল দুইশ।
৪৪ ওভার শেষে সফরকারীদের স্কোর ২০৯/৭। তাদের একশ এসেছিল ২৩তম ওভারে। মিঠুন ৫৮ ও সাইফ ৩৬ রানে ব্যাট করছেন। এরই মধ্যে গড়েছেন ৭৮ রানের জুটি।
এশিয়ার বাইরে নিজের প্রথম ইনিংসে পঞ্চাশের দেখা পেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
ম্যাট হেনরির বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৭৩ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি স্পর্শ করেন মিঠুন। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে চারটি চার।
হেনরির বলে মিঠুনের সেই সিঙ্গেলে অষ্টম উইকেটে এসে নিজেদের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পায় বাংলাদেশ।
৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৮১/৭। মিঠুন ৫০ ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ২১ রানে ব্যাট করছেন।
জীবন পেলেন সাইফ
দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই বাংলাদেশের প্রতিরোধ গড়া জুটি ভাঙার আশা জাগিয়েছিলেন ম্যাট হেনরি। তার বলে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের ক্যাচ ছেড়েছেন টম ল্যাথাম।
শর্ট বল বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ যায় কিপারের কাছে। লাফিয়ে গ্লাভস ছোঁয়ালেও ক্যাচ জমাতে পারেননি ল্যাথাম। সে সময় ১৭ রানে ব্যাট করছিলেন সাইফ।
বাজে শটে ফিরলেন মিরাজ
ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে দারুণ খেলছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সবচেয়ে ভালো খেলছিলেন মিচেল স্যান্টনারকে। তবে বাজে শটে বাঁহাতি স্পিনারকেই উইকেট দিয়ে এলেন মিরাজ।
অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল অনায়াসে ছেড়ে দিতে পারতেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। ওয়াইড হতে যাওয়া বল সুইপ করে উড়াতে চাইলেন। টাইমিং করতে না পারায় উঠে গেল সহজ ক্যাচ, শর্ট ফাইন লেগের ফিল্ডার জেমস নিশাম কিছুটা সরে গিয়ে মুঠোয় জমালেন বল।
২৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৬ রান করে ফিরেন মিরাজ। ২৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৩১/৭। ক্রিজে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গী তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
বাংলাদেশের একশ
নিয়মিত উইকেট হারানো বাংলাদেশ একশ ছুঁয়েছে ২৩ ওভারে। সাব্বির রহমান ফিরে যাওয়ার পর মিচেল স্যান্টনারের শেষ তিন বলে দু্ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে তিন অঙ্কে নিয়ে যান অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। দশম ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল সফরকারীদের সংগ্রহ।
২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০২/৬। মোহাম্মদ মিঠুন ২২ ও মিরাজ ৮ রানে ব্যাট করছেন।
পেসারদের ঠিকঠাক সামালাচ্ছিলেন সাব্বির রহমান। গতিময় পেসার লকি ফার্গুসনকে দারুণ কাভার ড্রাইভে হাঁকিয়েছিলেন দুটি চার। তালগোল পাকালেন স্পিন আসতেই। ভারসাম্য হারিয়ে ফিরে গেলেন স্টাম্পড হয়ে।
বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল সুইপ করতে চেয়েছিলেন সাব্বির। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। ভারসাম্য হারিয়ে তিনি পড়ে গেলে সুযোগ কাজে লাগান টম ল্যাথাম, ফেলে দেন বেলস। বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।
২০ বলে দুই চারে ১৩ রান করেন সাব্বির। ২২.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৯৪/৬। ক্রিজে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
দুই দলের সবশেষ দেখায় সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহ এবার বেশিক্ষণ টিকলেন না। লকি ফার্গুসনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করতে চেয়েছিলেন তিনি। ঠিক মতো ব্যাটে বলে করতে পারেননি। ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে রস টেইলরের কাছে। দ্বিতীয় চেষ্টায় বল মুঠোয় জমান তিনি।
২৯ বলে ১৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ১৭.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৭১/৫। ক্রিজে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গী সাব্বির রহমান।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মাহমুদউল্লাহ
ট্রেন্ট বোল্টের সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বল হাত ছুঁয়ে গেলেও মাহমুদউল্লাহকে কট বিহাইন্ড দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
বোল্টের বল একটুর জন্য গ্লাভসের নাগাল পায়নি। তাই বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। সে সময় ৬ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।
১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৩/৪। মাহমুদউল্লাহ ৬ ও মোহাম্মদ মিঠুন ৫ রানে ব্যাট করছেন।
সৌম্যকে থামালেন হেনরি
এক প্রান্তে রানের জন্য ভুগছিলেন সতীর্থরা, অন্য প্রান্তে সাবলীল ছিলেন সৌম্য সরকার। বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তাকে থামালেন ম্যাট হেনরি।
ডানহাতি এই পেসারের বাউন্সারে হুক করতে চেয়েছিলেন সৌম্য। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় সহজ ক্যাচ। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে ক্যাচ নিজেই মুঠোয় জমান হেনরি।
২২ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৩০ রান করে ফিরে যান সৌম্য। ৮.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪২/৪। ক্রিজে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
মুশফিককে ফেরালেন বোল্ট
অনেক বিপদের ত্রাতা মুশফিকুর রহিমকে এবার বেশিক্ষণ টিকতে দিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। বোল্ড করে কিপার ব্যাটসম্যানকে ফেরালেন বাঁহাতি এই পেসার।
অষ্টম ওভারে বোল্টের একটি বাউন্সার আঘাত হানে মুশফিকের হেলমেটে। তারপর থেকে ভালোই করছিলেন তিনি। তবে ওভারের শেষ বলটি কাট করার চেষ্টায় স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়ে যান মিডল অর্ডারের অন্যতম এই ভরসা।
৭.৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪২/৩। ক্রিজে সৌম্য সরকারের সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন।
টিকলেন না লিটনও
তামিম ইকবালের পর দ্রুত বিদায় নিলেন অন্য ওপেনার লিটন দাসও। গতিময় পেসার ম্যাট হেনরির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন এই তরুণ
অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে সুইং করে ভেতরে ঢোকা বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত হানে অফ স্টাম্পে। ৮ বলে ১ রান করে ফিরে যান ডানহাতি এই ওপেনার।
৪.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৯/২। ক্রিজে আত্মবিশ্বাসী সৌম্য সরকারের সঙ্গী অনেক বিপদের ত্রাতা মুশফিকুর রহিম।
শুরুতেই ফিরলেন তামিম
ম্যাট হেনরির করা ম্যাচের প্রথম বলে চার হাঁকিয়ে শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল। বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্টের করা পরের ওভারে ফিরে গেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
অফ স্টাম্পে পড়ে সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বলে কিপার টম ল্যাথামের গ্লাভসে ধরা পড়েন তামিম। সোজা ড্রাইভ না করে লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে সহজ ক্যাচ যায় কিপারের কাছে।
৬ বলে ১ চারে ৫ রান করে ফিরেন তামিম। ১.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫/১। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী সৌম্য সরকার।
নিউ জিল্যান্ড একাদশে গাপটিল
চোট কাটিয়ে ওপেনার মার্টিন গাপটিল ফিরেছেন একাদশে। টড অ্যাস্টলের জায়গায় গতিময় পেসার লকি ফার্গুসনকে ফিরিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।
নিউ জিল্যান্ড একাদশ: কেন উইলিয়ামসন, ট্রেন্ট বোল্ট, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, লকি ফার্গুসন, মার্টিন গাপটিল, ম্যাট হেনরি, টম ল্যাথাম, জিমি নিশাম, হেনরি নিকোলস, রস টেইলর, মিচেল স্যান্টনার।
বাংলাদেশ একাদশে সাব্বির-সাইফ
নিউ জিল্যান্ড সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাব্বির রহমান জায়গা পেয়েছেন একাদশে। পেসার রুবেল হোসেনের জায়গায় অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, সাইফ উদ্দিন, সাব্বির রহমান।
ম্যাকলিন পার্কে প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জানিয়েছেন, টস জিতলে তিনিও ব্যাটিং নিতেন।
সাকিবকে ছাড়াই জয়ের আশায় বাংলাদেশ
লড়াইটা অধরাকে ধরার। তবে সেই অভিযান শুরুর আগেই হারাতে হয়েছে সবচেয়ে বড় অস্ত্রকে। দল অবশ্য তাতে ভড়কে যাচ্ছে না। সাকিব আল হাসানকে না পাওয়া বড় ধাক্কা, মানছেন স্টিভ রোডস। তবে বাংলাদেশ কোচের বিশ্বাস, দলের সেরা ক্রিকেটারকে ছাড়াও বাংলাদেশ উপহার দিতে পারে বিস্ময়।
বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৭টায় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে নেপিয়ারে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
নিউ জিল্যান্ডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কখনোই কোনো সংস্করণে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দারুণ খেলে বলেই এবার আশা ছিল খরা কাটানোর। তবে সেই আশায় বড় ধাক্কা লেগেছে সাকিবের আঙুলের চোটে।
বিশ্বের অন্যতম সেরা এই না থাকলে দলের ভারসাম্য মেলাতেই হিমশিম খেতে হয় অনেক সময়। এবার আক্ষেপটা বেশি প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড বলেও। বরাবরই সাকিবের প্রিয় প্রতিপক্ষ কিউইরা, তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান ও উইকেট, দুটিই সাকিবের। সাকিব না থাকা তাই কত বড় শূন্যতা, খুব ভালো করেই জানা আছে রোডসের। সিরিজ শুরুর আগে নেপিয়ারে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ কোচ তবু শোনালেন আশার গান।