গত আসরের ফাইনালে গেইল ৬৯ বলে অপরাজিত ছিলেন ১৪৬ রান করে। তার টর্নেডো ইনিংস গড়া ছিল ১৮ ছক্কা ও পাঁচ চারে। এবার তামিম ৬১ বলে অপরাজিত থাকেন ১৪১ রানে। তার অসাধারণ ইনিংসটি সাজানো ১১ ছক্কা ও ১০ চারে।
ফাইনালে কুমিল্লার কাছে ১৭ রানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, প্রতিপক্ষের কেউ এমন ইনিংস খেললে কাজটা খুব কঠিন হয়ে যায়।
“ফাইনালে হেরে গেলে তো তা অবশ্যই কষ্টকর। তিনটা ফাইনালে পরপর খেললাম। প্রথমটায় জিতেছি, তারপরের দুইটায় হেরেছি। দুঃখ আছে একদিক থেকে। আরেক দিক থেকে যদি চিন্তা করি, টি-টোয়েন্টিতে যদি এমন কোনো ইনিংস থাকে তাহলে কাজটা খুব কঠিন হয়ে যায়।”
“গত বছর গেইল ১৪৬ করেছিল, এবার তামিম ১৪১ করল, দুইটা ইনিংসে আমরা দুইটা ম্যাচ হেরে গেছি। এরপর চেষ্টা করতে হবে এমন ইনিংস যেন আর কেউ না খেলতে পারে।”
কুমিল্লার বিপক্ষে ২০০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ঢাকা পেয়েছিল উড়ন্ত সূচনা। ১০ ওভারে ১ উইকেটে করেছিল ১১০ রান। ঢাকার যে ব্যাটিং তাতে এখান থেকে জিততে না পারা অধিনায়কের কাছে অনেক বড় ব্যর্থতা।
“তামিম তো অবশ্যই অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছে। শেষ দুইটা ফাইনালে দুইটা স্পেশাল ইনিংস আমাদের হারের বড় কারণ। এর সাথে আমাদের দিক থেকেও কিছু ভুল ছিল। এই ম্যাচে শেষ ১০ ওভার ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৯০ রান করা অবশ্যই উচিত ছিল। বিশেষ করে এমন ভালো উইকেটে, ছোট মাঠে। পারিনি বলে এই হার খুব হতাশাজনক।”