প্রথম জয়ের আশায় বাংলাদেশের নিউ জিল্যান্ড যাত্রা

দেড় যুগের পথচলা। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২১টি ম্যাচ। কিন্তু অধরা জয়। নিউ জিল্যান্ডে কখনোই স্বাগতিকদের বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এমনকি ড্র করতেও পারেনি একটি ম্যাচ। এবার সেই ইতিহাস বদলাতে চায় বাংলাদেশ। দেশ ছাড়ার আগে কোচ স্টিভ রোডস বলে গেলেন, এবার কিছু ম্যাচ জিততে চায় দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2019, 10:50 AM
Updated : 6 Feb 2019, 11:15 AM

নিউ জিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ স্কোয়াডের প্রথম ভাগ ঢাকা ছেড়েছে বুধবার দুপুরে। বিপিএলের ফাইনালের লড়াইয়ে না থাকা ৮ ক্রিকেটারের সঙ্গে গিয়েছেন কোচ স্টিভ রোডস ও ম্যানেজার খালেদ মাসুদ। বাকি ৭ জন যাবেন শনিবার রাতে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু সফরে তিনটি টেস্টও খেলবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের জন্য নিউ জিল্যান্ড সফর কতটা কঠিন, সেটি ফুটিয়ে তুলছে পরিসংখ্যানই। তবে এবার জয়ের শূন্য খাতায় কিছু ছাপ রাখার প্রত্যয় জানিয়ে গেলেন রোডস। কোচের বেশি আশা ওয়ানডেকে ঘিরেই।

“আশা করি, এবার কিছু ম্যাচ জিতব। জিততে পারলে দারুণ হবে। কাজটা খুব সহজ নয়, আমাদের সবশেষ সফরেও সেটি প্রমাণ হয়েছে। তবে দল নিয়ে আমরা খুশি এবার। ক্রিকেটারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে আমরা খুশি। ওয়ানডেতে আমরা ভালো খেলি, এই সংস্করণে আমরা গর্ব খুঁজে নেই। ওয়ানডেতে তাই সেরা ফলের আশা করছি।”

“টেস্ট ম্যাচগুলি খুব কঠিন হবে। তবে, দেশের বাইরে খেলতে আগের চেয়ে আমরা এখন বেশি প্রস্তুত। আশা করি, টেস্ট ম্যাচেও এবার ভালো করতে পারব।”

সবশেষ ২০১৬-১৭ মৌসুমে নিউ জিল্যান্ডে পূর্ণাঙ্গ সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার তাই দুই সফরের মাঝে বিরতি অনেক লম্বা ছিল না। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের আশা, আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এবার।

“আমরা বেশ কিছু দিন আগেই যাচ্ছি। অনুশীলনের কয়েকটি দিন সময় পাব। নিউ জিল্যান্ডে আমরা আগেও গিয়েছি। কন্ডিশন সম্পর্কে আমার একটু ধারণা আছে। যত দ্রুত মানিয়ে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করব। আমরা যারা আগে যাচ্ছি, আশা করি প্রস্তুতি ভালো হবে।”

আগের সফরগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কথা শোনা গেল সাব্বির রহমানের কণ্ঠেও।

“এর আগে দুইবার গিয়েছি নিউ জিল্যান্ডে, অভিজ্ঞতা আছে। আবহাওয়া কেমন, ধারণা আছে। আশা করি, দ্রুত মানিয়ে নিতে পারব ও ভালো খেলার চেষ্টা করব।”

আগামী বুধবার নেপিয়ারে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। তার আগে ১০ মার্চ লিংকনে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ভাগে যাওয়া ৮ ক্রিকেটারের সঙ্গে স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে ওই ম্যাচ খেলবে দল। দ্বিতীয় ভাগে যারা যাবে, সেই সাত জন সরাসরি দলের সঙ্গে যোগ দেবে নেপিয়ারে।

ওয়ানডের বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান (সহ অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, নাঈম হাসান, শফিউল ইসলাম, সাব্বির রহমান।