কুমিল্লার বিপক্ষে ‘মানসিকভাবে’ এগিয়ে থাকবে রংপুর

এক ম্যাচে ৬৩, আরেক ম্যাচে ৭২। প্রতিপক্ষ হিসেবে রংপুর রাইডার্সকে দেখলে এখন আতঙ্কের চোরাস্রোত বয়ে যাওয়ার কথা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ড্রেসিং রুমে। তেমনি, রংপুরের থাকার কথা স্বস্তিতে। রবি বোপারাও মানছেন, মানসিকভাবে এগিয়ে তার দল। তবে রংপুরের অলরাউন্ডার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কুমিল্লা দলটাও দারুণ। হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগই নেই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2019, 10:37 AM
Updated : 3 Feb 2019, 10:37 AM

বিপিএলের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে সোমবার মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। প্রাথমিক পর্বে সেরা দুইয়ে ছিল এই দুই দল, তাদের পয়েন্টও সমান। তবে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল একদমই একতরফা। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুরের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি কুমিল্লা।

সেই দুই লড়াইয়ের একটি ছিল আবার দুই দলের সবশেষ ম্যাচ, শনিবারই হয়ে যাওয়া যে ম্যাচের রেশ মিলিয়ে যায়নি এখনও। সেই ধাক্কা সামলেই কুমিল্লাকে মাঠে নামতে হবে নতুন করে।

৭ রানে ৩ উইকেট সেদিন ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন বোপারা। আরেকটি লড়াইয়ের আগে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকার কথা বলছেন রংপুরের ইংলিশ অলরাউন্ডার। তবে লড়াইয়ের আগে তারা বেশ সতর্কও।

“এটা তো একটা পার্থক্য গড়ে দেয়ই (দুটি ম্যাচেই জয়)। মানসিকভাবে বেশ এগিয়ে থাকা যায়। তবে মনে রাখতে হবে, ওদের দলে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ও দারুণ ক্রিকেটার আছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কি করতে হয়, তারা জানেন। কঠিন একটি লড়াইয়ের আশাই আমরা করছি।”

ফাইনালে ওঠার এই লড়াইয়ে রংপুর পাচ্ছে না এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। দলের সঙ্গে তার চুক্তির ম্যাচগুলো শেষ। এই মৌসুমে তাদের আরেক সফল ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেলসও ফিরে গেছেন চোট নিয়ে। শক্তির বড় দুটি জায়গা হারিয়ে রংপুর কি পারবে সময়ের দাবি মেটাতে? বোপারা চ্যালেঞ্জটিকে দেখছেন খুব সাধারণ দর্শনে।

“প্রতিটি ম্যাচই বড় ম্যাচ। গ্রুপ ম্যাচগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভালো ব্যাপারগুলো প্রতিটি ম্যাচেই একইরকম করা। প্রস্তুতিতে ধারাবাহিক থাকা ও প্রত্যাশিত ফল পাওয়া।”

“আমাদের পরিকল্পনা একই থাকবে। আগে বল করলে যত কম রানে সম্ভব ওদের আটকে রাখা। আগে ব্যাট করলে আমরা জিততে পারি, এমন স্কোর গড়া।”

কত  রান হতে পারে জয়ের মতো, সেটির একটি ধারণাও দিলেন বোপারা।

“দিনের ম্যাচের বাস্তবতা একরকম, রাতের ম্যাচে আরেকরকম। রাতের ম্যাচে ১৫০-১৬০ হতে পারে ভালো স্কোর। দিনের ম্যাচে ১২০ রানই অনেক সময় যথেষ্ট।”