কক্সবাজারে ৬৩ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ঘরে তুলেছে স্বাগতিকরা। ২৬৬ রান তাড়ায় ৪৬ ওভার ৩ বলে ২০৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ফিরে যান তানজিদ হাসান। পাঁচটি চারে ২২ বলে ২৩ রান করেন এই ওপেনার। পারভেজ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়ের দ্রুত বিদায়ে স্বাগতিকরা চাপে পড়ে যায়।
মাহমুদুলের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন শামিম। মন্থর ব্যাটিংয়ে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরপরই ফিরে যান ওপেনার মাহমুদুল। ৯০ বলে খেলা তার ৫৭ রানের ইনিংস গড়া চারটি চারে।
বেশিক্ষণ টিকেননি আকবর আলী। তবে দারুণ দৃঢ়তায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেন শামিম। ৮৭ বলে খেলা তার ৭২ রানের দাপুটে ইনিংস গড়া তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চারে।
অষ্টম উইকেটে রিশাদ হোসেনের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটিতে দলকে আড়াইশ রানে নিয়ে যান শাহাদাত জুনিয়র। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে পাঁচ চার ও দু্ ছক্কায় ৫১ রান করেন তিনি।
রান তাড়ায় প্রায় একাই লড়াই করেন ওপেনার চার্লসওয়ার্থ। সেঞ্চুরি করার পথে তৃতীয় উইকেটে লুইস গোল্ডসওয়ার্থির সঙ্গে ৬১ ও সপ্তম উইকেটে লুক হলম্যানের সঙ্গে ৬৪ রানের দুটি ভালো জুটি উপহার দেন তিনি।
এক সময়ে ইংলিশদের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ২০১ রান। তবে মাত্র ২ রানের মধ্যে শেষ চার উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। ১০ চার ও এক ছক্কায় ১৪৯ বলে ১১৫ রান করেন চার্লসওয়ার্থ।
বাংলাদেশের আসাদউল্লাহ গালিব ৪ উইকটে নেন ১৭ রানে। দুটি করে উইকেট নেন তৌহিদ, শামিম ও রুহেল। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন শামিম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৫০ ওভারে ২৬৬/৯ (তানজিদ ২৩, মাহমুদুল ৫৭, পারভেজ ১৩, তৌহিদ ২, শামিম ৭২, আকবর ১০, শাহাদাত ৫১*, রাকিবুল ৩, রিশাদ ২২, রুহেল ০, আসাদউল্লাহ ০*; হিল ৩/৩৭, ফিঞ্চ ২/৪৮, মরলে ২/৪৬, বল্ডারসন ১/২৫)।
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯: ৪৬.৩ ওভারে ২০৩ (চার্লসওয়ার্থ ১১৫, কক্স ০, স্মিথ ০, গোল্ডসওয়ার্থি ২১, হিল ৬, মোজলি ৭, বল্ডারসন ১১, হলম্যান ৩০, কাদরি ১, ফিঞ্চ ০, মরলে ১*; রুহেল ২/৪০, শামিম ২/৪৩, রাকিবুল ০/৩৭, তৌহিদ ২/৩১, আসাদউল্লাহ ৪/১৭, রিশাদ ০/১৩)।
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৬৩ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৩-০তে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: শামিম হোসেন
ম্যান অব দা সিরিজ: বেন চার্লসওয়ার্থ