জয় দিয়ে শেষ সিলেটের

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সিলেট সিক্সার্সকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার। লড়িয়ে ইনিংসে চিটাগং ভাইকিংসকে টানলেন মুশফিকুর রহিম। তবে দারুণ বোলিংয়ে বিপিএলের এবারের আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেটকে জয় এনে দিলেন ইবাদত হোসেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2019, 02:56 PM
Updated : 1 Feb 2019, 05:34 PM

সিলেট জিতেছে ২৯ রানে। ১৬৫ রান তাড়ায় ১৮ ওভার ৩ বলে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় চিটাগং।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। দ্বিতীয় ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে আফিফ হোসেনকে ফিরিয়ে দেন হার্ডাস ভিলিওন। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার বিদায় করেন জেসন রয়কে।

৩৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া সিলেটকে পথ দেখান ফ্লেচার ও সাব্বির রহমান। তৃতীয় উইকেটে দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান গড়েন ৬৫ রানের জুটি। নাঈমকে উড়ানোর চেষ্টায় সাব্বির সীমানায় ধরা পড়লে ভাঙে জুটি। ২৫ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৩২ রান করে বিদায় নেন তিনি।

ক্রিজে এসেই বোলারদের ওপর চড়াও হন মোহাম্মদ নওয়াজ। দ্রুত জমে যায় ফ্লেচারের সঙ্গে তার জুটি। ১৯ বলে তিন ছক্কা আর দুই চারে ৩৪ রান করা নওয়াজকে বিদায় করে বিপজ্জনক হয়ে উঠা ৫১ রানের জুটি ভাঙেন ভিলিওন। পরের বলে ফিরিয়ে দেন ফ্লেচারকে। ক্যারিবিয়ান ডানহাতি ওপেনার ৫৩ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় করেন ৬৬ রান।

টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন ভিলিওন। অফ স্পিনার নাঈম আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১ উইকেট নেন ১৪ রানে।

রান তাড়ায় শুরুতে ধাক্কা খায় চিটাগং। ইনিংসের তৃতীয় বলে কট বিহাইন্ড করে মোহাম্মদ আশরাফুলকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে ক্যামেরন ডেলপোর্টকে বিদায় করেন ইবাদত।

অলক কাপালীর বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ইয়াসির আলী চৌধুরীকে থামান রয়। শর্ট বলে ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের পুলে সীমানায় ঝাঁপিয়ে এক হাতে ক্যাচ মুঠোয় নেন তিনি।

বোলিংয়ে ফিরে ইবাদাত থামান বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া মোসাদ্দেক হোসেনকে। তরুণ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দুটি করে ছক্কা-চারে ১৫ বলে করেন ২৫ রান। 

দশম ওভারে কাপালীকে মোসাদ্দেক দ্বিতীয় ছক্কা হাঁকানোর সময় লংঅফে ফিল্ডিং করছিলেন তাসকিন। বলে নজর রেখে পেছাতে থাকা এই ফিল্ডারের পা সীমানা দড়িতে বেকায়দায় পড়লে মচকে যায় বাম গোড়ালি। দুই জনের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান তাসকিন। তারপর তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।

বেশিক্ষণ টিকেননি সিকান্দার রাজা। আশা হয়ে টিকে থাকা মুশফিক ফিরে যান রান আউট হয়ে। অধিনায়কের ৩২ বলে খেলা ৪৮ রানের ইনিংসটি গড়া তিনটি করে ছক্কা-চারে। তার বিদায়ের পর বেশিদূর এগোয়নি চিটাগংয়ের ইনিংস। দলটি শেষ ৪ উইকেট হারায় ৭ রানে।

ইবাদত ১৭ রানে নেন ৪ উইকেট। পাঁচ ম্যাচের ছোট ক্যারিয়ারে এই পেসার প্রথমবারের মতো পেলেন চার উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ওয়েইন পার্নেল ২ উইকেট নেন ২২ রানে।   

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট সিক্সার্স: ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (ফ্লেচার ৬৬, আফিফ ১, রয় ১১, সাব্বির ৩২, নওয়াজ ৩৪, জাকের ৮*, পার্নেল ২*; আবু জায়েদ ৪-০-৪৮-০, ভিলিওন ৪-০-২৯-৪, খালেদ ৩-০-২০-০, শানাকা ২-০-২৩-০, ডেলপোর্ট ৪-০-২৬-০, নাঈম ৩-০-১৪-১)

চিটাগং ভাইকিংস: ১৮.৩ ওভারে ১৩৬ (ডেলপোর্ট ২, আশরাফুল ০, ইয়াসির ২৭, মুশফিক ৪৮, মোসাদ্দেক ২৫, রাজা ৫, শানাকা ৭, ভিলিওন ১৫, নাঈম ০*, আবু জায়েদ ৫, খালেদ ০; তাসকিন ২-০-১০-১, ইবাদত ৪-০-১৭-৪, পার্নেল ৩.৩-০-২২-২, নওয়াজ ৪-০-৩৪-১, কাপালী ২-০-২৫-১, নাবিল ৩-০-২৮-০)

ফল: সিলেট সিক্সার্স ২৯ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: ইবাদত হোসেন