তিন হ্যাটট্রিকে তৃতীয় রাসেল

ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক, ইনিংসে খুব বেশি প্রভাব হয়তো ফেলতে পারেনি। তবে ওই হ্যাটট্রিকেই আন্দ্রে রাসেল ছুঁয়েছেন একটি রেকর্ড। এর আগেও দুবার হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টিতে তিনটি হ্যাটট্রিক করা মাত্র তৃতীয় বোলার রাসেল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2019, 11:22 AM
Updated : 30 Jan 2019, 11:22 AM

বিপিএলে বুধবার চট্টগ্রামে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন রাসেল। শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে ফিরিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম, ক্যামেরন দেলপোর্ত ও দাসুন শানাকাকে।

টি-টোয়েন্টিতে তিনটি হ্যাটট্রিক করতে পেরেছেন আর কেবল ভারতের অমিত মিশ্র ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু টাই।

রাসেল প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের হয়ে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে। বেঙ্গালুরুতে সেদিন ২০ ওভারে ২২১ রান করেছিল ভারত ‘এ’। কিন্তু ইনিংসের ১৯তম ওভারে রাসেল শুধু হ্যাটট্রিকই করেননি, টানা চার বলে ফিরিয়েছিলেন কেদার যাদব, যুবরাজ সিং, নামান ওঝা ও ইউসুফ পাঠানকে।

রাসেলের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক ছিল গত বছর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জ্যামাইকা তালাওয়াহসের হয়ে।

প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে তিনটি হ্যাটট্রিকের কীর্তি প্রথম গড়েছিলেন অমিত মিশ্র। ভারতীয় লেগ স্পিনারের তিনটি হ্যাটট্রিকই আইপিএলে। প্রথমটি ২০০৮ আইপিএলে, পরেরটি ২০১১ ও সবশেষটি ২০১৩ আইপিএলে।

টাই তিনটি হ্যাটট্রিক করেছেন এক বছরের মধ্যেই। দুটি বিগ ব্যাশে, একটি আইপিএলে। এই পেসার ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ব্রিজবেন হিটের হয়ে করেছিলেন প্রথমটি, এপ্রিলে আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সের হয়ে দ্বিতীয়টি, ডিসেম্বরে পার্থ স্কর্চার্সের হয়ে তৃতীয়টি।

টি-টোয়েন্টিতে দুটি করে হ্যাটট্রিক আছে বাংলাদেশের আল আমিন হোসেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির, পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ, নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেনক্স কাশ ও ভারতের যুবরাজ সিংয়ের।

যুবরাজ আবার একটি জায়গায় অনন্য। দুইবার নিজে হ্যাটট্রিক করেছেন, দুইবার নিজে হ্যাটট্রিকের শিকারও হয়েছেন!

টানা চার বলে উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রাসেল ছাড়া আছে আর কেবল আল আমিনের। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার। ইনিংসের শেষ ওভারে তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বলে আউট করেছিলেন নাজমুল হোসেন মিলন, সোহরাওয়ার্দী শুভ, নাঈম ইসলাম জুনিয়র ও নাবিল সামাদকে।

ওই ওভারের প্রথম বলে মেহেদি মারুফকেও আউট করেছিলেন আল আমিন। দুর্দান্ত সেই ওভারে তাই তার উইকেট ছিল ৫টি।