সফরে একাদশ নির্বাচনের কাজটি এখন করবেন দলের ম্যানেজার ও অধিনায়ক। তারা পরামর্শ নেবেন মূল নির্বাচক কমিটির। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট জানিয়েছে, “দল নির্বাচন প্রক্রিয়া কার্যকর ও স্বচ্ছ” করতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশর কোচ থাকার সময় মূল নির্বাচক কমিটির অংশ ছিলেন হাথুরুসিংহে। তার দাবি মেনে তাকে নির্বাচক কমিটিতে রাখতে সে সময় দল নির্বাচন পদ্ধতির খোলনলচে পাল্টে ফেলেছিল বিসিবি। গড়া হয়েছিল দুই স্তরে ৬ সদস্যের বিশাল নির্বাচক কমিটি।
কিন্তু ক্রমে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন দল নির্বাচনে সবচেয়ে প্রভাবশালী। কোচের প্রবল ক্ষমতা নিয়ে দলে অস্বস্তি ও সংবাদমাধ্যমে প্রবল সমালোচনা হলেও বিসিবি নিজেদের সিদ্ধান্তে ছিল অটল।
পরে ২০১৭ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে হাথুরুসিংহে দায়িত্ব নেন শ্রীলঙ্কার। সেখানেও যথারীতি নির্বাচক কমিটিতে রাখার দাবি করেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া আইনে কোচকে নিবাচক কমিটিতে রাখার নিয়ম নেই। লঙ্কান সংবাদমাধ্যম তখন জানিয়েছিল, আইন বদল যেহেতু সম্ভব নয়, কোচের সঙ্গে ‘আপস’ করে বিশেষ জরুরি সভা ডেকে তাকে সফরকালীন নির্বাচক করে খুশি করা হয়েছিল।
কিন্তু হাথুরুসিংহের কোচিংয়েও দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব আশাব্যঞ্জক নয়। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে তারা, হেরেছে ওয়ানডে সিরিজ ও টি-টোয়েন্টিতেও। নিউ জিল্যান্ড সফরে টেস্ট ও ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর হেরেছে টি-টোয়েন্টিতে।
এরপর অস্ট্রেলিয়া সফরেও ভঙ্গুর অস্ট্রেলিয়া দলের কাছে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর এল পরিবর্তনের এই ঘোষণা। হাথুরুসিংহে দায়িত্ব নেওয়ার পর সব মিলিয়ে তিন সংস্করণে ৪২ ম্যাচের ১৪টি কেবল জিততে পেরেছে শ্রীলঙ্কা।