আইসিসি অ্যাওয়ার্ডে কোহলির ইতিহাস

২২ গজের পারফরম্যান্সে ছুটছেন অপ্রতিরোধ্য গতিতে, স্বীকৃতির পালায়ও গড়া হলো নতুন ইতিহাস। আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি বর্ষসেরা ক্রিকেটারের স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফিও জিতে নিয়েছেন বিরাট কোহলি। আইসিসি শীর্ষ তিন ক্যাটেগরির পুরস্কার কোনো ক্রিকেটার একসঙ্গে জিতলেন এই প্রথমবার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2019, 08:21 AM
Updated : 22 Jan 2019, 08:21 AM

ব্যক্তিগত এই তিন পুরস্কারের পাশাপাশি ২০১৮ সালে আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে, দুটি একাদশেরই অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন কোহলি।

২০১৮ সালে ১৩ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরিতে ৫৫.০৮ গড়ে ১ হাজার ৩২২ রান করেছেন কোহলি। ১৪ ওয়ানডেতে ৬ সেঞ্চুরিতে ১ হাজার ২০২ রান করেছেন ১৩৩.৫৫ গড়ে। ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলে করেছেন ২১১ রান।

বর্ষসেরা ক্রিকেটার স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি জয়ে কোহলি ছিলেন সর্বসম্মত পছন্দ। বর্ষসেরা ক্রিকেটার ও বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারে রানার্স আপ দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদা। বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসেবে কোহলির পরেই ছিলেন আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান।

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ তিনটি পুরস্কারই জিতে কোহলি জানিয়েছেন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া।

“এই অনুভূতি অসাধারণ। বছরজুড়ে করা কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি এটি। আমি কৃতজ্ঞ এবং দলের দুর্দান্ত পথচলায় নিজে অবদান রাখতে পেরে খুবই খুশি। আইসিসির কাছ থেকে বিশ্ব পর্যায়ের এই স্বীকৃতি পাওয়া সত্যিই গর্বের ব্যাপার, কারণ অনেক অনেক দারুণ ক্রিকেটার এই খেলাটা খেলছে।”

গত বছরও আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন কোহলি, জিতেছিলেন বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের খেতাবও। তবে বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ।

এবার বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্সের পুরস্কার জিতেছেন অ্যারন ফিঞ্চ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ১০ ছয় ও ১৬ চারে ৭৬ বলে ১৭২ রানের ইনিংসটা তাকে এনে দিয়েছে এই সম্মান। ২০১৪ সালেও অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনার পুরস্কার পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৬ রানের ইনিংস খেলে।

বর্ষসেরা উঠতি ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের কিপার ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্ত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবেই যিনি সাড়া জাগিয়েছেন দারুণভাবে।

আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর বর্ষসেরা ক্রিকেটার স্কটল্যান্ডের ক্যালাম ম্যাক্লাউড। বর্ষসেরা আম্পায়ারারের ডেভিড শেফার্ড ট্রফি জিতেছেন কুমার ধর্মসেনা। এর আগে ২০১৩ সালেও সেরা আম্পায়ার হয়েছিলেন এই শ্রীলঙ্কান।

স্পিরিট অব দা ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন কেন উইলিয়ামসন। আইসিসির মতে, “কিভাবে ক্রিকেট খেলাটি খেলা উচিত, সেটির উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকা, মাঠের ভেতরে ও বাইরের আচরণে অসাধারণসব উদাহরণ প্রতিষ্ঠা” করার জন্য নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন এই পুরস্কারের জন্য।

দর্শক-সমর্থকদের ভোটে বছরের সেরা মূহুর্ত নির্বাচিত হয়েছে নিউ জিল্যান্ডে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের যুব বিশ্বকাপ জয়। এটি ভোট পেয়েছে ৪৮ শতাংশ। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়ে হয়েছে দ্বিতীয়।