সেন্ট জর্জেস পার্কে শনিবার ৫ উইকেটে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। ২৬৭ রানের লক্ষ্য ৫ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রিজা হেনড্রিকসের সঙ্গে ৮২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো শুরু এনে দেন আমলা। ৫ চারে ৬৭ বলে ৪৫ রান করা হেনড্রিকসকে ফিরিয়ে শুরুর জুটি ভাঙেন শাদাব খান।
মন্থর উইকেটে বল একটু দেরিতে আসছিল ব্যাটে। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন আমলা ও অভিষিক্ত রাসি ফন ডার ডুসান। দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১৫৫ রানের জুটি।
ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির আশা জাগানো ফন ডার ডুসান ফিরেন রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায়। হাসান আলিকে উড়াতে গিয়ে ধরা পড়েন শোয়েব মালিকের হাতে। ১০১ বলে খেলা ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ৯৩ রানের ইনিংসটি গড়া ৬ চার ও তিন ছক্কায়।
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া আমলা নিজের ইনিংসের একমাত্র ছক্কায় পৌঁছান ২৭তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে। অভিজ্ঞ এই ওপেনার অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে। তার ১২০ বলের ইনিংস সাজানো ৭টি চারে। শেষের দিকে নেমে ১২ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার।
পোর্ট এলিজাবেথে খেলা আগের চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছিল পাকিস্তান, পরিত্যক্ত হয়েছিল অন্যটি। এই মাঠের উইকেট অনেকটাই উপমহাদেশের উইকেটের কাছাকাছি। টেস্ট সিরিজে যে ধরনের উইকেট ছিল তেমন ব্যাটিং করতে না পারার মাশুল দেয় ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে। প্রথম ওয়ানডেতে মন্থর, টার্নিং উইকেটে যে ধরনের ব্যাটিং দরকার ছিল তা করে জয় তুলে নিল সরফরাজ আহমেদের দল।
হেনড্রিকসের আপাত নিরীহ এক ডেলিভারিতে ভাঙে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি। ৫ চারে ৪৯ রান করা বাবর ফিরে যান বোল্ড হয়ে। ছক্কায় রানের খাতা খোলা ইমাম খেলছিলেন দারুণ। তার ব্যাটে পাকিস্তান ছিল সহজ জয়ের পথে। কিন্তু বাজে শটে উইকেট ছুড়ে আসেন এই তরুণ।
১০১ বলে খেলা ইমামের ৮৬ রানের ইনিংসে দুটি ছক্কার পাশে আছে পাঁচটি চার। শোয়েব মালিক ও সরফরাজের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। তবে শাদাবকে নিয়ে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন হাফিজ। চাপের মুখে খেলা ৬৩ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস তাকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
আগামী মঙ্গলবার ডারবানে হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ২৬৬/২ (আমলা ১০৮*, হেনড্রিকস ৪৫, ফন ডার ডুসান ৯৩, মিলার ১৬*; আশরাফ ০/৬৪, উসমান ০/৪৯, ওয়াসিম ০/৩৭, হাফিজ ০/২২, হাসান ১/৪২, শাদাব ১/৪১, ফখর ০/৮)
পাকিস্তান: ৪৯.১ ওভারে ২৬৭/৫ (ইমাম ৮৬, ফখর ২৫, বাবর ৪৯, হাফিজ ৭১*, মালিক ১২, সরফরাজ ১, শাদাব ১৮*; রাবাদা ০/৫১, অলিভিয়ের ২/৭৩, প্রিটোরিয়াস ০/৪২, ফেলুকওয়ায়ো ১/৪৩, তাহির ১/৪৪, হেনড্রিকস ১/১৩)
ফল: পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ হাফিজ