দলের হারে মিলিয়ে গেছে তাসকিনের খুশি

৪ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। ফিরিয়েছিলেন দলের জয়ের আশা। কিন্ত শেষ পর্যন্ত তাসকিন আহমেদের সেই আনন্দ চাপা পড়ে গেছে দলের হারের হতাশায়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2019, 03:14 PM
Updated : 19 Jan 2019, 03:14 PM

রংপুর রাইডার্সকে শনিবার ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল সিলেট। সেই রান তাড়ায় রংপুরকে জয়ের পথে রেখেছিলেন রাইলি রুশো ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। প্রথম স্পেলে ২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে তাসকিন ছিলেন উইকেটশূন্য।

জুটি ভাঙার আশায় তাসকিনকে আবার আক্রমণে আনেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। এবার প্রথম বলেই তাসকিন ফিরিয়ে দেন ৩৫ বলে ৬১ রান করা রুশোকে। ওভারের শেষ বলে বোল্ড করে দেন ২১ বলে ৩৪ রান করা ডি ভিলিয়ার্সকে।

শেষ নয় সেখানেই। ওই জুটির পর রংপুরকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও নাহিদুল ইসলাম। নিজের শেষ ওভারে এই দুজনকেও ফেরান তাসকিন।

এরপরও জিততে পারেনি সিলেট। তিন বল বাকি থাকতে রংপুর জিতে যায় চার উইকেটে। ম্যাচ শেষে তাই মন ভার ছিল তাসকিনের।

“ম্যাচ হারলে খারাপ লাগে। এই ম্যাচ জেতার খুব ইচ্ছে ছিল। চেষ্টা করেছি। খুবই ভালো ব্যাটিং উইকেট ছিল। তার পরও ১৯৪ করে হারাটা উচিত হয়নি। একটু দুঃখজনক। কিছু ভুল হয়েছে। কিছু বাজে ওভার গেছে।”

“সব মিলিয়ে এটি দলীয় খেলা। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স, আমি চারটি উইকেট পেয়েছি, তাই বলে আমি খুশি নই। ভালো ভালো চারটি উইকেট হয়তো পেয়েছি, কিন্তু দিন শেষে এটা দলের খেলা। নিজের খুশি ধরে রাখতে পারিনি ম্যাচ হেরে যাওয়াতে।”

তাসকিনের চার ওভার শেষে ম্যাচের শেষ দুই ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। ১৯তম ওভারে মেহেদি হাসান রানার বোলিংয়ে আসে ১৯ রান। ম্যাচ থেকে সিলেট ছিটকে যায় সেখানেই। বাঁহাতি পেসার রানার জন্য অবশ্য সহানুভূতিই শোনা গেল তাসকিনের কণ্ঠে।

“মেহেদি অনেক ভালো বোলার। ওর লাইফের দ্বিতীয় ম্যাচ; বিপিএলে এর আগে এমন অবস্থার সম্মুখীন হয়নি। একটু নার্ভাস তো ছিলই। কিছু এক্সিকিউশন ভুল করেছে। আসলে ডেথ ওভার বা পাওয়ার প্লেতে ভুলের মার্জিনটা খুব কম থাকে। উনিশ থেকে বিশ হলেই রান হয়। শুধু ও নয়, আমাদের সবারই আজ যেটা আলগা বল হয়েছে, সেটাতেই রান হয়েছে। ইনশাআল্লাহ সে এই ভুল থেকে শিখবে, ভবিষ্যতে ভালো করবে।”

১৪ উইকেট নিয়ে এবারের বিপিএলে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাসকিন। তবে তার দল সিলেট পড়ে আছে ছয় নম্বরে।