রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শেষ হলো এবারের বিপিএলে ওয়ার্নারের অভিযান। কনুইয়ের চোটের চিকিৎসা করাতে রোববারই রওনা হবেন দেশে।
শনিবার শেষ ম্যাচে ওয়ার্নার আউট হয়েছেন ২১ বলে ১৯ রান করে। তবে সাব্বির রহমানের ৫১ বলে ৮৫ ও নিকোলাস পুরানের ২৭ বলে ৪৭ রানের ইনিংসে সিলেট তুলেছিল ১৯৪ রান। তখনও পর্যন্ত তা ছিল এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর।
কিন্তু ফিল্ডিংয়ে একের পর এক ক্যাচ ও রান আউট মিস করে সিলেট। ৩৫ বলে ৬১ রান করা রাইলি রুশো তার ২০ রানের মধ্যেই জীবন পান চারবার। শেষ ওভারে ম্যাচ হেরে যায় সিলেট। ম্যাচ শেষে ফিল্ডিং নিয়ে আক্ষেপ করলেন ওয়ার্নার।
শেষ ম্যাচে ভালো না করলেও এমনিতে ব্যাট হাতে যথেষ্টই সফল ছিলেন ওয়ার্নার। সিলেট-রংপুর ম্যাচ শেষে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় ওয়ার্নার তিনে। ২২৩ রান করেছেন ৩৭.১৬ গড় ও ১৩১.১৭ স্ট্রাইক রেটে। মাঠে তার আগ্রাসী নেতৃত্বও ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে দলের ফলে সেটির প্রতিফলন খুব একটা নেই। ৭ ম্যাচে সিলেট জিতেছে কেবল দুটি। নিয়মিত জিততে হলে সিলেটকে কোথায় উন্নতি করতে হবে, সেটি বলে গেলেন ওয়ার্নার।
“আশা করি আমার দল জয়ের পথে ফিরবে। কিছু দিকে নজর দিতে হবে আমাদের। একটি অবশ্যই শেষ দিকের বোলিং। আরেকটি ব্যাপার হলো, সাধারণ ম্যাচ সচেতনতা, দলের সবাই সবসময় অধিনায়কের দিকে লক্ষ্য রাখে না। অবশ্য ছেলেরা শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করছে, এটা নিয়ে সংশয় নেই।”
নিষেধাজ্ঞার এই সময়টায় বিপিএলে খেলার সুযোগ দেওয়ার কারণে বিসিবিকেও ধন্যবাদ জানালেন পদচ্যুত অস্ট্রেলিয়ান সহ-অধিনায়ক।
“এখানে আসা ও বিপিএলে খেলার সুযোগ দেওয়ার কারণে বিসিবির প্রতি আমি দারুণ কৃতজ্ঞ। এখানকার দর্শক অসাধারণ, মাঠের আবহ দুর্দান্ত।”