তামিমকে নিজের শূন্যের গল্প শুনিয়েছেন আফ্রিদি

টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট। যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই টানা শূন্য প্রথমবার। শঙ্কা হ্যাটট্রিক শূন্যের। খুলনা টাইটানসের ম্যাচের আগে ভীষণ নার্ভাস ছিলেন তামিম ইকবাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ তখন বুঝিয়েছেন তামিমকে। নিজের ক্যারিয়ারের শূন্য রানের গল্প থেকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন শহিদ আফ্রিদি। ভয়কে জয় করে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ সেরা হয়েছেন তামিম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2019, 06:50 PM
Updated : 18 Jan 2019, 07:33 PM

খুলনার ১৮১ রান তাড়ায় জয়ে শুক্রবার ৪২ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম। এবারের বিপিএলে আগের ৫ ইনিংস মিলিয়ে তার মোট রান ছিল ৬০। আগের দুই ম্যাচে রানের দেখাই পাননি।

কদিন আগে যদিও তামিম বলেছিলেন রান না পাওয়ায় দুর্ভাবনা নেই, তবে হ্যাটট্রিক শূন্যের শঙ্কাই নাড়িয়ে দিয়েছিল তাকে। ম্যাচ শেষে জানালেন, ম্যাচের আগে নার্ভাস ছিলেন ভয়াবহ রকমের।

“আমার মনে হয় না, ক্রিকেট ক্যারিয়ারে গত ৭-৮ বছরে আমি এত নার্ভাস ছিলাম কোনো খেলার আগে। আমি স্যারকে বলছিলাম যে আমার ভয় লাগছে, খুব ভয় লাগছে। স্যার (কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন) তার মতো আমাকে বুঝিয়েছেন। আফ্রিদি এসে তার গল্পগুলি আমাকে বলেছেন।”

“ওরা বুঝতে পারছিল আমার অবস্থা দেখে যে একদম স্বাভাবিক ছিলাম না। আন্তর্জাতিক ম্যাচেও এই পরিস্থিতিতে কখন পড়েছি সবশেষ, আমার মনে পড়ে না। খুবই খুবই নার্ভাস ছিলাম।”

তামিমকে প্রথম বলটি লাসিথ মালিঙ্গা করেছিলেন দারুণ। স্টাম্পে পিচ করে ভেতরে ঢোকে আরেকটু। তামিম ডিফেন্স করেন। চতুর্থ বলেই স্লোয়ার ডেলিভারিতে দারুণ এক চার মেরে দূর করেন শূন্যের শঙ্কা।

তবে ভয়ের রেশ তখনও দূর হয়নি তার মন থেকে। তৃতীয় ওভারে জুনাইদ খানকে ছক্কা মারার পর থেকে ফিরে পেতে থাকেন নিজেকে।

“ছক্কাটির পর সাহস পেতে শুরু করলাম। বাউন্ডারির পরও হয়নি। মনে হচ্ছিল, ওটা হয়ে গেছে হয়তো। ছক্কাটির পর সাহস আসতে শুরু করল। তার পর একটি-দুটি বাউন্ডারি, সিঙ্গেল-ডাবলস নেওয়ার পর ভালো অনুভব করতে শুরু করলাম।”

“আমি যে ধরনের ব্যাটসম্যান, আমার জন্য রান খুব গুরুত্বপূর্ণ। কত বল খেলেছি, সেটা কখনোই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি ৫ বল খেলে ২০ রানও করে ফেলি, আমার কাছে ওই ২০ রানই গুরুত্বপূর্ণ, কত বল খেললাম, সেটি নয়।”

একটি ইনিংসেই যে ফর্মে ফিরেছেন, সেটি এখনও বলছেন না তামিম। তবে জানালেন, ফিরে পেয়েছেন আত্মবিশ্বাস।

“অনেক সময় দুটি-তিনটি ইনিংসে খারাপ ফর্ম আসে না। আবার অনেক সময় খারাপ ফর্ম থেকে একটি ইনিংসেই ভালো ফর্ম চলে আসে। আমি মনে করছি না এখনই যে ফর্মে চলে এসেছি। ভালো একটি ম্যাচ কেটেছে। এতটুকু বলতে পারি যে পরের ম্যাচে বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকব। তবে ফর্মে ফিরেছি বা ফিরি নাই কিংবা আসলেই বাজে ফর্মে গিয়েছিলাম বা যাই নাই, এটি বলতে পারব না।”