বিপিএলের ছয় আসরে প্রথম সুপার ওভারটি হয়েছে গত শনিবার। বিদেশি ক্রিকেটারদের ওপর দলগুলির নির্ভরতা, পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ঘাটতি আবারও ফুটে উঠেছিল সেদিন। খুলনা টাইটানস ও চিটাগং ভাইকিংসের সেই ম্যাচে দুই দলের দুই ওভারে ব্যাট করা ছয় ব্যাটসম্যানের কেবল একজন ছিলেন বাংলাদেশের। দুই বোলারের দুজনই ছিলেন বিদেশি।
জাতীয় দলের খেলা নেই এখন, রোডস নিয়মিতই মাঠে এসে দেখছেন বিপিএলের খেলা। শুক্রবার খেলা শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ কোচ জানালেন তার ভাবনা।
“আমি জানি, বিদেশি ক্রিকেটারদের সংখ্যা এবার কমানো হয়েছে। ভবিষ্যতে আরেকটি দিকও তারা ভেবে দেখতে পারে বলে মনে করি। ভাবনাটি যদিও একটি অস্বাভাবিক, তবে কার্যকর হতে পারে। ম্যাচ যদি সুপার ওভারে গড়ায়, আমি বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সম্পৃক্ততা দেখতে চাই। কে জানে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হয়তো সুপার ওভার খেলতে হতে পারে আমাদের। ওয়ানডেতেও চাপের মূহুর্তে কাজে লাগবে এই অভিজ্ঞতা।”
“আমি তাই দেখতে চাই, প্রতি দলেই সুপার ওভারে বোলিং করা বোলারকে দেশি হতেই হবে। তাসকিন হোক বা রনি কিংবা ফিজ, শেষ ওভার বোলিংয়ে যারা ভালো করবে, তাদেরই দলে নেওয়া হবে। একইভাবে, সুপার ওভারের দুই ওপেনারের একজনকে দেশের ব্যাটসম্যান হতেই হবে। তারা শিখবে এসব পরিস্থিতিতে কিভাবে খেলতে হয়। হয়তো অদ্ভুত শোনাচ্ছে আমার কথা। কিন্তু কারণটা বুঝতে হবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সব ধরনের পরিস্থিতিতে খেলার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে মরিয়া আমি।”