‘স্বাভাবিক ব্যাটিংয়েই সুন্দর মার্শাল’

তার ব্যাটিংয়ের ঘরানা টি-টোয়েন্টির সঙ্গে যায় না। এই ধারণার চক্করে ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্শাল আইয়ুব সুযোগই পেলেন না এই সংস্করণে। দীর্ঘ বিরতির পর যখন পেলেন সেই সুযোগ, মার্শাল যেন নিজেকে চেনালেন নতুন করে। তার সতীর্থ আরাফাত সানি অবশ্য অবাক নন। তার মতে, নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পেরেছে বলেই সুন্দর খেলেছেন মার্শাল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2019, 02:14 PM
Updated : 16 Jan 2019, 02:14 PM

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর বিপিএলে প্রথম খেলতে নেমেছিলেন মার্শাল, প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি খেললেন ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের পর। খুব বড় কোনো ইনিংস যদিও খেলেননি। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে বুধবার স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান করেছেন ৩১ বলে ৪৫। তবে সেই ইনিংসই গড়ে দিয়েছে রাজশাহী কিংসের জয়ের ভিত। তার টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং সার্মথ্যকেও চিনিয়েছে নতুন করে।

গত তিন বছরই নিলামে দল পাননি তিনি। নিলামের পরে তাকে নিয়েছে দল। এবারও যেমন নিলামের পরে নিয়েছে রাজশাহী। অনুমিতভাবে প্রথম পাঁচ ম্যাচে সুযোগও পাননি। এ দিন রাজশাহী দেখাল সাহস, তিনি দিলেন প্রতিদান।

যে উইকেটে ধুঁকেছে দুই দলের আর সব ব্যাটসম্যানই, সেই মন্থর উইকেটেই মার্শাল রান করেছেন ১৪৫ স্ট্রাইক রেটে। গায়ের জোরে কোনো শট খেলতে যাননি। নিজের সহজাত টাইমিং আর দৃষ্টিনন্দন শটেই করেছেন রান। ম্যাচ শেষে সেটিই উঠে এলো সানির কথায়।

“আসলে ও কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে সবসময় পারফর্ম করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ফরম্যাটে তাকে দলে রাখে না কেউ। ও কিন্তু নিজের রেগুলার ব্যাটিংই করেছে, বাড়তি কিছু করেনি। স্বাভাবিক খেলেছে বলেই সুন্দর ব্যাটিং করেছে। ও নরম্যালই ছিল। হয়তো ফোকাসড ছিল যে সুযোগ পেলে কাজে লাগাবে। এটিই করেছে।”

মার্শালের গড়ে দেওয়া ভিতে বল হাতে রাজশাহীকে ম্যাচটি জিতিছেন সানি। ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। এই নিয়ে টুর্নামেন্টে তার উইকেট হলো ৮টি। এই বাঁহাতি স্পিনারের মতে, ধারাবাহিক খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বলেই পারফরম্যান্সও হচ্ছে ধারাবাহিক।

“আগের মৌসুমে তিনটি মাত্র ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। এবার শুরু থেকে খেলছি। বোলিং খারাপ হোক বা ভালো, নিয়মিত ম্যাচ খেলতে পারলে সেটি বোঝা যায়। এবার শুরু থেকে ম্যাচ খেলছি, ভালো শেপে আছি। ভালো খেলছিও। সবাই দোয়া করুক যেন ভালো করে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারি।”