গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন শান্ত। ২০ রান করতে পেরেছেন পঞ্চাশের কম স্ট্রাইক রেটে। উইকেটে তাকে মনে হচ্ছিল দিশাহারা। নভেম্বরে সিলেটে টেস্ট খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। রান করেছেন ৫ ও ১৩।
এরপর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে চার ম্যাচে পাননি বড় রান। দেশে ফিরে দুটি ম্যাচ খেলেছেন বিসিএলে। এক ইনিংসে ফিফটি করলেও বড় করতে পারেননি ইনিংস। পরের ম্যাচে ব্যর্থ দুই ইনিংসে। বিপিএলে এসেও নেই দেখা নেই সুসময়ের। খুলনা টাইটানসের হয়ে চার ইনিংস খেলে করেছেন ৩১ রান।
অথচ বয়সভিত্তিক ক্রিকেট ধেকেই তাকে মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ভবিষ্যৎ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে রান করেছেন অনেক। এরপর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেট, হাই পারফরম্যান্স ও ‘এ’ দলের হয়েও। বেশ যত্ন করে তাকে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য, বাংলাদেশের ক্রিকেটে যেটি বেশ বিরল। কিন্তু শান্তর ব্যাট প্রতিদান খুব বেশি দিতে পারেনি এখনও।
শান্তর এই লম্বা রান খরা জন্ম দিচ্ছে কৌতুহলের। জাগছে প্রশ্ন। জাতীয় নির্বাচক হিসেবে শান্তকে দীর্ঘদিন ধরেই অনুসরণ করে আসছেন হাবিবুল। দেখছেন কাছ থেকে। এখন খুলনা টাইটানসে দেখছেন দলের উপদেষ্টা হিসেবে। শান্তর সমস্যা কোথায় দেখছেন? বুধবার সিলেট জেলা স্টেডিয়োমে খুলনার অনুশীলনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাবিবুল বললেন, তিনি কোনো সমস্যা দেখছেন না।
“সে রান করছে না সেটাই সমস্যা, আর কিছু না। আমার মনে হয় সে সবকিছুই পারফেক্ট করে। আমরা যখন অনুশীলন করি, তখন সবকিছু সে ঠিকমতো করে। এজন্যই সব কোচরা ওকে নিয়ে আশার কথা বলে থাকেন। যে কোচই আসুক না কেন, সবার আগে শান্তকে নিয়েই বলেন যে সে একজন প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার।”
“তবে ওকে রান করতে হবে। আপনি যতই প্রতিশ্রুতিশীল হন, ম্যাচে যদি রান না করেন, তাহলে সবার জন্যই মুশকিল। ওকে আমরা সুযোগ দিচ্ছি। আশা করছি অবশ্যই ও রান করবে। কারণ ওর কোনও কিছু নিয়েই সমস্যা নেই, শুরু রান করা ছাড়া। আশা করছি সে রান করা শুরু করবে।”